Header Image

ভালুকায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের উত্যক্তের অভিযোগ ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা

 

আনোয়ার হোসেন, ভালুকা প্রতিনিধি :

ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বনকূয়া লোহাবৈ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির ভাতিজা ধর্মীয় শিক্ষক নূর হোসেন কর্তৃক শ্রেণী কক্ষে ছাত্রীদের অশালীন ভাষায় উত্যাক্ত করা সহ মারপিটের অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের অভিভাবকদের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তরিঘরি করে কমিটির সভাপতির উদ্যোগে ১৬ জুলাই রোববার স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ে এক সাজানো শালিশের আয়োজন করেন।

শালিশে বনকূয়া দক্ষিণ পাড়া গ্রামের ছাত্রী অভিভাবক সুরুজ মিয়া জানান, ষষ্ঠ শ্রেণী পড়–য়া তার মেয়েকে (১২) সহ অন্যান্য ছাত্রীকে বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক পাশের সোয়াইল গ্রামের আরজ আলী খার ছেলে নূর হোসেন শ্রেণী কক্ষে পাঠদানের সময় প্রায়ই বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ প্রস্তাব ও অশালিন ভাষায় উত্যক্ত করে থাকেন।

গত ১৪ জুলাই ক্লাস চলাকালে তার মেয়েকে উত্যক্ত করে এমনকি ওই শিক্ষকের সাথে গেলে মেয়েকে এক লাখ টাকা দেয়ার প্রস্তাব করেন। ঘটনাটি অন্যান্য অভিভাবকদের অবহিত করেন এবং বিষয়টি মৌখিকভাবে স্কুল কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমান তালুকদারকে জানান। পরে বিষয়টি ধামাচাপা দিতে তরিঘরি করে কমিটির সভাপতির উদ্যোগে ১৬ জুলাই রোববার স্কুল ম্যানেজিং কমিটি বিদ্যালয়ে এক সাজানো শালিশের আয়োজন করেন। এ সময় উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাসুমা সুলতানা শালিশে উপিস্থত হন।

এ সময় তিনি অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে নিয়ে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রীদের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা পান। শালিশে উপস্থিত শতাধিক অভিভাবক ওই শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তিসহ বহিষ্কারের দাবি জানান।
এব্যাপারে অনেকবার চেষ্টা করেও অভিযুক্ত শিক্ষকের বক্তব্য দেয়া সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লোকমান হেকিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, তার শিক্ষকতার জীবনে এমন ঘটনা শুনেননি বলে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আনিছুর রহমাস তালুকদার জানান, ঘটনা জানার পর তিনি তার ভাতিজা নুর হোসেনকে ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত স্কুলে যেতে নিষেধ করেন। ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার মাসুমা সুলতানা জানান, প্রাথমিক তদন্তে তিনি ঘটনার সত্যতা পেয়েছেন এবং বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে মোবাইলে অবহিত করেছেন। অভিযুক্ত শিক্ষক নুর হোসেনকে তাৎক্ষনিক তিনদিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য কারণ দর্শাণোর নোটিশ প্রদান করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!