Header Image

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করনের দাবীতে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন

 

মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)

মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয় করনের দাবীতে সোমবার ১৯ জুন সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবের সংবাদ সম্মেলন করেছে বাংলাদেশি শিক্ষক সমিতি (বি.টি.এ) ময়মনসিংহ জেলা শাখা।

সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি (বিটিএ) ময়মনসিংহ জেলা শাখার সভাপতি মোঃ চাঁন মিয়া এর সভাপতিত্বে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আনোয়ার হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন শামছুন্নাহার বেগম,সহ-সভাপতি কেন্দ্রীয় কমিটি। এনামুল হক সরকার সভাপতি, গৌরীপুর উপজেলা শাখা।

মোঃ শরাফ উদ্দীন সভাপতি, ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা শাখা। এ কে এম সাইফুল ইসলাম কাজল সভাপতি, ফুলবাড়ীয়া উপজেলা শাখা। আতা মোঃ আল আমিন সাংগাঠনিক সম্পাদক, ময়মনসিংহ জেলা শাখা ও সাধারণ সম্পাদক সদর উপজেলা শাখা। যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এরশাদুর রহমান সহ প্রমুখ ।

বর্তমান বাংলাদেশের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রায় ৯৫% পরিচালিত হয় বেসরকারি-শিক্ষক-কর্মচারী দ্বারা। পরিতাপের বিষয় একই কারিকুলামের অধীনে একই সিলেবাস, একই একাডেমিক সময়সূচি, একই প্রশ্নপত্র প্রণয়ন ও উত্তরপত্র মূল্যানের কাজে নিয়োজিত থেকেও আর্থিক সুবিধার ক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে রয়েছে পাহাড়সম বৈষম্য। এমপিওভুক্ত শিক্ষকগণ মাত্র ২৫% উৎসব ভাতা, ১,০০০ টাকা বাড়িভাড়া এবং ৫০০ টাকা চিকিৎসা ভাতা পান বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠান প্রধানগণের বেতন স্কেলের একধাপ নিচে প্রদান করা হয়।

তাছাড়া সহকারি প্রধান শিক্ষকগণের উচ্চতর স্কেল প্রদান না করার ফলে উচ্চতর স্কেলপ্রাপ্ত সিনিয়র শিক্ষকগণের বেতন স্কেল ও সহকারি প্রধান শিক্ষকগণের বেতন স্কেল সমান হওয়ায় সহকারি প্রধান শিক্ষকগণের মধ্যে দীর্ঘদিনের অসন্তোষ রয়েছে।

বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীগণ অবসরে যাবার পর অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্টের টাকা পেতে বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হয়। ফলে অনেক শিক্ষক-কর্মচারী টাকা পাওয়ার পূর্বেই অর্থাভাবে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুবরণ করেন। তাছাড়াও কয়েক বছর যাবৎ কোন প্রকান সুবিধা না দিয়েই অবসর সুবিধা ও কল্যাণ ট্রাস্ট খাতে শিক্ষক-কর্মচারীগণের বেতন থেকে অতিরিক্ত ৪% কর্তন করা হচ্ছে যা অত্যন্ত অমানবিক।ইউনেস্কো ও আইএলও’র সুপারিশ অনুযায়ী শিক্ষা খাতে বাজেটের ২০% অথবা জিডিপি’র ৬% বরাদ্দের কথা থাকলেও ২০২২-২৩ অর্থ বছরে জাতীয়র বাজেটের ১১.৯২% অথবা জিডিপি’র ২% এরও কম বরাদ্দ রাখা হয়েছে।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৩ সালে একটি যুদ্ধবিদধস্ত দেশে প্রায় ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছিলেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৬ হাজার বেসরকারি রেজিস্টার্ড প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করেছেন।

পরিতাপের বিষয় দেশে প্রাথমিক ব্যতীত সকল স্তরে সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষা ব্যবস্থা চালু থাকায় একই দেশের নাগরিক হয়েও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শিক্ষা ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার। তাই মাধ্যমিক শিক্ষা জাতীয়করণ এখন সময়ের দাবি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!