জাহাঈীর আলম.
ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে খাদ্য অধিদফতর পরিচালিত হতদরিদ্রদের জন্য স্বল্প মূল্যে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিক্রিতে ওজনে কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ডিলারের বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, মঙ্গলবার উপজেলার উচাখিলা ইউনিয়নে খাদ্য অধিদপ্তরের ১৫ টাকা কেজি দরের চাল বিতরণকালে ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা থাকলেও দেয়া হচ্ছে ২৮ কেজি। উচাখিলা বাজারের ডিলার এম এ মালেক সরকারের দোকান থেকে কার্ডধারীরা ৩০ কেজি চালের মূল্য দিয়ে চাল নিতে হচ্ছে ২৮ কেজি। সরকারিভাবে বস্তাসহ চাল দেয়ার কথা থাকলেও ডিলাররা বস্তার নাম করে ক্রেতাদের কাছ থেকে ২০ টাকা আদায় করে নিচ্ছে।
চাল নিতে আসা একাধিক কার্ডধারীরা জানান, প্রতিবার এখান থেকে চাল নিয়ে অন্য যে কোন দোকানে মাপ দিলেই দেখা যায় দেড় থেকে দুই কেজি কম। পরে বিষয়টি প্রমাণ করতে ওই ডিলারের উপস্থিতিতে পার্শ্বের একটি দোকানে বিক্রিত চাল ওজন দিলে ২ কেজি কম হয়।
দুই কেজি কমের বিষয়ে জানতে চাইলে ডিলার মালেক বলেন, আমার দোকান থেকে বের হয়ে অন্য কোথাও হয়তো বিক্রি করে দিয়েছে, আমি ওজনে কম দেইনি।
একই দিনে পার্শ্বের ডিলার ওমর ফারুকের দোকানে গিয়েও দেখা যায় সেখানেও ওজনে এক কেজি কম দেয়া হচ্ছে।
এ সম্পর্কে ডিলার ফারুক বলেন, বস্তা খুলে মাপ দিলে কিছুটা কম হতেই পারে।
চাল বিক্রয়কালে ডিলারের দোকানে ট্যাগ অফিসারের উপস্থিতিতে চাল বিক্রয় করার নির্দেশ থাকলেও সরেজমিনে ট্যাগ অফিসারকে পাওয়া যায়নি।
এ অনিয়ম সম্পর্কে ইউএনও হাফিজা জেসমিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চাল কম দেয়ার কোন সুযোগ নেই। বিষয়টি তিনি দেখছেন।
পরে ইউএনও’র নির্দেশে উপজেলা খাদ্য বিভাগের উপ-পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন ও উপজেলা খাদ্য গুদামের এএসআই প্রবাস চন্দ্র দাস ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় প্রবাস চন্দ্র দাস বলেন, ৫০০ গ্রাম চাল কম দিতেই পারে। আর গোডাওনে চাল মজুদ থাকলে বাতাসেই চালের ওজন কমে যায়। এই ঘাটতি কি ডিলার জমি বিক্রি করে পুরণ করবে ?