ময়মনসিংহের ত্রিশালে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারের দুইদিনের বৃষ্টিতে বন্যায় তিনশতকোটি টাকার ফিসারির মাছ ভেসে গেছে। উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নেই এ ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। বিশেষ করে উপজেলার ধানীখোলা, বৈলর, হরিরামপুর, কানিহারী, বালিপাড়া, ত্রিশাল, সাখুয়া, মোক্ষপুর ও মঠবাড়ী ইউনিয়নে এ ক্ষয়ক্ষতির পরিমান বেশি বলে জানিয়েছে মৎস্য খামারিরা।
উপজেলার হরিরামপুর গ্রামের ৫ নং ওয়ার্ডের ইউঃ পি সদস্য ও মৎস্য খামিরা দুলাল মিয়া জানান, দুইদিনের বৃষ্টিতে সৃষ্ট বন্যায় আমার প্রায় দশ লাখ টাকার ফিসারির মাছ ভেসে গেছে। তাছাড়াও আমার এলাকায় আমার এলাকায় আমার মতো অনেক খামারিরর মাছ ভেসে গেছে। একই গ্রামের আশিক আহমেদ জানান, আমার প্রায় অর্ধকোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে।
উপজেলার সাখুয়া ইউনিয়নের বাবুপুর গ্রামের মোমিন তালুকদার জানান, আমার এলাকায় অনেকের পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। উপজেলার মঠবাড়ী ইউনিয়নের হরিয়াগুনী গ্রামের আলমগীর হোসেন জানান, আকস্নিক বন্যায় আমার প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকার ফিসারির মাছ নদীতে ভেসে গেছে।
ত্রিশাল ইউনিয়নের ছলিমপুর গ্রামের সারা এগ্রো এন্ড ফিসারির সত্বাধিকারী তানিয়া আক্তার জানান, আকস্নিক বন্যায় আমার ফিসারির কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। ধানিখোলা ইউনিয়নের ঝাইয়ারপাড় গ্রামের নজরুল ইসলাম জানান, আমার অর্ধকোটি টাকার মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। এই ইউনিয়নের প্রায় সব ফিসারির মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে। মোক্ষপুর ইউনিয়নের রফিকুল ইসলাম জানান, আমার এক একর ফিসারির মাছ বন্যার পানিতে ভেসে গেছে।
ত্রিশাল মৎস্য প্রডিউসার অর্গানাইজেনের সাধারন সম্পাদক ফারুক আহমেদ জানান, গত দুইদিনের আকস্নিক বন্যায় ত্রিশালে খামারিদের সব মাছ ভেসে গেছে। এখন মৎস্য চাষীদের মাথায় হাত। অনেকে সব পুঁজি খরচ করে মাছ করে ছিল আবার অনেকে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে মৎস্য চাষ শুরু করে ছিল। এখন আকস্নিক বন্যায় মৎস্য চাষীদের সব সপ্ন শেষ হয়ে গেছে। আর মাত্র কয়েকদিন পরেই মাছ বিক্রির সময় ছিল। সরকার বিশেষ প্রণোদনা না দিলে ত্রিশালের মৎস্য চাষীরা আর উঠে দাড়ঁাতে পারবে না।
ত্রিশালে মৎস্য অফিসের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তোফায়েল জানান, আকস্নিক বন্যায় ত্রিশালে আনুমানিক তিনশত কোটির মাছ ভেসে গেছে।