ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহে মানসিক ভারসাম্যহীন রাস্তায় পড়ে থাকা এক অসহায় নারীকে আশ্রমে জাশগা করে দিয়ে মানবিকতার এক উজ্জল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে ময়মনসিংহবাসীর প্রশংসার দাবিদার হয়েছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)ময়মনসিংহের
পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার।
মানবসেবায় আমরা ময়মনসিংহ টিম এর সদস্য রায়হান আকন্দের দেওয়া তথ্য মোতাবেক জানা গেছে-শীতের কনকনে হাওয়া, তীব্র ঠান্ডা। ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের সামনে মানসিক সমস্যায় জর্জরিত এক নারী রাস্তায় পড়ে আছে! একদিকে শীতের ঠান্ডা-
অপরদিকে ক্ষুধা জ্বালা,রয়েছে মানসিক সমস্যা। সব মিলিয়ে নিঃস্ব ও স্বজনহীন অপরিচিত নারী। দ্বারে কাছে কেউ গিয়ে কিছু জানতে চাওয়ার ব্যবস্থাও নেই।
কথায় বলা যায় না, এতো অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করেন।
যা এলাকার মানুষের জন্য বড্ড সমস্যা।অনেক চেষ্টা চললো তাকে একটা আশ্রমে পাঠানোর।মানবসেবায় আমরা ময়মনসিংহ টিম সেখানে উপস্থিত হয় এবং মহিলাকে শীতের বস্ত্রও প্রদান করেন। তারাও চেষ্টা করলেন কোন একটা নিরাপদ স্থানে তার বাসস্থানের জন্য তাকে স্থানান্তরিত করতে। অনেক চেষ্টা করেও পারলেননা, মানবসেবায় আমরা ময়মনসিংহ টিমের সদস্যরা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কে বিষয়টি অবগত করার পর পিবিআই ময়মনসিংহের পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার প্রায় ৩ঘন্টার চেষ্টায় মানসিক সমস্যাগ্রস্ত এই মহিলাকে রক্ষণাবেক্ষণের পর সমাজসেবা অধিদপ্তরের শিশু আশ্রমের সাথে কথা বলে এক রাতের জন্য রাখার ব্যবস্থা করেন।
পিবিআই এর এসপি রাকিবুল আক্তারের মানবিকতা,পরিকল্পনা ও চেষ্টায় এই কাজ সমাপ্ত হওয়ায় অনেকেই তাকে ধন্যবাদও জ্ঞাপন করেছেন। সুত্র জানায়- প্রথমে মহিলাকে জিলা স্কুলের সামনে খুঁজে পান এরপর আমাদের সুপরিচিত বাবলী নামক একজনের মাধ্যম জানতে পেরে তৎক্ষনাৎ মানবসেবায় আমরা ময়মনসিংহ টিম সেখানে উপস্থিত হয় এবং মহিলাকে শীতের বস্ত্রও প্রদান করেন।এরপর পিবিআই পুলিশ সুপার রাকিবুল আক্তার, সমাজসেবা,জেলা পুলিশ, পিবিআই প্রতিনিধি সহ সকলের চেষ্টায় তাকে আশ্রমে নিয়ে যাওয়া হয়।আপতত তাকে এক রাতের জন্য শিশু আশ্রমে পাঠালেও পরদিন থেকে সরকারিভাবে অর্থাৎ সমাজসেবা অধিদপ্তর থেকে বাকি নিয়ম মাফিক কাজকর্ম করে চিকিৎসা সহায়তার পাশাপাশি যা সুবিধা দেওয়ার প্রয়োজন সব রকমের সেবা তাকে দেওয়ার হবে বলে জানা গেছে।
জিলা স্কুলের আশপাশের এলাকায় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে, মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে কিছুদিন ধরে বাজারের বিভিন্ন স্থানে ঘোরাফেরা করতে দেখা গেছে। সারাক্ষণ শুধু শুধু অশ্লীল গালাগালি করতেন,তার কাছে কেহ থাকতেই পারতোনা,বাড়ী কোথায়, কি পরিচয় কোন কিছু জানার কোন উপায় ছিলোনা, রাতে জিলা স্কুলের আশপাশেই ওই নারী ঘুমাতেন।
স্থানীয় কয়েকজন বলেন, ‘মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীর থাকা,খাওয়া ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করে পিবিআই পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার মানবিকতার এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। আমরা এই কাজে এসপি সাহেবকে সাধুবাদ জানাই।’
পিবিআই পুলিশ সুপার রকিবুল আক্তার বলেন, ‘কোনো বাহবা বা প্রশংসা পাওয়ার জন্য নয়, বিবেকের তাগিদেই ওই মানসিক ভারসাম্যহীন নারীর পাশে দাঁড়িয়েছি। বর্তমানে মহিলাটি সমাজসেবা কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে আছে।’