মোঃ মিজাবে রহমত
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
তারাকান্দা, ময়মনসিংহ
প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে বলা হয়ে থাকে মানুষ গড়ার আতুর ঘর। মানুষ গড়ার এ ঘর আজ প্রায়ই অবহেলা আর খামখেয়ালি, নৈতিকতার অভাবে মূল কাজটি করতে পারছে না। অথচ অধিকাংশ বাংলাদেশ নাগরিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাদের পড়াশোনা ও মানুষ হিসেবে গড়ে উঠার হাতে খড়ি পেয়ে থাকে। আর একারণেই প্রাথমিক বিদ্যালয়কে শুধু পুথিগত বিদ্যা দানের মাধ্যম হিসেবে সীমাবদ্ধ রাখাটা জাতীয় জীবনে নেতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে। কেননা শিশু বয়সেই শৃঙ্খলা, পরিচ্ছন্নতা, নিয়মানুবর্তিতা, আচরণগত মাধুর্য, সততা, শিষ্টাচার, নৈতিকতা, মানবিকতা ও দেশপ্রেম গড়ে তোলার উপযুক্ত সময়। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে থাকাকালীন সময়ে এ শিক্ষা না পাওয়া গেলে বা অর্জন করতে না পারলে তা পরবর্তীতে আয়ত্ত করা কঠিন হয়ে পরে।
বলা হয়ে থাকে, কাঁদা মাটি যেমন গড়ন দেয়া হবে তেমন আকার ধারণ করবে। তাই প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের বিশেষ নজর দিতে হবে। এসময় থেকে শেখা চুল, নখ ছোট রাখা ; নাক, কান, চোখ পরিষ্কার রাখা, পোশাক পরিষ্কার রাখাসহ নিজেকে পরিষ্কার রাখার অনুশীলন আগামী দিনে আমাদের পরিচ্ছন্ন নাগরিক উপহার দেবে। আবার যেখানে সেখানে ময়লা, নোংরা আবর্জনা না ফেলে নির্ধারিত স্থানে ফেলার চর্চা আগামীর পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশের অন্যতম নিয়ামক হবে।
যথা সময়ে স্কুলে আসা ও যাওয়ার অভ্যাস শৃঙ্খলা ও নিয়মানুবর্তীতায় অভস্ত্য হওয়ার প্রথম পাঠ। প্রাক প্রাথমিকে খেলার উপকরণ ভাগাভাগি করে খেলা, ক্ষুদে ডাক্তারের আয়োজন বা মিডডে মিলে অংশগ্রহণ সহনশীলতা ও মানবিকতার গুণে সমৃদ্ধ হবার দ্বার উন্মোচন করে দেয়।
এছাড়াও প্রাত্যহিক জাতীয় সংগীতের সাথে সমাবেশ ও শপথ মন ও মননে নৈতিকতা ও দেশপ্রেমের অনুরণন তৈরি করবে।
যেভাবেই বলি না কেন আমাদের জাতীয় জীবনে মানুষের মতো মানুষ পেতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোন বিকল্প নেই। এ লক্ষ্য অর্জনে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষক, অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অকৃত্রিম আন্তরিকতা আবশ্যক