Header Image

নেত্রকোণায় জলমহাল ইজারায় স্বাক্ষর জালের অভিযোগ

নেত্রকোনা  প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোণায় প্রতারণাপূর্বক মৎসজীবিদের জাতীয় পরিচয় পত্র ও মৎসজীবি কার্ড হাতিয়ে নিয়ে স্বাক্ষর জালিয়াতি করে এবং পেশায় কৃষককে মৎসজীবি দেখিয়ে জলমহাল ইজারা নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এব্যাপারে নেত্রকোণা জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি যাচাইপূর্বক যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীসহ এলাকাবাসী। লিখিত অভিযোগ সূত্রে ও সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, নেত্রকোণার খালিয়াজুরী উপজেলার ২নং চাকুয়া ইউনিয়নের রানীচাপুর জলমহালটি ৬ বছরের জন্যে শালদীঘা ফরিদপুর গ্রামের মৎস্যকন্যা মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের নামে ইজারা প্রদান করা হয়।
ইজারা নেয়ার শর্ত মোতাবেক স্থানীয় মৎস্যজীবিদের নামের তালিকা প্রণয়ন বাধ্যতামূলক হওয়ায় অনিয়মতান্ত্রিকভাবে সভাপতির স্বাক্ষরসহ অন্তত ১০ জনের স্বাক্ষর জাল করে তালিকা প্রদান করা হয় যে বিষয়ে কিছুই জানেন না ঐ ভুক্তভোগী ১০জন। এতে করে প্রকৃত মৎস্যজীবিদের ন্যায্য অধিকার বঞ্চিত করে অর্থনৈতিক ফায়দা লুটতে এই জালিয়াতির আশ্রয় নিয়েছে সংশ্লিষ্টরা এমনটাই দাবী স্থানীয় মৎস্যজীবিদের। এদিকে “তাদের স্বাক্ষর ও জাতীয় পরিচয় পত্র জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে জমা দেয়া হয়েছে এবং তারা উক্ত মৎস্যজীবি সমিতির কোন সদস্য নন” মর্মে নোটারী পাবলিক নেত্রকোণা বরাবরে ইতিমধ্যে এফিডেভিট সম্পন্ন করেছেন ১০ জন ভুক্তভোগী।
 স্বাক্ষর জালিয়াতি এবং জাতীয় পরিচয় পত্র ও মৎস্যজীবিদের কার্ড প্রতারণাপূর্বক সংগ্রহ করে জলমহাল ইজারা নেয়ায় প্রকৃত মৎস্যজীবিদের ন্যায্য হিস্যা বঞ্চিত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। তাই অভিযোগের সত্যতা যাচাইপূর্বক কঠোর পদক্ষেপ গ্রহন করবে প্রশাসন এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে খালিয়াজুরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচ এম আরিফুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা শিকার করে বলেন লিখিত অভিযোগ হয়েছে। কিন্তু এই মূহুর্তে এটা নিয়ে ভাবা সম্ভব হচ্ছে না। তবে তদন্ত চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!