Header Image

তারাকান্দা পুলিশের অভিযানে পরকিয়া সংঘটিত হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন ও গ্রেফতার দুই জন

 

মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)

ময়মনসিংহের তারাকান্দায় গত ২৪ আগষ্ট ২০২৩ ইং রাত অনুমান সাড় এগারটায় পানের আড়তের কর্মচারী ভিকটিম বাবুল মিয়া তার পরকিয়া প্রেমিকা গার্মেন্টস কর্মী মোছাঃ সখিনা বেগম (৩৫) এর সাথে কাশিগঞ্জ বাজার হতে অজ্ঞাতনামা সিএনজিযোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় মর্মে তারাকান্দা থানায় জিডি নং—২১৪, তারিখ—০৫/০৯/২০২৩ ইং লিপিবন্ধ করা হয়।

উক্ত জিডির প্রেক্ষিতে এসআই (নিঃ) শাহাদত আলম খান দ্রুত প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেন। অনুসন্ধানকালে স্থানীয়ভাবে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য ও তথ্য—প্রযুক্তি নির্ভর বিশ্লেষণ করে তারাকান্দা থানার একটি আভিযানিক দল গত ০৬ আগষ্ট ২০২৩ ইং সকাল ৯ টায় গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গী পশ্চিম থানাধীন বাদাম নামক স্থানে অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম বাবুল মিয়ার নিখোঁজ হওয়ার ঘটনায় জড়িত আসামী ১। মোছাঃ সখিনা বেগম (৪০) ও তার স্বামী রাজমিস্ত্রী ২। মোঃ শাহজাহান মিয়া (৪৫), পিতা—মৃত জালাল উদ্দিন, উভয় সাং—মহিষবেড়, থানা-পূর্বধলা, জেলা—নেত্রকোণা—দেরকে আটক করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামীদ্বয় জানায় যে, আসামী মোছাঃ সখিনা বেগম—এর সাথে ভিকটিম বাবুল মিয়ার পরকিয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল।

এই বিষয়ে আসামী সখিনা বেগমের স্বামী মোঃ শাহজাহান মিয়া জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ভিকটিম বাবুল মিয়াকে হত্যা করার জন্য আসামী সখিনা বেগম—কে চাপ প্রয়োগ করে এবং হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী গত ২৪ আগষ্ট ২০২৩ ইং অনুমান রাত সাড়ে এগারটায় আসামী সখিনা বেগম ঢাকা থেকে এসে তারাকান্দা থানাধীন বিসকা ইউনিয়নের খিচা নামক স্থানে অবস্থান করে। আসামী মোঃ শাহজাহান মিয়া নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানাধীন মহিষবেড় এলাকায় অবস্থান করে। পরিকল্পনা অনুসারে আসামী সখিনা বেগম ভিকটিম বাবুল মিয়াকে ফোন করে ডেকে এনে মিথ্যা প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে অজ্ঞাতনামা সিএনজি যোগে রাত অনুমান সাড়ে এগারটায় রওনা করে রাত অনুমান ১.৪৫ মিনিটে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানাধীন মহিষবেড় এলাকায় তার বাড়ির কাছে একটি জঙ্গলে নিয়ে যায়।

আসামী মোঃ শাহজাহান মিয়া ও তার আত্মীয় অপর একজন আসামী সখিনা বেগমকে বাড়ীতে পাঠিয়ে দিয়ে ভিকটিম বাবুল মিয়াকে নেত্রকোনা জেলার পূর্বধলা থানাধীন মহিষবেড় এলাকায় জনৈক জয়নাল আবেদীন মাস্টারের পুকুরের দক্ষিণ পাশে নিয়ে গত ২৫ আগষ্ট ২০২৩ ইং রাত অনুমান ২.৩০ মিনিটে হাত দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে এবং লাশ গুম করার উদ্দেশ্যে সিদলা বিলের মাঝখানে সরকারি খাস পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে মাটি নিচে পুতে রাখে। পরবর্তীতে আসামীদের দেওয়া তথ্য মতে গত ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং ৫.৪৫ মিনিটে মোঃ আতাহারুল ইসলাম তালুকদার, সহকারী পুলিশ সুপার, ফুলপুর সার্কেল।তারাকান্দা থানা অফিসার ইনচার্জ আবুল খায়ের ও সঙ্গীয় অফিসার ফোর্সসহ উল্লেখিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মাটি খুড়ে ভিকটিম বাবুল মিয়ার অর্ধগলিত মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

এই ঘটনা সংক্রান্তে তারাকান্দা থানার মামলা নং—০৬, তারিখ—০৬/০৯/২০২৩ ইং. ধারা—৩৬৪/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়েছে। পুলিশি নিরাপত্তায় আসামী—দের বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!