Header Image

ত্রিশালে কবরস্থান ভাংচুরের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন

 

ফাতেমা শবনম:

ময়মন‌সিং‌হের ত্রিশা‌লে রা‌য়ের গ্রাম বড় মস‌জিদ সংলগ্ন জনাব আলী সরকা‌রের পা‌রিবা‌রিক কবরস্থান ভেকু দ্বারা খনন করার প্রতিবা‌দে সাংবাদিক স‌ম্মেলন অনু‌ষ্ঠিতন হ‌য়ে‌ছে।

শ‌নিবার (১৩ ন‌ভেম্বর) দুপু‌রে ত্রিশাল উপ‌জেলা প্রেসক্লা‌বে পা‌রিবা‌রিক কবরস্থান খন‌নের মাধ‌্যমে উ‌চ্ছেদ করায়র প্রতিবা‌দে প‌রিবার কর্তৃক সাংবা‌দিক স‌ম্মেলন করা হ‌য়ে‌ছে। উক্ত সাংবা‌দিক স‌ম্মেল‌নে লি‌খিত বক্তব্য প‌ড়েন প‌রিবা‌রের প‌ক্ষে মো. কামাল উদ্দিন।

লি‌খিত বক্তব্যে তি‌নি ব‌লেন, আমার পৈত্রিক ভিটা হরিরামপুর ইউনিয়নের রায়েরগ্রাম। রায়ের গ্রাম বড় মসজিদের পাশেই আমাদের পারিবারিক কবরস্থান যা প্রায় ১০০ বছর পূর্বে প্রতিষ্ঠিত করে মরহুম জবান আলি সরকার, তিনি আমার দাদা । আমার দাদা রায়েরগ্রাম বড় মসজিদ স্থাপনের জন্য নিজের জমি ওয়াকফ দিয়ে মস‌জিদ ঘর নিমার্ণ করেছেন । শুধু তাই নয় মরহুম জবান আলী সরকারের মৃত্যুর পর থে‌কে এ যাবৎ কবরস্থানে প্রায় ৪০ জনের কবর রয়েছে । তারা সকলেই মরহুম জবান আলী সরকারের বংশধর। আমার দাদা, দাদী, চাচা, ফুফ, মা, ভাই-বোন এরা প্রত্যেকই আমাদের পূর্বপুরুষ উনাদের লাশ আমরা নিজ হাতে দাফন করেছি । আমার দাদা মৃত্যুর পর আমার জেষ্ঠ্য ৫০বৎসয় এই মসজিদে বংশানুক্রমে মুতাওয়াল্লিার দায়িত্ব পালন করেছেন । আমার জেঠা ৫০ বছর এই মসজিদে আযান দিয়েছেন । বর্তমানে আমার জেঠা জীবিত যার বয়স প্রায় ৯০ বছর বৎসর মৃত্যু শয্যায় । মূলত এই কবরস্থান আমাদের পারিবারিক এবং পৈত্রিক জমি সে অনুযায়ী আমাদের নামে বিআরএস রেকর্ডভূক্ত হয়েছে ।

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,
মসজিদ আল্লাহর ঘর এবং এবাদাতের স্থান আমরা এবাদাত করি আল্লাহকে খুশি করার জন্য । বিগত কয়েক মাস পূর্বে মুতাওয়াল্লি পারিবারদেরকে ও আমা‌দের না জানিয়ে বিবাদিরা একটি কমিটি গঠনকরে ।

উক্ত কমিটিতে সন্ত্রাসী, ঘোষখোর, সুবিধাকারবারী জমি দখলসহ একাধিক মামলার অপরাধী জড়িত। কিছুদিন পূর্বে তাইজুদ্দিন, সোহাগ, রশিদ, নুরুলহুদা, ফারুক, বিল্লাহ, আকরাম এরা রাত ৩টার দিকে বেকু মেশিনদিয়ে আমাদের পারিবারিক কবরস্থানে যারা সমাধিত রয়েছে তাদের কবর গুলোকে খুড়ে ফেলেছে এবং হাড়কংকাল গুলো বস্তায় ভরে রাতে অধারে গুম করে ফলেছে । তাদের কে জিজ্ঞাগাসা করিছি কেন এমন করেছেন উত্তরে জবাব দিল এখানে মসজিদ হবে । তাইজুদ্দি ও সোহাগ আমাদের হুমকি দিল যে আমরা যদি বাড়াবাড়ি করি তাহলে আমাদেরকে এলাকা থেকে বিদায় নিয়ে হবে ।

প্রিয় সাংবাদিক বৃন্দ,
আপনাদের কলমের লেখনীতে আমাদের মতো নির্যানিত মানুষ সুষ্ঠ বিচার পাবো । আর যারা ধর্ম প্রতিষ্ঠান করার নামে, শরিফত বিরুদ্ধী কাজ করে থাকে তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হবে । তাই আপনাদের সাংবাদিক ভাইদের মাধ্যমে সকল প্রশসানিক কর্মকর্তা গণের দৃষ্টি ও সাহার্ম কামনা করচি । পরিশেষে মহান আল্লাহ তালার কাছে সুবিচার প্রার্থনা করি যারা ধর্ম নিয়ে খেলা করে তাদের ।

সাংবাদিক সম্মেলনে পরিবারের মধ্যে এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, সেলিম মাহমুদ, আনোয়ার পারভেজ, মোশারফ হোসেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!