আমিনুল ইসলাম, ময়মনসিংহঃ
ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরানগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুল্লাহপুর গ্রামের মোঃ আফাজ উদ্দিন( মেম্বার ) লেদু মুহুরীর বাড়িতে আসা যাওয়ার রাস্তা থাকার পরও না থাকার অভিযোগ করেন। সরে জমিনে তদন্ত করে দেখা যায় তার বাড়িতে আসা-যাওয়ার একটি রাস্তা বিদ্যমান রয়েছে।
এলাকার লোকজনের তথ্য মতে জানা যায় পরাণগঞ্জ ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার তিনি। লেদু মুহুরীর বিরুদ্ধে এলাকায় বিভিন্ন লোকের মারফত জানা যায় তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ গ্রামবাসী।
এলাকার ছাত্র, কৃষক, সাধারণ মানুষ, রিক্সাওয়ালা, এমনকি ভিক্ষুক পর্যন্ত মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। তার মেয়ের জামাই, নাতিন জামাই, ভাতিজা এবং মেয়ের জামাই কেউ সে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেছে। বিভিন্ন অনলাইন, ফেসবুকে যে সংবাদ প্রচারিত হয়েছে তার বাড়ির রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে তা মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন।
এর আগে তিন তিনবার নির্বাচনে ফেল করেন মুক্তিযুদ্ধা আফাজ উদ্দিন লেদু মুহুরী। তিন তিনবার ফেল করার পর পরানগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের আগে প্রত্যেকটি মসজিদে গিয়ে সবার সামনে ওয়াদা করে বলে, আমাকে যদি আপনারা ভোট দিয়ে মেম্বার নির্বাচিত করেন। তাহলে আমি কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবো না। আপনারা আমাকে ভালো হওয়ার সুযোগ দিন।
একান্ত সাক্ষাৎকারে আব্দুল হাই বলেন, আমাকে কেউ ভয় ভীতি দেখানি আর আব্দুল মান্নান, হাসিম উদ্দিন, হানিফা, খোকা মিয়া উনারা আমাকে কোন ধরনের বাঁধা দেয়নি। আব্দুল হাই আরো বলেন, আমার বাড়ির পাশ দিয়ে একটি রাস্তা চলমান আছে। লেদু মুহুরী রাস্তা বন্ধ করার যে অভিযোগ তুলেছেন তা ভিত্তিহীন বানোয়াট মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
সাংবাদিকদের আব্দুল মান্নান ও স্থানীয় লোকজন সাক্ষাৎকারে জানান মুক্তিযুদ্ধা আফাজ উদ্দিন লেদু মুহুরীর বাড়িতে যাওয়ার বহু পুরাতন একটি রাস্তা চলমান রয়েছে। রাস্তাটি যদি আরও বড় করার প্রয়োজন হয় তাহলেও আমি জমি দিতে প্রস্তুত আছি। লেদু মুহুরী আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ এনেছে তা ভিত্তিহীন মিথ্যা বানোয়াট উদ্দেশ্য প্রণোদিত। আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এ বিষয়ে মুঠোফোনে মুক্তিযুদ্ধা আফাজ উদ্দিন লেদু মুহুরীকে জিজ্ঞেস করিলে সব অস্বীকার করে এবং বলে আপনারা যদি নিউজ করেন উল্টো আপনাদের ব্যপারেও অ্যাকশনে যাবো। আমি ২৬ বছর ধরে সহকারী আইনজীবী হিসেবে ময়মনসিংহ কোর্টে কাজ করি। আমি একজন মুক্তিযুদ্ধা। আমার পেছনে লাগতে যাবেন না।