Header Image

ঈশ্বরগঞ্জে নারী কেলেঙ্কারীর জেরে স্কুলে তালা

 

বিশেষ প্রতিনিধি:

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে নারী কেলেঙ্কারির জেরে একটি স্কুলে তালা দিয়েছে এলাকাবাসী, এতে ব্যাহত হচ্ছে পাঠদান। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে বাজারের সেটঘরে বসে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার রাজিবপুর ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে আদর্শ কিন্ডারগার্টেন স্কুলে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, গত সোমবার দিবাগত রাতে আদর্শ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের একটি কক্ষে স্থানীয় ব্যবসায়ী শাহিন মিয়াকে এক নারীসহ আটক করে এলাকাবাসি। এসময় আটককৃত ওই নারী জানায় তাকে শাহীন, মাজহারুল ও চঞ্চল এখানে নিয়ে এসেছে। পরে স্থানীয়দের সাথে পরামর্শ করে তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও তালা লাগিয়ে দেয়া হয় স্কুলে।

বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা যায়, স্কুলে তালা দেয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের বাজারের সেটঘরে বসিয়ে পাঠদান করছেন শিক্ষকরা।

এসময় মোবাইল ফোনে অভিযুক্তদের সাথে কথা হলে আদর্শ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পরিচালক মাজহারুল ইসলাম জানান, স্থানীয় ব্যাবসায়ী শাহীন মিয়া আমার কাছ থেকে টয়লেটের কথা বলে চাবি নিয়েছিল। আমি তাকে চাবি দিয়ে বাড়িতে চলে আসলে ভোরবেলা এ ঘটনা সম্পর্কে আমাকে জানায় টিপু খান। আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না।

অভিযুক্ত চঞ্চল স্থানীয় বাজার সমিতির সভাপতি। তিনি জানান, বাজার সমিতি নিয়ে এখানে দুটি গ্রুপ রয়েছে। আমার প্রতিপক্ষ গ্রুপটি আমার সম্মানহানির উদ্দেশ্যে চক্রান্তমুলকভাবে আমাকে এখানে জড়ানো হচ্ছে। তারা নিজেরাই সব করেছে, ধরেছেও তারা ছেড়েছেও তারা, তারাই স্কুলে তালা দিয়েছে। এ ঘটনার বিষয়ে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

এদিকে আটককৃত শাহীন মিয়া জানান, আমাকে ফোন করে ডেকে এনে স্কুলে ঢুকিয়ে তালা দিয়েছে। আমি ওই মেয়েকে চিনিনা। আমাকে ফাঁসানোর জন্য এ ঘটনাটি সাজানো হয়েছে।

আদর্শ কিন্ডারগার্টেন স্কুলের মালিক পক্ষ টিপু খানের সাথে এ বিষয়ে কথা হলে তিনি জানান, আমি চাকরির সুবাদে এলাকার বাহিরে থাকি। তবে মাজহারুল আমার কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন। এ ঘটনার সমাধানের লক্ষ্যে আমি বাড়িতে যাচ্ছি।

প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় বাজার ইজারাদার আবু রায়হান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঘটনাস্থলে শাহীনকে পাওয়া গেলেও মেয়েটি মাজহারুল ও চঞ্চলের কথা বলেছে। যার ভিডিও রেকর্ড রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, পরস্পর ঘটনাটি শুনেছি তবে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।

রাজিবপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল আলী ফকির বলেন, ঘটনাটি আমি পরে শুনেছি, আমাকে না জানিয়েই যারা আটক করেছিলো তারাই ছেড়ে দিয়েছে। তবে আমার কাছে কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি।

ঈশ্বরগঞ্জ কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের সভাপতি অলক ঘোষ ছোটন জানান, এ স্কুলটি আমাদের সমিতির অর্ন্তভ‚ক্ত নয়। আর এমন কোন ঘটনা সম্পর্কে আমার জানা নেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!