
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার ৪নং কানিহারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ আলী উজ্জ্বল বলেছেন- নির্বাচন করবো দলীয়ভাবে সেবা করবো সবার,আমি চাই আমার ইউনিয়নের প্রত্যেকটা মানুষ তাদের ন্যায্য সেবা পাক। কারণ সেবা পাওয়া প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার মানুষ,মুসলমান,
হিন্দু,বৌদ্ধ,খ্রীষ্টান,যে য়ে ধর্মেরই হউক না কেন,আওয়ামীলীগ, বিএনপি,জাতীয় পার্টি যে যে দলই করুক না কেন? সেবা আর উন্নয়ন সবার জন্যই,এটা কারো জন্য ব্যক্তিগত নয়,সবার জন্যই সমান।
বুধবার (৬অক্টোবর)রাত ৯ঘটিকায় ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে উওর কানিহারী গ্রামের ভোটারদের সাথে মতবিনিময় সভায় চেয়ারম্যান আশরাফ আলী উজ্জ্বল এসব কথা বলেন।
এসময় উপস্থিত বক্তারা বলেন-বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন গুলোতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী তথা নৌকার মাঝি খুজে পাওয়া যায়নি কানিহারি ইউনিয়নে। তখন অনেকেই দলের কথা না ভেবে নিজের চিন্তা করে নির্বাচন করেন নি,আশরাফ আলী উজ্জ্বল ছাত্ররাজনীতি থেকে যার রক্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, এই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। রাজাকার জামাত শিবিরের বিরুদ্ধে একমাত্র প্রতিবাদী কন্ঠস্বর আশরাফ আলী উজ্জ্বল গত নির্বাচনে কানিহারি ইউনিয়নের নৌকা মার্কা নিয়ে লড়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং বহু ষরযন্ত্রের পরেও কানিহারি ইউনিয়নের প্রথম আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর ৫ বছর সফলতার সাথে দায়িত্ব পরিচালনা করেন। ইউনিয়নে আশরাফ আলী উজ্জ্বল এর মতো উন্নয়ন মূলক কাজ বিগত কোনো চেয়ারম্যান দেখাতে পারেনি। ন্যায় বিচারের দিক দিয়েও তিনি একজন সফল মানুষ। তার ক্লীন ইমেজের কারণে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রস্তুতি জনসভা জনস্রোতে পরিনত হচ্ছে।কানিহারী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের প্রার্থী যে ভয় ছিলো তা কেটে ইউনিয়নকে আওয়ামী লীগের ঘাটিতে পরিণত করেছেন ফলে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে নৌকার জন্য অনেকেই লাফালাফি করছেন। তবে আমাদের বিশ্বাস দলীয় ও মানুষের জনমতের ভিত্তিতে টানা ২য় বার দেশরত্ন শেখ হাসিনার কানিহারী ইউনিয়নে উজ্জলকেই নৌকার মনোনোয়ন দিয়ে পাঠাবেন এবং তিনি আবারও দ্বিতীয় মেয়াদে
চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হবেন।
চেয়ারম্যান আশরাফ আলী উজ্জল আরও বলেন, জনগণ আমাকে ভোট দিয়েছেন ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ ও মানুষের পাশে থাকার জন্য। বিগত বছর গুলোতে আমার সাধ্য মত যাথাযথ চেষ্টা করেছি। দেখার মালিক আল্লাহ। যে কয়েক দিন বেঁচে আছি তত দিন যেন জনগনের পাশে থেকে ইউনিয়নের উন্নয়ন মূলক কাজ করতে পারি। এটিই আমার আশা, ভোট জনগণের হাতে যাকে খুশি তাকে দিবে, তবে আমি ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষের পাশে থেকে উপকারের চেষ্টা করছি। গত নির্বাচনে আমি নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও সেবা করেছি সবার,সামনে নির্বাচন আবার আমি দ্বিতীয় মেয়াদে নির্বাচন করবো দলীয়ভাবে, সেবা করবো সর্বোপরি সব মানুষের, তবে জনগণ আমার কথায় যাতে কষ্ট কষ্ট না পায় তার জন্য সর্বক্ষণিক চেষ্টা চালাচ্ছি। তিনি আরো বলেন, আগামী ইউপি নির্বাচনে জনগণের ভোটে পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হতে পারলে শিক্ষা ,স্বাস্থ ও কৃষির উন্নয়ন ঘটিয়ে আমার ইউনিয়নকে মডেল হিসেবে গড়ে তুলবো, ইনশআল্লাহ।চেয়ারম্যান বলেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি যেন আবারও আপনাদের মাঝে নৌকা মার্কা নিয়ে আসতে পারি সে লক্ষে আপনাদের দোয়া ও সার্বিক সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।এসময়, আরো উপস্থিত ছিলেন,ইউনিয়ন আওয়ামিলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি গোলাম রববানী,সাংস্কৃতি সম্পাদক সবুর আহমেদ,সম্মানিত সদস্য ইমরুল হাসান স্বপন, ইউনিয়ন যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক শাহিন খন্দকার,আহাম্মদাবাদ বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি খোরশিদ আলম লাল মিয়াসহ,৪নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ এছাড়াও,কানিহারী হেল্পলাইন, ব্লাড ডোনার্স গ্রুপের সদস্যসহ স্থানীয় রাজনৈতিক সামাজিক ও বিভিন্ন পেশাশ্রেণীর গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।