ষ্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি, দেশের ব্যবসায়ীদের পার্লামেন্ট হিসেবে পরিচিত এফবিসিসিআই’র টানা তিনবার রেকর্ড ভোটে নির্বাচিত পরিচালক দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসন (সদর উপজেলার)এলাকার স্বতন্ত্র প্রার্থী আমিনুল হক শামীম সিআইপি বলেছেন, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৪ আসনের মানুষের সেবক হিসেবে কাজ করতে চাই। এক্ষেত্রে দলমত নির্বিশেষে সবাইকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার জন্য কাজ করব।
রবিবার (১১ডিসেম্বর) বেলা ৪টায় ভাবখালী ইউনিয়নের বড়বিলার পাড় স্কুল মাঠে স্থানীয় ছাত্রনেতা সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি তারিকুল ইসলাম তারেকের উদ্যোগে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
নাছিম বলেন, আমি সবার কাছে দোয়া চাই। এই এলাকার সব মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সার্বিক উন্নয়নের জন্য কাজ করব। কেননা এখানকার সব মানুষ অনেক সচেতন এবং তাদের বিবেকবোধ অনেক সমৃদ্ধ। তাই মানুষের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জনের জন্য দেশনেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় স্মার্ট নগর হিসেবে গড়ে তুলব। দল-মত নির্বিশেষে প্রতিটি পর্যায়ের ও শ্রেণি পেশার সবার কাছেই আমি দোয়া চাই।
তিনি বলেন- আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে ধারণ করে তার স্বপ্নের সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা বিনির্মানে এই এলাকায় ব্যবসায়ী সংগঠনের দায়িত্ব নিয়ে দীর্ঘ বছর ধরে রাজনীতি করছি। এমনিতেই সবার প্রতি আমার একটি দায়িত্ববোধ শ্রদ্ধাবোধ রয়েছে। সেজন্য আমি নির্বাচিত হলে এই এলাকার উন্নয়ন অগ্রগতি, মানুষের সমস্যা দূর করা এবং আওয়ামী লীগের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য সর্বোচ্চ কাজ করব।
বিপুল ভোটে এই আসনে ভোটাররা আমাকে জয়ী করবেন এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি আরো বলেন, আমি বিশ্বাস করি ময়মনসিংহ-৪ আসনের ভোটাররা ভোট দিয়ে আমাকে জয়যুক্ত করবে। এসময় সদর উপজেলা উন্নয়ন কর্মকাণ্ড কে এহিয়ে নিতে আমিনুল হক শামীম এর পক্ষে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের প্যামেল মেয়র ও ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ডন,জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শওকত জাহান মুকুল,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফ হোসাইন,মহানগর ছাত্রলীগের আহবায়ক নওশেল আহমেদ অনি, ভাবখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার সোহেলসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।