মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার এর কনফারেন্স হলরুমে ৭ সেপ্টেম্বর দুপুরে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাসুম আহমেদ ভূঞা সাংবাদিক সম্মেলনে জানান গত ৪ সেপ্টেম্বর বিকাল অনুমানিক ৫ টায় ময়মনসিংহ জেলার কোতোয়ালী মডেল থানাধীন চকনজু সাকিনস্থ মির্জা পার্কের পূর্ব পাশে মির্জা মঞ্জুরুল হকের পুকুরে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ পাওয়া গেলে কোতোয়ালী থানা পুলিশ পুকুর হতে লাশ উদ্ধার পূর্বক হাসপাতাল মর্গে নিয়ে আসে। এই সংক্রান্তে কোতোয়ালী মডেল থানার জিডি নং—৩৫৮, ০৪/০৯/২০২৩ ইং লিপিবদ্ধ করা হয়।
পরবর্তীতে উক্ত লাশের নাম—ঠিকানা সনাক্ত করে কোতোয়ালী থানার এসআই (নিঃ) নিরুপম নাগ, এসআই (নিঃ) আনোয়ার হোসেন, এএসআই (নিঃ) সুজন চন্দ্র সাহাসহ পুলিশের একটি চৌকষ দল অনুসন্ধান শুরু করেন। স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত তথ্যাদি ও তথ্য—প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোঃ শরীফ মিয়া (২৫), পিতা—মৃত আঃ গনি, সাং—মোকামিয়া পূর্বপাড়া, থানা—ফুলপুর, জেলা—ময়মনসিংহকে নরসিংদী জেলার শিবপুর থানা এলাকা হতে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানায় যে, ঘটনায় নিহত তানজিল মিয়া (২৫), পিতা—জালাল উদ্দীন, সাং—ধলী, থানা—ফুলপুর, জেলা—ময়মনসিংহ ও ধৃত আসামী মোঃ শরীফ মিয়াসহ একত্রে বিভিন্ন সময়ে একসাথে বিভিন্ন ধরনের চুরি করত। চোরাই মালের ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে তাদের মধ্যে কলহ ছিল। এরই জের ধরে গত ০৩/০৯/২০২৩ ইং ভালুকা থানার সীডষ্টোর এলাকা হতে আসামী শরিফসহ আরো ০১ জন পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে নিহত তানজিল—কে হত্যার উদ্দেশ্যে রাত অনুমান ০৮.০০ ঘটিকায় কোতোয়ালী থানাধীন চুরখাই এলাকায় নিয়ে আসে। এরপর তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে একত্রে মাদক সেবন করার এক পর্যায়ে আসামী শরীফ মিয়ার পরিহিত কোমরের বেল্ট দিয়ে গলা পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে লাশ মির্জা মঞ্জুরুল হকের পুকুরে ফেলে রেখে চলে যায়।
এ সংক্রান্তে কোতোয়ালী মডেল থানার এফআইআর নং—২৫, তারিখ—০৭/০৬/২০২৩ ইং, ধারা—৩০২/২০১/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে। আসামী শরীফের বিরুদ্ধে ইতোপূর্বে ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর থানার এফআইআর নং—২/১৬৮, তারিখ—০৪ সেপ্টেম্বর,২০২১ ইং ধারা—৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড রুজু আছে। বিধি মোতাবেক আসামী শরীফকে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।