মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহে বাসাবাড়িতে তিতাস গ্যাসের সংযোগ পুণরায় চালুসহ ১০ দফা দাবিতে কর্মবিরতি ও নাগরিক অবস্থান করেছে জেলা নাগরিক আন্দোলন ও উন্নয়ন সংগ্রাম পরিষদ এবং গ্রাহক-গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার ঐক্য ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা কমিটি ও আবাসিক গ্যাস গ্রাহক ও বেকার ঠিকাদার সহ সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার ২৯ জুলাই সকালে গাঙ্গিনারপাড় ট্রাপিক মোড়ে নাগরিক দাবি জানিয়ে কর্মসূচি পালন করা হয়েছে । এ সময় দাবিগুলো উত্থাপন করে বক্তারা বলেন, সকালে ও বিকালে ঢাকা হতে ময়মনসিংহ ২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন চালু করতে হবে।
বাসা বাড়িতে বন্ধ থাকা আবাসিক তিতাস গ্যাস সংযোগ পূণরায় চালু করতে হবে। নদকে খাল বানানো থেকে রক্ষা করে সঠিকভাবে ব্রহ্মপুত্র নদ খনন করতে হবে। ময়মনসিংহ মহানগরকে যানজট মুক্ত করতে হবে। ঢাকা ময়মনসিংহ ডুয়েল গেজ রেললাইন স্থাপন করতে হবে। অনতিবিলম্বে ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরের নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।
শহরের মাঝখানের রেললাইনের উপর ফ্লাইওভার ব্রীজ করে বর্তমান রেললাইনের স্থানে, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খাগডহর ঘুন্টি পর্যন্ত শহরে সড়ক নির্মাণ করতে হবে। শহরের একমাত্র বিষফোঁড়া ত্রিশাল বাসস্ট্যান্ড স্থানান্তর করতে হবে।
শম্ভুগঞ্জ ব্রিজ থেকে খাগডহর বিজিবি ক্যাম্প পর্যন্ত শহর রক্ষা বাঁধের পাশ দিয়ে সম্পূর্ণ নতুন সড়ক নির্মাণ করতে হবে। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা নাগরিক আন্দোলনের সভাপতি এড. এ. এইচ. এম খালেকুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৌশলী নুরুল আমিন কালাম, এড. শিবির আহমেদ লিটন,খন্দকার সুলতান আহমেদ, রমজান আলী খন্দকার, জাহাঙ্গীর আকন্দসহ প্রমুখ।
গ্রাহক-গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার ঐক্য ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সভাপতি মোঃ রমজান আলী খন্দকার বলেন, ময়মনসিংহ বিভাগীয় শহরে দীর্ঘদিন যাবত আবাসিক পর্যায়ে গ্যাস সংযোগ বন্ধ থাকায় ঠিকাদার ও ভবণ মালিকরা অসহায়ভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে জীবনযাপন করছে। কাজেই যারা গ্যাস সংযোগের জন্য টাকা জমা দিয়েছে তাদেরকে দ্রুত গ্যাস সংযোগ দিতে হবে এবং বন্ধ আবাসিক তিতাস গ্যাসের সংযোগ পুনরায় চালু করতে হবে।
যারা বাসাবাড়ি নির্মাণ করেছে তারা গ্যাস সংযোগ পেলে সংযোগগুলো বর্ধিত করতে পারত। এতে করে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পেত এবং সরকারের রাজস্ব আদায়ও বৃদ্ধি পেত। গ্রাহক-গ্যাস পাইপ লাইন নির্মাণ ঠিকাদার ঐক্য ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোঃ জাহাঙ্গীর আকন্দ বলেন, দীর্ঘ ৮/১০ বছর পূর্বে সারাদেশে ২ লক্ষ ১৫ হাজারের অধিক গ্রাহক এবং ময়মনসিংহ তিতাস গ্যাসে প্রায় ৫০ হাজার গ্রাহক আবাসিক গ্যাস সংযোগের অনুমোদন পেয়ে ডিমান্ড নোটের টাকা ব্যাংকে টাকা জমা দিয়েও আজ পর্যন্ত সংযোগ পায়নি।
অনেকে গ্যাস সংযোগের আশায় ব্যাংক থেকে কোটি কোটি টাকা ঋণ নিয়ে বাড়ি নির্মাণ করে গ্যাসবিহীন বাড়ি ভাড়া দিতে না পারায় ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করতে পারছে না, এতে করে দেশে ঋণ খেলাপি বাড়ছে। তিতাস গ্যাস সংযোগ নীতিমালা অনুযায়ী ব্যাংকে টাকা জমা হওয়ার পরবর্তী ১৮ কর্মদিবসের মধ্যে গ্যাস সংযোগ দেয়ার বিধান রয়েছে। তাই বিষয়টি সরকারের বিশেষ বিবেচনা করা উচিত। গ্যাস গ্রাহকদের পক্ষে খোরশেদ আলম ও আবু তাহের মিজবা বলেন, আমাদের সরকার জনগণের সরকার।
এই সরকার দেশের প্রতিটি মানুষের সার্বিক কল্যাণে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমরা এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করছি। পাশাপাশি কাংঙ্খিত প্রত্যাশা পূরণ করে বেকার হয়ে যাওয়া গ্যাস ঠিকাদারদের কর্মসংস্থান ফিরিয়ে দিতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানাই।