ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহে পারিবারিক কলহের জের ধরে সহোদর ভাই,নোন ও ভাগ্নির হামলায় মা ছেলে আহত হয়েছেন।
সোমবার (৯অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নগরীর ২৬নং ওয়ার্ড শিকারীকান্দা ঝিগাতলা এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- ফাতেমা খাতুন(৪০) ও তার ছেলে ডালিম(১৮)। আহতদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুত্বর অবস্থায় রয়েছে ডালিম।
এই ঘটনায় কোতয়ালি থানায় আহত ফাতেমা খাতুন বাদী হয়ে ১১ই অক্টোবর একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। পুলিশ অভিযোগটি আমলে নিয়ে মামলা রেকর্ড করেছে যার নং-৩১/১০২৪। মামলার আসামীরা হলেন-মৃত হানিপ মিয়ার পুত্র বাবুল(৩৫), বাবুলের স্ত্রী রাজিয়া(৩০),সারুমোল্লাহ এর স্ত্রী লাকী(৪০),হানিফের মেয়ে চামেলী(৩০),মজি মিয়ার স্ত্রী নাজমা(৬০)।
কোতোয়ালি মডেল থানায় বাদী ফাতেমা খাতুনের লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আসামী বাবুল(৩৫) রাজিয়া(৩০), লাকী(৪০), চামেলী(৩০), নাজমা(৬০) সম্পর্কে তার সহোদয় ভাই-বোন ও আত্মীয়। তবে পারিবারিক তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ফাতেমা খাতুন ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ কলহ লেগেই থাকতো।আসামীরা প্রায় সময় ফাতেমা ও তার পরিবারের সাথে ঝগড়ায় লিপ্ত থাকতো। এমনকি তাদেরকে বাড়ী ঘর ছেড়ে চলে যাওয়ার জন্য হুমকি দেয় বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছেন। বিষয়টা নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্যদের জানালে আসামীীা তাদের আরো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে।সেই ধারাবাহিকতায় গত ৯অক্টোবর আসামীরা পূর্বপরিকল্পিত ভাবে সবাই মিলে অস্ত্র-সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফাতেমা ও তার সন্তানদের ওপর হামলা চামলা চালায়। এসময় আসামীরা খাতেমার উপর আক্রমণ করে তাকে আঘাত করতে থাকলে তার বড় ছেলে ডালিম বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে ডালিমকে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে তার মাথায় প্রচন্ড আঘাতের ফলে মাথা ফেটে রক্তাক্ত অবস্থায় পরে থাকলে স্থানীয়রা এসে তাদের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
আরও জানা যায়, হামলাকারী বাবুল দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ফাতেমার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে স্থানীয় জনতা তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
এ বিষয়ে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি শাহ কামাল আকন্দ জানান- ঘটনায় মামলা নেওয়া হয়েছে। তবে প্রাথমিক ভাবে জানতে পেরেছি পারিবারিক কলহের জেরে সহোদর ভাই-বোনেরা মিলে হামলা করেছে, তাদের হামলায় ফাতেমা ও তার ছেলে ডালিম গুরুতর আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে বাদীর অভিযোগের ভিত্তিতে কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে ৪আসামীকে গ্রেফতার করেছে। বাকী আসামীদেরকেও গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।