স্টাফ রিপোর্টার:
আমাকে একটা ঘর দিলে আমি শেষ বয়সে স্ত্রী সন্তানকে নিয়ে বাকিয়া জীবনটা একটু সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারতাম। আমার মাথা গোজার ঠাঁইটুকু নেই। এভাবেই প্রধানন্ত্রীর কাছে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আকুতি জানান ময়মনসিংহ ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ইউনিয়নের বাঁশদী গ্রামের ৭০ বছর বয়সী অসহায় রাজমিস্ত্রিরী বৃদ্ধ বাবুল ববেপারী।
বাবুলের জন্মস্থান রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার দৌড়ীমতন মাছনী গ্রামের মৃত সোলেমান বেপারীর ছেল।৪০ বছর আগে নিজ জন্ম স্থান রংপুর ছেড়ে চলে আসেন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়ীয়া উপজেলার আছিম পাটুলী ইউনিয়নের পাটুলী গ্রামে।রাজ মিস্ত্রীরী কাজ করতে এসে পাটুলী গ্রামের মৃত হযরত আলীর মেয়ে মর্জিনা কে বিয়ে করেন,সেই হতে আছিম এলাকায় ঘর ভাড়া করে থাকেন।
অনাহারে অর্ধহারে কাটে দিন। তার নেই কোনও জমি জমা, দীর্ঘদিন ধরে অন্যের বাসা ঘর ভাড়া করে দুই কন্যা সন্তান নিয়ে ঘরে থাকেন তিনি। ৭০ বছরেও মেলেনি সুখের হাতছানি। অভাবের তাড়নায় ও বার্ধক্যের কারণে ঠিকমতো চলতে পারে না।জোটে নাই কোন বয়স্ক ভাতার কার্ড।এই বয়সে করতে হয় রাজমিস্ত্রিরীর কাজ,তার স্ত্রী অন্যের বাসায় করে ঝিয়ের কাজ।
স্থানীয়রা জানান, আশেপাশের বাড়িতে তার স্ত্রী কাজ করে তাতেই চলে তার সংসার। অভাব অনটনের এই সংসারে তার অসহায়ত্ব যেন দেখার কেউ নেই।
বৃদ্ধ বাবুল বেপারী বলেন, আমার কোন পৈত্রিক সম্পদি নেই, এই বয়সে রাজমিস্ত্রিরী ককাজ করি, আমার স্ত্রী পরের বাড়ী কাজ করে। যেইদিন কাজ করি সেই খাইতে পারি, না হয় অনাহারে থাকতে হয় দুই সন্তান নিয়ে। আমার দুইটি মেয়ে বড় মেয়ে ৯ম শ্রেণিতে পড়ে, ছোট মেয়ে ৮ম শ্রেনীতে আমি তাদের ঠিকমত পড়াশোনার খরচ চালাতে পারিনা। মানুষের কাছ থেকে চাইয়ে চিন্তে খাই, নিজের বাড়ি ভিটের জায়গা নাই । আমার নেই কোনো বয়ষ্ক ভাতার নাম। যদি প্রধানমন্ত্রী দয়া করে আমারে (আমাকে) একটা বাড়ি ভিটার জায়গা ও বয়স্ক ভাতার টাকা দেয় তাহলে আমি মরার আগে একটু সুখ দেখে যেতে পারতাম।