Header Image

ময়মনসিংহে কনস্টেবল সাদ্দাম হত্যা মামলার আরেক আসামি গ্রেফতার

 

মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)

গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ইং শনিবার দুপুর ০৩.০০ ঘটিকায় অত্র কোতোয়ালী থানাধীন বাদে কল্পা গ্রামের আবুল হোসেনের মেহগুনি বাগান হতে পুলিশ কনস্টেবল সাদ্দাম এর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।

উক্ত কনস্টেবল সুনামগঞ্জ জেলায় কর্মরত ছিল। তিনি গত ২৪/০১/২০২৩ ইং তারিখ হতে কর্মস্থল হতে গড় হাজির ছিল। প্রাথমিকভাবে মৃতের গলায় কালচে দাগ দেখে ধারণা করা হয়েছিল তাকে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।

উক্ত ঘটনায় মৃতের স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার (২২), পিতা-নুরুল হক, মাতা-হাফিজা খাতুন, স্বামীমৃত: সাদ্দাম হোসেন, সাং বাঘের কান্দা, থানা কোতোয়ালী, জেলা ময়মনসিংহ বাদী হযে এজাহার দায়ের করলে থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলার রুজু করা হয়।

মামলাটি তদন্ত কালে জানা যায় যে, সাদ্দাম হোসেন প্রায় সময় চাকরির কর্মস্থল হতে গড় হাজির হয়ে বাড়িতে অবস্থান করত। ছুটিতে অভিবাস/ গড় হাজির থাকার কারনে ইতিপূর্বে বেশ কয়েকটি লঘু এবং গুরুদন্ডে দন্ডিত হয়েছেন। সাদ্দাম বিভিন্ন সময় মাদকের টাকার জন্য পিতা-মাতা সহ তাহার ডাই’কে বিরক্ত করতো। ঘটনার দিন ২৪/০২/২০২৩ তারিখ সকালে টাকার জন্য সাদ্দাম তার পিতা-মাতাকে লাঞ্চিত করে। খবর পেয়ে তাহার বড় ভাই মোঃ হাবিবুল করিম তপু ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে এবং তার বন্ধু আনোয়ারকে খবর দিয়ে নিয়ে আসে। একই তারিখ রাত ১১:০০ টায় তারা ঘটনাস্থল আবুল হোসেনের মেহগনি বাগানে পূর্বে ধৃত আসামি হাবিবুল করিম তপু এবং আনোয়ার সহ গ্রেফতারকৃত আসামী ফরিদ অবস্থান নিয়ে ভিকটিম সাদ্দামকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়।

সাদ্দাম কেন তাহার পিতা-মাতাকে লাঞ্ছিত করে এবং চাকরি স্থলে কেন যায় না এ নিয়ে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সাদ্দাম এর গলায় আসামীরা রশি দিয়ে পেঁচিযে শ্বাসরুদ্ধ করে গাছের সাথে আটকিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে রেখে চলে যায়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই (নিঃ) নিরুপম নাগ অভিযান পরিচালনা করিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় জড়িত মোঃ ফরিদ (২২), পিতা-মোঃ আলাল উদ্দিন, সাং- হাসিবাসি, থানা-কোতোয়ালী, জেলা-ময়মনসিংহকে ইং ০৯/০৩/২০২৩ ইং সকাল অনুমান ০৯.৩০ ঘটিকার সময় কোতোয়ালী থানাধীন বাঘের কান্দা সাকিনস্থ এলাকা হইতে গ্রেফতার করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!