এ ধারনার মধ্যে রয়েছে স্কুলের মাঠের বাইরে পরিত্যক্ত জায়গায় সবজি চাষ, ফুলের বাগান ও বৃক্ষ রোপন করা। মূলত: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুশাসন ‘১ ইঞ্চি জমিও অনাবাদি থাকবে না’ এ থেকেই সবুজ পাঠশালার পরিকল্পনার উদয়। বিদ্যালয়ের অব্যবহৃত জায়গাগুলো সাধারণত ময়লা ফেলার জায়গা হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
এতে করে বিদ্যালয়ের পরিবেশ থাকে নোংরা, দুর্গন্ধময় ঠিক তেমনি হয়ে ওঠে বিভিন্ন অসুস্থতা তৈরির উৎসস্থলে। তাছাড়া, নোংরা পরিবেশ শিশু এবং অভিভাবকদের স্কুল বিমুখ করে তোলে। ফলে ঝরে পড়া শিক্ষার্থীর হার বৃদ্ধির আশংকা থেকেই যায়। আর যাই হোক নোংরা পরিবেশে সুস্থ মানসিকতা নিয়ে বেড়ে ওঠা দুষ্কর। উপরন্তু পরিত্যক্ত বা অব্যবহৃত জমি বেদখল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে বহুলাংশে।
এসকল সমস্যা সমাধানে সবুজ পাঠশালা উদ্ভাবনী উদ্যোগটি হতে পারে পরিবর্তনের মাধ্যম। এখানে স্থাপিত ফুলের বাগান উপভোগ্য পরিবেশ যেমন শিশুদেরকে দেবে ঠিক তেমনি ফুল বাগান নিজ বাড়ির আঙিনায় করতে উদ্বুদ্ধ হবে। ফুলের নাম জানার শিখনও সম্পন্ন হবে। আর সবজি বাগানের বাস্তবায়ন সবুজ আঙিনা নিশ্চিত করার পাশাপাশি খাদ্য চাহিদা পূরনে সহায়ক হবে শিক্ষক শিক্ষার্থী সবার জন্য।
এ অনুশীলন যখন শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়ির আঙিনায় করবে তখন আমার বাড়ি আমার খামার বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে উঠবে। এটি শুধুমাত্র খাবারের চাহিদা পূরণ করবে তা নয় হতে পারে পরিবারের আয়ের উৎস। বাগানে কাজ করার চর্চা শিক্ষার্থীদেরকে মাদক সেবন সহ অন্যান্য অপকর্ম থেকে দূরে রাখতে সহায়ক হবে। নির্মাণ করবে সবুজ শ্যামল সোনার বাংলা। এতে করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ যেমন প্রশান্তিময় হবে, আকর্ষণীয় হবে তেমনি শিশুদের মাঝেও বাড়ির আঙিনায় চাষাবাদের অভ্যাস গড়ে উঠবে।
এছাড়াও SDG এর লক্ষ্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও মানসম্মত শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত হবে। আসুন সবুজ পাঠশালা বাস্তবায়ন করে শিশুদের জন্য আকর্ষণীয়, মানসম্মত, পাঠ উপযোগী বিদ্যালয়ের পরিবেশ নিশ্চিত করি।
মোঃ মিজাবে রহমত
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
তারাকান্দা ময়মনসিংহ।