জামালপুর প্রতিনিধি তৌকির আহাম্মেদ হাসু :
মেয়ের কোন দোষ নেই,এর পরেও মারলাম, আমি দোজখে যাব মেয়ে বেহেস্তে যাবে এমনই অভিব্যাক্তি প্রকাশ করলেন ঘাতক মা বেদনা বেগম(২৫)। জামালপুরের সরিষাবাড়ীতে মায়ের হাতে মোহনা আক্তার(৭)কে হত্যা করার চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি আজ রোববার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের কুটুরিয়া মধ্যপাড়া গ্রামে এ ঘটনা
ঘটে।মোহনা আক্তার কুটুরিয়া মধ্যেপাড়া গ্রামের সৌদী আরব প্রবাসী মোহাম্মদ আলীর মেয়ে এবং উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের চন্দনপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ২য় শ্রেনীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
এ ঘটনার খবর পেয়ে ঘাতক মা বেদনা বেগম কে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ আটক করে থানায় নিয়ে আসে। লাশের সুরতহাল শেষে লাশ উদ্ধার করে ময়না
তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করা হয়েছে বলে সরিষাবাড়ী থানার এস আই মোরশেদ নিশ্চিত করেছেন।এ ঘটনায় স্থানীয় এলাকাবাসীর মাঝে শোকের মাতম চলছে।লাশ দেখতে হাজারো নর-নারী উৎসুক জনতার ভীড় জমে।
এ ব্যাপারে নিহতের দাদা আবুল কালাম জানান, আমরা বাড়ীতে না থাকায় নাতনীকে গলা চেপে ধরে মাথায় শীল দিয়ে মাথায় আঘাত করে মেরে ফেলেছে এমন পুত্রবধূ চাইনা। তাকে পুলিশে নিয়ে যাক।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা গেছে, মোহনা আক্তার(৭) নিজ বাড়ীর পাশে খেলা ধুলা করছিল। এ সময় তার মা বেদনা বেগম সদাই খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে ঘরে নিয়ে প্রথমে গলা চেপে ধরে পরে শীল দিয়ে মাথায় আঘাত করে এ সময় শিশুটির চিৎকারে পাশের বাড়ীর লোকজন এগিয়ে এসে উদ্ধার করে সরিষাবাড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিয়ে আসলে হাসপাতালের কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা: দেবাশীষ রাজবংশী তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
স্থানাীয়রা আরোও জানান,বেদনা বেগম ২ বছর পুর্বে
নৌকা বাইচ দেখতে দিয়ে পথিমধ্যে অটো থেকে পড়ে মাথায় আঘাত প্রাপ্ত হন। ফলে সে মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন বলে জানা যায়।
জানতে চাইলে সরিষাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল মজিদ জানান,লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জামালপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।এ ঘটনায় শিশুটির মা বেদনা বেগম কে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলে আইগত ব্যাবস্থা নেয়া হবে।