Header Image

বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও পরোপকারী শংকর প্রসাদ চন্দ’র দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

 

নিজস্ব প্রতিবেদক।।

আজ বিশিষ্ট সমাজ সেবক পরোপকারী দানশীল শংকর প্রসাদ চন্দ’র দ্বীতিয় মৃত্যুবার্ষিকী। তিনি ২০২১ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে রাত ১১টা ৫০ মিনিটে হৃদ রোগ জনিত কারনে মৃত্যু বরন করেন। পরবর্তী দিন অর্থাৎ ১০ই ফেব্রুয়ারী তাকে বানারীপাড়া তার নিজ পারিবারিক শ্বশানে দাহ্ করা হয়। মৃত্যুর সময় তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর। মৃত্যুকালে তিনি তার স্ত্রী ও দুই কন্য, এক পুত্র সন্তান সহ এক কন্যার পতি, দুই নাতনী ও তার ছোট দুই ভাইকে রেখে যান।

উল্লেখ্য তিনি ছেলেবেলা থেকেই অনেক সংগ্রামের মধ্যেই জীবন কাটিয়েছেন। তিনি ছোটবেলা থেকেই বাঙালি সংস্কৃতিতে বড় হয়ে উঠেছেন। তিনি নিজে গান গাইতেন ও গান শুনতে পছন্দ করতেন। তিনি একাধারে বিশিষ্ট সমাজ সেবক, পরোপকারী ও দানশীল ছিলেন। এছাড়াও তিনি ছিলেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও জনপ্রতিনিধি।

তিনি ব্রিটিশ ভারত, পূর্বপাকিস্তান ও বাংলাদেশের নাগরিক ছিলেন। তিনি ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের হয়ে কাজ করেছেন। এছাড়াও পূর্ব পাকিস্তানের সময় পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস ১৪ই আগস্ট কালো পতাকা তুলে জেল খেটেছিলেন। এছাড়াও স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে কাজ করেছেন। দেশ স্বাধীন হবার পর আশির দশকে এরশাদের উপজেলা ব্যবস্থায় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে ১নং মেম্বার নির্বাচিত হয়েছিলেন,যা ওই সময়ে নির্বাচিত চেয়ারম্যানের চেয়ে বেশি ভোট ছিলো। পাচঁ বছর মেম্বার পদে সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব করে পরবর্তীতে পাচঁ বছর দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত চেয়ারম্যান হিসাবে সুনামের সহিত দ্বায়িত্ব পালন করে গেছেন।এছাড়াও তিনি সমাজ সেবায় বড় অবদান রেখে গেছেন তিনি হিন্দুদের জাতীভেদ রোধে বেশ কঠোর হয়ে কাজ করে গেছেন। যার ফলশ্রুতিত তিনি প্রতিষ্ঠা করে গেছেন বানারীপাড়া উপজেলার মাছরং গ্রামের সার্বজনীন মন্দির ও তিনি ছিলেন বানারীপাড়া কেন্দ্রীয় সার্বজনীন মন্দিরের প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। যা হিন্দুদের সকলের জন্য অর্থাৎ হিন্দুদের জাতীভেদ ব্যতীত সার্বজনীন। এছাড়াও সমাজে তিনি সর্বদা হিন্দু ,মুসলিম ও অন্যান্য জাতীদের সম্পর্ক , সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। এছাড়াও তার কাছে কেহ সাহায্য নিতে আসলে তিনি আমৃত্যু কাউকে খালি হাতে ফেরাতেন না। এমনকি তিনি নিজে কষ্ট করেও অপরকে দান করতেন। তিনি সর্বদা অন্যের উপকারে ব্যস্ত থাকতেন। সমাজে তিনি পরোপকারী , দানশীল ও সমাজ সেবক বলে চিহ্নিত রয়ে গেছেন। আজও মানুষ তাকে শ্রদ্ধার সহিত মনে যায়গা দিয়ে রেখেছেন। তার বিয়োগে আজও মানুষ আফসোস করে বেড়ায়।

আজ তার দ্বীতিয় মৃত্যুবার্ষিকী। তার মৃত্যুবার্ষিকীতে তার আত্মার শান্তি কামনার জন্য দোয়া ও প্রার্থনা কামনা করেছেন তার স্ত্রী অঞ্জু চন্দ, বড় মেয়ে সোমা চন্দ, ছোট মেয়ে শর্মি চন্দ, নাতী কার্তিক দাস, নাতনী রাকা দাস, নাতনী ভূমি দাস,বড় কন্যার পতি অ্যাডভোকেট ফনি ভূষন দাস, তার ভাই নারায়ন চন্দ,জহর চন্দ ও তার ছেলে পার্থ চন্দ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!