বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন অর্থ এমন এক ব্যক্তি যিনি জন্মগতভাবে বা রোগাক্রান্ত হয়ে বা দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বা অপচিকিৎসায় বা অন্য কোনো কারণে দৈহিকভাবে বিকলাঙ্গ বা মানসিকভাবে ভারসাম্যহীন এবং উক্তরুপ বৈকল্য বা ভারসাম্যহীনতার ফলে স্থায়ীভাবে আংশিক বা সম্পূর্ণ কর্মক্ষমতাহীন এবং স্বাভাবিক জীবনযাপনে অক্ষম। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু বলতে সেইসব শিশুদের বুঝায় সমবয়স্কদের তুলনায় যাদের বুদ্ধি সংবেদন, শারীরিক বৈশিষ্ট্য, ভাব বিনিময় ক্ষমতা ও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য মাত্রার কম বা বেশি হয় তাকেই ব্যতিক্রমী শিশু বলে আখ্যায়িত করা হয়। অর্থাৎ যারা সাধারণের বাইরে তারাই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু।
শ্রেণি কক্ষে কী কী করা উচিত আর কী কী করা উচিত না, তার তালিকা তৈরি করে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের বিদ্যালয়ে ধরে রাখতে পারি। আমার শ্রেণীতে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থাকলে বা সহপাঠী থাকলে তার প্রতি আমার কি রকম আচরণ হওয়া উচিত তা নিচে একটি তালিকার মাধ্যমে দেওয়ার চেষ্টা করলাম-
#বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের প্রথম সারিতে বসানোর ব্যবস্থা করা।
#তাদেরকে কথা বলার বা দেখানোর সুযোগ দেওয়ার ব্যবস্থা করা।
#কিছু না বুঝলে অথবা বুঝতে অসুবিধা হলে বুঝিয়ে দেওয়া।
#সহজ, সরল ও সাবলীল ভাষায় তাদের সাথে কথা বলা।
#তাদের সাথে সর্বদা ভালো আচরণ করা।
#তাদেরকে যে কোন সমস্যায় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা।
#তাদের কোনো অসুস্থতা দেখা দিলে বিলম্ব না করে অভিভাবককে জানানো।
#তাদেরকে সব সময় হাসিখুশি তথা বিনোদনের মধ্যে রাখা।
#শ্রেণীর অন্যান্য শিক্ষার্থীরাও যেন তাদের প্রতি সহানুভূতিশীল হতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
#তাদের সাথে ভাই বোনের মতো যেন সহপাঠীরা আচরণ করে এ ব্যাপারে ভূমিকা রাখা।
মোহাম্মদ শফিকুল ইসলাম
উপজেলা নির্বাহী অফিসার
সদর ময়মনসিংহ।