Header Image

ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতিকে ২০লাখ টাকা জরিমানা ও ১ বছরের জেল 

 

সাইফুল ইসলাম তরফদার, ময়মনসিংহ :

 

বন্ধুত্বের  সম্পর্কের সূত্রে ধার দিয়েছিলেন ২৪ লাখ টাকা। তারমধ্যে ৬ লাখ টাকা অস্বীকার করে ভুক্তভোগিকে ১৮ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন।

এ্যাকাউন্টে টাকা না থাকায় চেকটি ডিজঅনার হয়। পরে ভুক্তভোগি কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করলে, বৃহস্পতিবার ওই মামলার রায়ে ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল প্রদান করেন আদালত।

বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহের ৩য় জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাবিবুল্লাহ ওই মামলার চুড়ান্ত রায় ঘোষনা করেন। রায়ে ওই বিচারিক বেঞ্চ ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুনকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা ও এক বছরের জেল প্রদান করেন।

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন ও রাজৈ ইউনিয়নের চান্দাব গ্রামের আরফান আলীর ছেলে কামরুল ইসলাম চাঁন মিয়ার মধ্যে গভীর বন্ধুত্বের সম্পর্ক ছিল। ওই সম্পর্কের সূত্রেই কামরুল মামুনকে ধার দিয়েছিলেন ২৪ লাখ টাকা। টাকাগুলো ফেরত দেওয়ার কথা ছিল দু’য়েক মাসের মধ্যেই।

কালক্ষেপণ করায় স্থানীয় দেন-দরবারে ২৪ টাকারমধ্যে ছাত্রলীগ সভাপতি মামুনের মায়ের হাতে দেয়া ৬ লাখ টাকার বিষয়টি অস্বীকার করে ভুক্তভোগি কামরুলকে ভালুকা ন্যাশনাল ব্যাংক শাখার অধিনে ১৮ লাখ টাকার চেক প্রদান করে মামুন।

ওই টাকা তুলতে ব্যাংকে যান কামরুল। কিন্তু মামুনের সেই এ্যাকাউন্টে ছিলনা কোন টাকা। চেকটি ডিজঅনার হলে ভুক্তভোগি কামরুল ইসলাম (চাঁন মিয়া) ২০১৬ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের তৃত্বীয় জেলা দায়রা জজ আদালতে চেক জালিয়াতির মামলা করেন।

মামলা চলাকালে জালিয়াতির বিষয়টি অস্বীকার করে স্বাক্ষরটি ভূয়া দাবি করে এক্সপার্টের আবেদন করলে টেস্টে হস্তরেখায় তার স্বাক্ষরের মিল পান আদালত। পরে ছাত্রলীগ সভাপতি মামুন আদালতের কাছে নিজের অপরাধ স্বীকার করে আদালতের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে টাকা পরিশোধের সময় চেয়ে নেন। দেই দিচ্ছি করে আদালতে তারিখ পরিবর্তন দীর্ঘ সময় অতিবাহিত করেন। এরইমধ্যে ভালুকা তিতাস গ্যাসের অস্থায়ী পেট্রোলম্যান ভূক্তভোগি ওই কামরুল ইসলাম আদালতপাড়ায় মামলার পেছনে দৌড়ঝাঁপ পারতে পারতে চাকরিচ্যুতও হন।

ভালুকা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুজ্জামান মামুন বলেন,মামলার রায় হয়েছে আমি শুনেছি।আমি রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করতে উচ্চ আদালতে যাব।

মামলার বাদী ভুক্তভোগী কামরুল ইসলাম বলেন,চেক জালিয়াতি মামলা আদালতে রায়ের  আমি খুশি। আমি তাকে চার ধাপে মোট ২৪ লাখ টাকা দিয়েছি, কিন্তু সে আমার টাকা না দিয়ে বিভিন্ন সময় ছাত্রলীগের কর্মীদের দিয়ে হামলা চালিয়েছে এবং বিভিন্ন হয়রানি মূলক মামলা দেয়ার হুমকি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!