ভালুকা (ময়মনসিংহ) :
ময়মনসিংহের ভালুকায় একটি এমপিও ভুক্ত স্কুল এন্ড কলেজের চতুর্থ শ্রেণীর এক কর্মচারী মোছা: রেহেনা বেগম রিক্তা কর্মস্থলে না গিয়ে পলি আক্তার নামে এক মহিলাকে মাসিক পারিশ্রমিক দিয়ে তার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। দীর্ঘ্যদিনের এমন কার্যক্রম চলছে উপজেলার হবিরবাড়ী সোনার বাংলা স্কুল এন্ড কলেজে।
স্কুল এন্ড কলেজের কার্যদিবসে উপস্থিত না থাকলেও হাজিরা খাতায় মোছা: রেহেনা বেগম রিক্তার স্বাক্ষর রয়েছে প্রতিদিনের। তবে, হাজিরা খাতায় তার স্বাক্ষর থাকলেও মাসিক ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে কাজ করেন পলি আক্তার। শুধু তাই নয় ৩য় বারের মতো হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হিসাবে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন তিনি।
স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা জানান, পরপর ৩বার হবিরবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হওয়ার কারণে বিদ্যালয়ে তার উপস্থিতি কমে গেছে। প্রধান শিক্ষককে ম্যানেজ করে হাজিরা খাতায় নিয়মিত স্বাক্ষর দেখিয়ে বেতন উত্তোলন করেন রেহেনা বেগম রিক্তা। তার কর্মস্থলে পলি আক্তার নামে এক মহিলাকে দিয়ে বদলী হিসাবে কাজ করান তিনি।
এ বিষয়ে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোঃ নুরুল ইসলাম খান (মানিক) জানান, ১৯৯৫ সালে রেহেনা বেগম রিক্তা আয়া পদে অত্র প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে নিয়মিত বেতন ভাতা তুলে নিচ্ছেন। ইউপি সদস্য হওয়ার পর থেকে তিনি মাঝেমধ্যে অনুপস্থিত থাকেন। তাকে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য বলা হলেও বিভিন্ন অযুহাতে অনুপস্থিত থাকেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান দেশের বাহিরে থাকায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে পরিষদের সচিব মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত সংরক্ষিত মহিলা সদস্য রেহেনা বেগম রিক্তা অন্যান্য সদস্যদের সাথে নিয়মিত বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন তবে অন্য প্রতিষ্ঠানের চাকুরীর বিষটি তিনি জানেন না।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানের আয়া ও ইউপি সদস্য রেহেনা বেগম রিক্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তিনি বিদ্যালয়ের বেতন ভাতা উত্তোলন করেন কিন্তু পরিষদের প্রাপ্ত টাকা এলাকার উন্নয়নে কাজে লাগান।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ ঝিল্লুর রহমান জানান, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।