নিজস্ব প্রতিবেদক:
ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জে জোরপূর্বক সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ে বাধা দেওয়ায় প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়েছেন সেতুবন্ধন কল্যাণ সংঘ হিজড়া সমিতির সভাপতি তনু হিজড়া।
গত বৃহস্পতিবার ৯ ফেব্রুয়ারি রাত ১১ টার দিকে শম্ভুগঞ্জ মোড়ে এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে কোতোয়ালী মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভোগী তনু হিজড়া। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন যাবত নগরীর শম্ভুগঞ্জ মোড় এলাকার বিভিন্ন স্থানে সাধারণ মানুষকে বেকায়দায় ফেলে শাকিন, সখি হিজড়া, সনিয়া হিজড়া ও রানী হিজড়াসহ তাদের সংঘবদ্ধচক্র জোড়পূর্বক টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসছে। টাকা না দিলে মারধরসহ নারী-পুরুষের শ্লীলতাহানি করে।
গত ৯ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার রাত আনুমানিক ১১ টার দিকে অনৈতিকভাবে চাঁদা আদায়সহ অসামাজিক কাজে বাধা দেয় তনু হিজড়াসহ তার সঙ্গীরা।
আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি ও বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতিসহ প্রাণনাশের হুমকি দিতে থাকে প্রতিপক্ষরা। এরই জেরে প্রতিপক্ষরা পূর্বপরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে নগরীর শম্ভুগঞ্জ মোড়ে তনু হিজড়া ও তার সহকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ সময় তনু হিজড়ার সাথে থাকা অন্যান্য হিজড়ারাও গুরুতর আহত হয়। এক পর্যায়ে ১ ও ২ নং বিবাদী তনু হিজড়াকে হত্যার উদ্দেশ্যে দুই হাত দিয়ে গলায় সজোরে চাপ দিয়ে শ্বাসরোধ করার চেষ্টা করে।
এ সময় তার গলায় থাকা দেড় লাখ টাকা মূল্যের স্বর্ণের চেইন কানের দুল এবং হ্যান্ডব্যাগে থাকা নগদ ৬০ হাজার টাকা জোড়পূর্বক ছিনিয়ে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী পিয়া হিজড়া
বলেন, সখি হিজড়া ও তাদের দলবল সাধারণ মানুষকে মারধর করে টাকা আদায় করত। এরই প্রতিবাদ করায় তনু হিজড়া ও আমদের উপর হামলা করে সখি হিজড়া ও তার সহযোগীরা।
এ সময় তনুসহ আমরা অনেকেই আহত হয়েছি। প্রত্যক্ষদর্শী অপর একজন মেরী হিজড়া বলেন, সখি ও তার দলবলের হামলায় আমার এক হাত ভেঙে গেছে। ওদের অত্যাচারে সাধারণ মানুষ অতিষ্ট। আমি এ ঘটনার বিচার চাই। হিজড়াদের গুরুমাতা দুলালী হিজড়া বলেন, সখি ও তার বাহিনীরা বেপরোয়া। কোন হিজড়া যদি ওদের কথা না শুনে তাহলে সেই হিজড়াকে মারধর করে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেয়।
ওদের অত্যাচারে সাধারণ হিজড়ারা অতিষ্ট। দুর-দুরান্ত থেকে ছেলেদের নিয়ে এসে হিজড়া সাজিয়ে চাঁদাবাজি করায়। ভূক্তভোগী তনু হিজড়া বলেন,শাকিন, সখি হিজড়া, সনিয়া হিজড়া ও রানী হিজড়াসহ তাদের সংঘবদ্ধচক্র শম্ভুগঞ্জ এলাকায় সাধারণ মানুষদের জিম্মি ও হয়রানি করে চাঁদা আদায় করে আসছে। তাদের এই অপকাজে আমি বাধা দিলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাঁরা আমার ও আমার সহযোগীদের উপর হামলা চালায়। আমি এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে সঠিক বিচার চাই।