আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।
ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নে দুলালবাড়ি গুচ্ছগ্রামে যাতায়াতের জন্য নব নির্মিত কাঠের ব্রীজ উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক। বুধবার ( ২৩,শে মার্চ) দুপুরে নবনির্মিত এই ব্রীজের উদ্বোধন করেন তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন ময়মনসিংহ সদর উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম , ভাইস- চেয়ারম্যান , মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন ,সিরতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আবু সাঈদ সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
খাগডহর ইউনিয়নের অস্বচ্ছল অসহায় গৃহহীন পরিবারের মানুষগুলো একটি ঘরের জন্য দিনভর পরিশ্রম করে রাত্রি যাপনে নিরাপত্তাহীন ও খোলা আকাশের নিচে থাকাই ছিলো একমাত্র অবলম্বন। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার বিশেষ প্রকল্প ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের মাঝে বরাদ্দকৃত ঘর দিয়ে তাদের পাশে দাড়িয়েছেন। ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাগডহর ইউনিয়নের ২৪০টি পরিবারের গরীব হত-দরিদ্র অসহায়দের জন্যও ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। মাথা গোজার ঠাই হয়েছে এই গরীব মানুষ গুলোর। ইউনিয়নের দুলালবাড়ি এলাকায় পেয়েছেন জমি ও ঘর। তবে ঘরগুলো ব্রহ্মপুত্রের এক পারে হওয়ায় এখানে শতাধিক পরিবারের বসবাস থাকলেও ছিল না যাতায়াতের কোনো রাস্তা ও ব্রীজ না থাকায় তাদের চলাফেরা ছিলো কষ্টকর। ঘর পেয়েও যেন গৃহবন্দী অবস্থা। একটি রাস্তা ও ব্রীজের ব্যবস্থা হলে ছেলে-মেয়েদের স্কুলে লেখাপড়া, কর্মস্থলে যোগদান করাসহ বিভিন্ন প্রয়োজনে যাতায়াতে সুবিধা হতো।তাই তাদের স্বপ্ন ছিলো একটা রাস্তার।বিষয়টি অবগত করা হয় উপজেলা প্রশাসনকে। তাদের দাবী পুরণে সরকারের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে সুপারিশ করার ব্যবস্থা নেন জেলা প্রশাসক এনামুল হক, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইফুল ইসলাম।
প্রশাসনের প্রচেষ্টায় অবশেষে পূরণ হয়েছে তাদের সেই স্বপ্ন। নির্মাণ করা হয়েছে দীর্ঘ একটি মাটির রাস্তা ও কাঠের ব্রীজ। এতে দুর্ভোগ অনেকটা লাঘব হবে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দারা। যাতায়াতের আধুনিকতা না থাকায় এখানকার ছেলে মেয়েদের ভালো কোনো স্কুলে যেতে পারেননি। রাস্তার অভাবে শিক্ষাজীবন থেকে ঝরে পড়তো শিশুরা। রাস্তা ও ব্রীজ হওয়ায় তারা এখন নিকটতম ময়মনসিংহ শহরেও যাতায়াতের সুবিধা ভোগ করতে পারবে।
স্কুল পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী বলেন, স্কুলে যেতে অনেক কষ্ট হয়। অনেক দুর হেটে গিয়ে নদী পাড় হওয়া লাগতো। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে রাস্তা ও ব্রীজের কাজ শেষ হয়েছে। গুচ্ছগ্রামের ২৪০টি পরিবারের জন্য সত্যিই যেন আনন্দের দিন। শহরে যাতায়াতের জন্য আর কোন বাঁধা থাকল না। ফলে সুবিধাভোগী গুচ্ছ গ্রামের ২৪০টি পরিবারের মধ্যে বইছে খুশির জোয়ার।