বিশ্বাস
নীলিমা আক্তার নীলা
——————————
বিশাল একটি বাড়ির স্বপ্ন ছিলোনা আমার।
একটি বেডরুম
ড্রইংরুম
কিচেন
ছোট্ট একটি করিডোর,
ছাদে একটি ছাদ বাগান।
ফুলে, ফলে ভরে যেত আমাদের হাতের স্পর্শে।
ব্যালকনিতে বসে কফি খেতে খেতে
তোমাকে পাবার আনন্দটা কতটা সুন্দর
উপভোগ করতাম,
মুখে সারাক্ষণ একটু হাসির ছোঁয়া
লেগেই থাকতো আমার।
বন্ধু- বান্ধবীদের তোমার আমার
ভালোবাসার গল্প বলতে বলতে,
বিরক্ত করে ফেলতাম।
আমার পাগলামি দেখে, তুমি শব্দ করে হাসতে।
কী দারুণ ভাবে প্রতিটাদিন
স্বপ্নের মতো সেজে থাকতো।
আমাদের ভালোবাসায় ঈর্ষাম্বিত হয়ে
পৃথিবীও নুয়ে পড়তো হয়তো।
নির্মল ভালোবাসার এক গৌরবের ইতিহাস নিয়ে,
আমি ছুটে যাচ্ছি তোমার কাছে।
আমার স্বপ্ন বাস্তবায়নের গল্পটা খুব নিকটে।
আমাদের এতোদিনের ভালোবাসার স্বার্থকতায় রুপ নিবে,
ভাবতেই আনন্দে উজ্জ্বল হয়ে গেলো চোখ, মুখ।
তোমার গেইটের কাছে এসেই,
ভীষণ একটি ধাক্কা খেলাম আমি।
কারোর বিয়ের করুণ সানাইয়ের সুর বাজছে।
আমি ধীর পায়ে এগিয়ে গেলাম,
বরের সাজে তুমি বসে আছো।
মুখে কোন বেদনার চাপ নেই,
কাউকে পাওয়ার আনন্দে
তোমার উজ্জ্বল মুখখানা
আরো উজ্জ্বল হয়ে গিয়েছে।
এমন একটি অমানুষ, জানুয়ারকে
আমি ভালো বাসতে বাসতে
স্বর্গের আসনে বসিয়ে ছিলাম।
বিশ্বাস নামক একটি গল্প
আমাকে এভাবে থামিয়ে দেবে ভাবিনি।
আমি তোমার পাশে দাঁড়িয়ে আছি।
ভালোবাসার কষ্টের আঘাত
কতোটা তীব্র ভয়ানক
তখনই আমি বুঝতে পারলাম,
যখন আমার কান্নার শব্দে
পৃথিবীও কাঁদলো।