Header Image

আমরা কি ভালো নেই? কতোটা বিপদে পড়লে মানুষ মন্দ থাকে?

 

যে জমির সুদের দেনা সুদ না করতে পেরে আত্মহত্যা করলো,সে কি পারতো না বেঁচে থেকে আরও বেশি তিরস্কার সহ্য করে পরিবারের ছায়া হতে?

যে ছেলেটি তার প্রেমিকা তাকে ধোঁকা দিয়ে অন্য কাউকে জীবনসঙ্গী করলো বলে আত্মহত্যার পথ বেছে নিলো,তাতে সে ছেলের বাবা মায়ের অবস্থাটা কি হলো তা যদি আগে বুঝতে পারতো তা হলে সে কি এই পথ বেছে নিতো?
তার পরিবারের সবার ভালোবাসার চাইতে এক ছলনাময়ী নারীর তুচ্ছ ভালোবাসা কি করে জিততে দিলো ছেলেটি?

যে বাবা-মা তার কন্যাটিকে আদর যত্নে আগলে রাখলো,সে কয়েকদিনের পরিচিত কারো সাথে ফোনের যোগাযোগে তার কাছে চলে গেল।অথচ সন্তানের নিরপত্তার চিন্তায় এ বাবা মা তাকে কখনো কোনো আত্মীয় স্বজনের কাছে রাখেননি।কয়েকদিন পর নিউজ পেপারে অর্ধ-গলিত লাশের এক ছবি এল। ধর্ষণের পর তাকে মেরে ফেলে রাখা হয়েছে।বাবা-মায়ের চেয়ে তাকে নিরাপত্তা দেবার কি কেউ আছে?

আমাদের সমাজে বাস্তবতায় এ চিত্রগুলো প্রতিনিয়ত আমরা দেখতে পাই।এখানে একটা বিষয় থেকে শিক্ষা নেবার আছে,কিন্তু আমরা কমসংখ্যক মানুষই তা নিতে পারি।
আমরা এটা ভাবিনা না যে সময়টা পার হচ্ছে তা আমার জন্য ভালো সময়।এমন হতে পারে কিছুক্ষণ পর আমার সব চেয়ে প্রিয় মানুষটি হারিয়ে যেতে পারে।আমি নিজে অসুস্থ হয়ে যেতে পারি।

হতাশাকে মোকাবিলা করা শিখতে হবে মানসিক সাহস দিয়ে।অনিশ্চয়তার জীবনে কোন নিশ্চয়তা,অবলম্বন, স্থায়ী কোন সুখ খোঁজে লাভ নাই।কারো উপর যেমন অতিরিক্ত আস্থা বিশ্বাস করা উচিত নয় তেমনি অকারণে কাউকে অবিশ্বাস করারও উটিত নয়।চারপাশের পরিস্থিতি থেকে শিক্ষা নিয়ে সেখানে উদাহরণ হিসেবে নিজেকে দাঁড় করিয়ে বিবেচনা করে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে।সব চেয়ে বড় কথা নিজেকে বা অন্যকে নিয়ে ভাবনার সময় রাখতে হবে।

প্রতিটা ভালো চিন্তা আমাদেরকে মন্দ চিন্তা ও মন্দ কাজ থেকে মুক্তি দিতে পারে।

 

 

🍁কাব্য সুমী সরকার
১১/০৯/২০২১

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!