ভালুকা,ময়মনসিংহ প্রতিনিধি ঃ
ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ এক মুক্তিযোদ্ধার বাড়ি দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার ওই মুক্তিযোদ্ধার পক্ষে তার ছেলে ভালুকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযোগ ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভরাডোবা গ্রামের মৃত আবেদ আলীর ছেলে মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলীর (মুক্তিযোদ্ধা গেজেট নম্বর-৪৭১৬) সঙ্গে ঘরসহ কিছু জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল একই এলাকার মৃত সিরাজ উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম গংদের। এরই জের হিসেবে প্রতিপক্ষরা জোড়পূর্বক ওই মুক্তিযোদ্ধার বাড়িসহ জমি দখল করে নেয়। পরে মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলীর ছেলে হাবিবুর রহমান বাদল বাদী হয়ে রোববার দুপুরে মডেল থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে একটি অভিযোগ দেন। এর আগেও একই এলাকার বাচ্চু মিয়া নামের আরেক জনের নির্মাণাধীন দুতলা ভবন দখলের অভিযোগ রয়েছে শফিকুল ইসলাম গংদের বিরুদ্ধে। পরে বাচ্চুর লিখিত অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ভালুকা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ উভয় পক্ষের কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে শালিসের মাধ্যমে বাচ্চুর পক্ষে রায় দেন। তবে ওই ভবন থেকে তাদেরকে উচ্ছেদ করতে পারেননি।
সোমবার দুপুরে ভালুকা-ঘাটাইল সড়কের উত্তর পাশের মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলীর বাড়িতে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তখন তিনি বলেন, সরকারি ভাতা প্রাপ্ত একজন মুক্তিযোদ্ধা তিনি। বয়সের ভারে শারীকিক ভাবে অসুস্থ। চোখে দেখেন না। কানেও তেমন শুনতে পারেননা। তার ছেলেরা তাকে জানিয়েছে, ভরাডোবা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বাড়িটি শফিকুলরা দখল করে নিয়েছে। ওই জমির সব কাগজপত্রই তার নামে। সরকারের সর্বশেষ মাঠ জরিপও তার নামে রেকর্ডভুক্ত হয়েছে।
বাড়ি দখলের বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলী সম্পর্কে তার মামা হন। তাই ওই জমিতে তার মায়ের পৈত্রিক সূত্রে অধিকার রয়েছে।
লিখিত অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সালমা খাতুন বলেন, মুক্তিযোদ্ধা হাসমত আলীর পক্ষে তার ছেলে হাবিবুর রহমান বাদল একটি লিখিত অভিযোগ নিয়ে আসেন। অভিযোগটি তদারকি করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য উপজেলা সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।