
ময়মনসিংহ প্রতিনিধি :
ময়মনসিংহের ভালুকায় একুশে টেলিভিশনের ভালুকা প্রতিনিধি’র বিরুদ্ধে সাজানো মানববন্ধন করে পুত্রের বিরুদ্ধে পিতার মনগড়া মিথ্যা অর্থ ।আত্মসাতের উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী সাংবাদিক এস এম জাহাঙ্গীর আলম ও তার পরিবার।
বৃহস্পতিবার (৩১ আগষ্ট) বিকেলে ওই সাংবাদিকের বাসভবনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে এস এম জাহাঙ্গীর আলম জানান এলাকার চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ভ‚মিদস্যু মৃত বারেক কুমারের পুত্র আশরাফুল কুমার তার বাবা সুলতান উদ্দিন এর সাথে বিশেষ সম্পর্ক স্থাপন করে বিরোপূর্ণ জমি নিজের নামে নিয়ে দালালী করে আসছেন দীর্ঘদিন যাবত।
এতে একই জমি একাধিকবার বিক্রি এবং টাকা নিয়ে জমি রেজিস্ট্রি করে দিয়ে জমির দখল বুঝিয়ে না দিয়ে নানা রকম হুমকী প্রদান করার মাধ্যমে অসহায় মানুষকে হয়রানী করে আসছেন।
সম্প্রতি আমার গফরগাঁও সড়কের পাশে ৫৮৮ নং দাগে নাম মাত্র মূল্যে ৫ শতাংশ জমি ওই ভ‚মিদস্যুকে দেয়ার জন্য এবং জমি বিক্রির টাকা থেকে ৫ লক্ষ দেয়ার জন্য আমার বাবা আমাকে চাপ সৃস্টি করে আসছিলেন।
আমি তাতে রাজি না হলে ওই ভ‚মি দালাল এবং আমার বাবা আমার উপর চড়াও হয়ে আমার বাড়ীর উঠানে থাকা ৪ শতাংশ জমি আমার ছ্টো ভাইয়ের নিয়ে বেদখল দেয়ার চেষ্টা চালায়। অথচ এই জমি আমার বাবা সুলতান উদ্দিন নিজেই অনত্র বিক্রি করেছিলেন আমি সাড়ে ৮ লক্ষ টাকা দিয়ে উনার বিক্রিত জমি ফেরত এনে বাড়ীর উঠান করে বসবাস করে আসছি।
আর এই জমি বেদখলের পায়তারা ভ‚মিদস্যু আশরাফুল কুমার আমার ছ্টো ভাই হেলাল, শরীফ গংদের সীমাহীন অত্যাচার, হুমকি ধামকীতে অতিষ্ট হয়ে গত ২৬ আগষ্ট আমি বাদী হয়ে সন্ত্রাসী আশরাফুল কুমার শরীফ হেলাল গংদের বিরোদ্ধে ভালুকা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। এতে আমার বাবা আমার প্রতি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে আমাকে আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মিথ্যাচার করছে।
অন্যদিকে আমার বাবা সুলতান উদ্দিন গত ১৩/০৭/২৩ ইং তারিখে ভালুকা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে নিজের স্বাক্ষরিত একটি সাব কাওলা দলিল সম্পাদনের মাধ্যমে জাহাঙ্গীর আলম কাজলের কাছে ৪ শতাংশ জমি (আগে পরে মিলিয়ে) ৮ লক্ষ টাকা গ্রহন করে বিক্রি করেন এবং জমি বিক্রির টাকা দিয়ে ঈদে কোরবানীর গরু ক্রয়, থাকার ঘর মেরামত, জমিতে ধান লাগানোসহ পাওনাদারদের ঋন পরিশোধ করেছেন।
যেহেতু জমি উনার স্বাক্ষরে বিক্রি হয়েছে জমি বিক্রির আগেই উনি ৪ লক্ষ টাকা নিয়ে নিয়েছেন তাহলে জমি রেজে্িরষ্টর দিন ২২ লক্ষ টাকা কোথায় পেলেন যা আমি । আত্মসাৎ করিছি মর্মে তিনি অভিযোগ করেছেন। সমাজে যারা বিবেকবান তাদের প্রতি সবিনয়ের সাথে প্রশ্নটি রাখলাম।
আবেগ আপ্লুত ভাষায় বাকরুদ্ধ ওই সাংবাদিক জাহাঙ্গীর বলেন এক জমি একাধিকবার বিক্রি কিংবা বিক্রিত জমিতে বসবাসরত বাহির থেকে আসা অসহায় পরিবার, উনার ভাড়াটিয়া ভ‚মিদস্যু আশরাফুল কুমারসহ অন্যান্য ছেলে ও মেয়ের-জামাইদের অসহায় অন্যায় ও অত্যাচার মামলা হামলার শিকার হয়ে উনাকে একের পর এক অভিশাপ প্রদান করছেন ছেলে হিসেবে বাবার জীবনের অভিশপ্ত জীবন সমাজের কলংক আমি যাইতে পারিনি ।
বিবেকের তাড়নায় কিছু দিন আগে আমার বাসায় ভ‚ক্তভোগীদের সাথে আমার বাবাকে বসিয়ে উপজেলা পরিষদের ভাই-চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম পিন্টু সাহেবের উপস্থিতিতে আমাকে দাদার দেয়া ২৮ শতাংশ জমি (যা উনি বিক্রি করেছেন) তাতে আমার কোন দাবী দাবা নেই ভ‚ক্তভোগীরা সেভাবে চাইবেন ওই ভাবেই আমি নি”দাবী কাগজ/দলিল করে দিবো। কিন্তু আমার বাবাকে আপনারা অভিশাপ দিবেন না যারা আপনাদের হয়রানী করছে আর যাতে তা করতে না পারে আমি আমার বাবা আপনাদের পাশে থাকবো বলে আমার বাবাও সবাইকে এমন প্রতিশ্রতি দেন। কিন্তু তার ২দিন পরই আবার ওই চক্রটি ভ‚ক্তভোগী ইমরুল কায়েস,বিমল পাল,সাইদুল ইসলামকে তাদের জমির সমস্যা আপোষ মিমাংশা করার জন্য মোটা অংকের টাকা দাবী করে তখন আমি তাদের পাশে দাড়াই এতেই আমি কাল হই ,বাবা প্রতিশ্রতি ভ‚লে গিয়ে আবার তাদের সাথে যুক্ত হলেন ।
এতে ওই দালাল ও অন্যান্য ভাইদের স্বার্থ নর্ষ্ট হবে বলেই তারা আমার বাবাকে দিয়ে মিথ্যা বানোয়ার্ড কাল্পনিক অর্থ আত্মসাতের গল্প শিখিয়ে ( যা মানব বন্ধনের ভিডিওতে দেখা যায়) দিয়ে আমার এবং পরিবার সদস্যদের জন্য চরম মানহানীর ।
আমি পরিকল্পিত,সাজানো,বানোয়ার্ড ও কাল্পনিক জগন্ন মিথ্যাচারের তীব্র নিদ্রা ও প্রতিবাদ জানাই পাশাপাশি আমি উক্ত ঘটনার সত্যতা প্রমানপত্র দেয়ার পরেও তা আমলে না নিয়ে বেশ কয়েকটি গণ মাধ্যমে এক তরফা উদ্দেশ্য প্রনোদিত সংবাদ প্রকাশ করায় ৩০বছর যাবত মহান এ পেশায় থাকা একজন সংবাদকর্মী হিসেবে হতভাগ হয়েছি। কয়েকজন নামধারী গণমাধ্যম কর্মীকে দেখেছি আমার বিরোদ্ধে কি বক্তব্য দিবে উপজেলা পরিষদ চত্বরের ভিতর বাবা কি বলবেন তা শিখিয়ে দিচ্ছেন। মানববন্ধনের ভিডিওতে দেখা যায় আমার বাবাকে বলানোর চেষ্টা করা হচ্ছে ২২লক্ষ টাকা আত্মসাতের কথা বলার জন্য তিনি জানেন না বললে ওই ভ‚মি দস্যু আশরাফুল বলছেন কেউ ২২লক্ষ টাকা । এই ভিডিওটিই তারা মিডিয়াতে প্রচার করেছেন । এতে আমাদের মহান এই পেশাদারিত্বের কতটুকু যোগ্যতার পরিচয় বহন করেন ওই গণমাধ্যম কর্মীগণ তা সংশ্লিষ্ট্য মিডিয়া প্রধান এবং উপজেলায় কর্মরত পেশাদার গণমাধ্যম কর্মীদের বিবেকের কাছে প্রশ্ন রেখে অদূর ভবিষ্যতে কারো বিরুদ্ধে এভাবে উদ্দেশ্য প্রনোদিত হয়ে সংবাদ প্রকাশ না করে সংবাদ সংগ্রহ এবং প্রকাশের ক্ষেত্রে দায়িত্বশীল হওয়ার অনুরোধ করছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভালুকা প্রেসক্লাবের সভাপতি, দৈনিক ইনকিলাবের ভালুকা প্রতিনিধি, কামরুল হাসান পাঠান কামাল, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় ভালুকা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রবীন সাংবাদিক জিয়া উদ্দিন বাশার, ভালুকা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাদেশ প্রতিদিনের ভালুকা প্রতিনিধি আসাদুজ্জামান সুমন, কালের কন্ঠের ভালুকা প্রতিনিধি মোখলেছুর রহমান মনির, দৈনিক যুগান্তর ও বৈশাখী টিভির ভালুকা প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম জুয়েল, দৈনিক সংবাদের ভালুকা প্রতিনিধি আতাউর রহমান তরফদার, ভালুকা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্কাস আলী, প্রথম আলোর ভালুকা প্রতিনিধি মাহমুদুল হাসান ফোরাত, দ্যা এশিয়ান এজ এর প্রতিনিধি হুমায়ন আহমেদ সৃজন, দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের বিশেষ প্রতিনিধি এস এম খোরশেদ আলম, ভালুকা সাংস্কৃতিক ফোরামের সভাপতি উসমান গণি তুহিন, সাংবাদিক ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের শিল্পী সুজন খান সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক কর্মী আশিকুর রহমান শ্রাবন, ভ‚ক্তভোগী,ইমরুল কায়েস সরকার,সাইদুল ইসলাম,বিমল পাল,বাবুল মিয়া,মজিবর রহমান,সুলতান উদ্দিন এর বড় মেয়ে শিল্পীসহ আরও অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।