এ যেনো উদাস বসন্তের মাঠে সদ্য ফোটা একটি গোলাপ!
কপালে সূর্যডোবা লাল টিপে স্ফুরিত ঠোঁটে তার বহ্নিবাণ চোখ এঁকে,
কানে দুল, খোপায় ময়ূরপঙ্খী ফুল গুঁজে
দাঁড়িয়ে আছো তুমি উতরোল বাতাসের উল্টো দিকে;
তোমার সাদা আবরণে যেন জ্বলে উঠেছে রক্তিম আলোক শিখা সুরেলা কন্ঠ মাধুর্য নিয়ে সাজানো আলোর নিচে দাঁড়িয়ে আছো তুমি একা;
ফাগুনের শীতল বাতাসে আবেশী তন্ময়তা এনে নিঃসৃত মাধুরী ছড়িয়ে দিয়েছো তুমি ধরনীর বুকে।
যার মাথার ওপরে নক্ষত্রের চন্দ্রাতপে নীল আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে অজস্র হিমকণা,
যেন অনুপম রুপ লাবণ্যের ডালি সাজিয়ে দিয়ে
আরতি বন্দনা করছো তুমি,
কিছু প্রশ্নের পাহাড় ছুঁড়ে দিয়ে ছিলাম তোমার দিকে
অনায়াস দক্ষতায় তুমি ডিঙিয়ে গেলে আমাকে!
হালকা হাসির হিল্লোল খেলে যায় তোমার মোহিনীর দুটি লালচে ঠোঁটে
কথা বললে মনে হয় যেনো স্বতোৎসারিত ঝর্ণার জলধারার ন্যায় নির্গত হয় তোমারই রুপ ভাষায় বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নয়!
বেলা শেষে ফুরিয়ে আসা বিকেলের সমাগমে
তুমি যে কি সুন্দর ভাবে সাজিয়েছো নিজেকে
এ কথা তুমি নিজেও জানলে না।।
(স্বর্গচ্যূত উর্বশী)
পঞ্চভূত ডায়েরি