ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি:
ময়মনসিংহের ভালুকায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ অত্যাচার ও নির্যাতনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন একটি শিক্ষক পরিবার। গতকাল সোমবার দুপুরে ভালুকা প্রেসক্লাবে তারা ওই সংবাদ সম্মেলনটি করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, শিক্ষক পরিবারের সদস্য নূর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী টিপু।
লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করা হয়, জনৈক মতিউর রহমান গংরা তাদের পাড়াগাঁও মৌজার ৯৮৪, ৯৮৫, ৯৮৬, ৯৮৭ ও ৯৮৮ নম্বর দাগে ২০৫ জমি জবর দখল করার চেষ্টা চালায়। পরে ন্যায় বিচারের জন্য বিষয়টি স্থানীয় এমপি কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুর কাছে লিখিত আবেদন করলে তিনি বিষয়টি দেখার জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুল কালামকে দায়িত্ব দেন। কিন্তু চেয়ারম্যান দীর্ঘদিনেও ওই বিষয়ে কোন প্রদক্ষেপ নেননি। এদিকে চেয়ারম্যানের ইন্ধনে তাদের (টিপু) বাড়িটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। এতে তারা বাস্তহারা হয়ে পড়ে। পরে ২০২১ সালের ২৫ ডিসেম্বর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালামের মধ্যস্থতায় এন.ডি.ই স্ট্রিল ট্রাকচার লিমিটেডের কাছে বিক্রি করে ২০৫ শতাংশ জমি বিরোধ নিষ্পত্তি করা হয়। কিন্তু উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম সুকৌশলে তারই নিকটাত্মীয় এন.ডি.ই স্ট্রিল ট্রাকচারের জি.এম জয়নাল আবেদীন জনির সহযোগিতায় তাদের নামে যমুনা ব্যাংক লিঃ মাওনা শাখা দেয়া ৮৩ লাখ ৩৭ হাজার ৫৪২ টাকার চেকটি (নম্বর ঔঈঅই ৫৩২৬৩৯৭) উত্তোলন করে নিয়ে যান।
অপরদিকে মিন্টু ব্র্যাক ব্যাংক, ভালুকা শাখা থেকে লোন নিয়ে হাফবিল্ডিং ১৪ টি রুম নির্মাণ করলে উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের নির্দেশে তার ছোট ভাই আবুল কাশেম সন্ত্রাসীদের নিয়ে দিবালুকে ওই রুমগুলো ভেঙ্গে ফেলে।
তাছাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের সহযোগিতায় স্থানীয় আজিম উদ্দিনের ছেলে ভূমিদস্যূ আতাউর রহমান তার বাবা আব্দুল হাই মাস্টারের পাড়াগাঁও মৌজায় সাবেক ২৯৪ দাগে ৬৫ শতাংশ জমি ভূয়া কাগজে এন.ডি.ই স্ট্রিল ট্রাকচার লিমিটেডের নামে জবর দখল করে দেয়। এ বিষয়ে সালিসের মাধ্যমে তাদেরকে ছয় লক্ষ টাকা দেয়া হলেও অদ্যবধি বাকি টাকা পরিশোধ করেনি।
তাদের অভিযোগ, উপজেলা চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ কর্তৃক একের পর এক প্রতারিত ও নির্যাতিত হয়ে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, টিপুর বৃদ্ধ শিক্ষক বাবা আব্দুল হাই মাস্টার, ভাই নূরে রব মিন্টু, স্ত্রী স্বপ্না আক্তারসহ পরিবারের সদস্য এবং প্রতিবেশি আজাহার আলী, আব্দুল কাদির মন্ডল ও আব্দুর রশিদ মন্ডল।