মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহ নগরীর ট্রাংক পট্রি এলাকায় সোনার দোকানের ( কিরন জুয়েলার্স) কেচিগেইট ও সার্টারের তালা ভেঙ্গে সোনা চুরির ঘটনায় আন্তঃজেলা চোর সিন্ডিকেটের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে নগরীর ১ নং ফাঁড়ী পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-মানিক মিয়া, রুবেল মিয়া, ইয়াছিন আরাফাত ও মোঃ জসিম।
গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে ৫ ভরি ৮ আনা ৩ রতি ৭ পয়েন্ট উদ্ধার করা হয়েছে । উদ্ধারকৃত সোনার মূল্য অনুমান ৪ লাখ ৮৬ হাজার ১৫৪ টাকা। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর ১ নং ফাঁড়ীর পুলিশ পরিদর্শক মোঃ শহিদুল ইসলাম সংগীয় এসআই মোঃ রুবেল মিয়া, এসআই সাজ্জাদ হোসেন সজীব টানা দুইদিন অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেফতার করে। বুধবার ২৪ জানুয়ারী দুপুরে কোতোয়ালি মডেল থানার সার্কেল অফিসার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহীনুল ইসলাম ফকির এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি আরোও বলেন ট্রাংকপট্টি রোডের রিপন সেনের কিরন জুয়েলার্সে গত ১৭ জানুয়ারী কেচিগেইট ও সাটারের তালা ভেঙ্গে ৩০ ভরি স্বর্ণ ও ৫০ ভরি রোপাসহ প্রায় ৩২ লাখ পয়ত্রিশ হাজার টাকার মালামাল চুরি করে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় জুয়েলারি মালিক রিপন সেন বাদি হয়ে কোতোয়ালী মডেল থানার মামলা নং-২১, তাং- ১৮/০১/২০২৪ ইং, ধারা- ৪৬১/৩৮০ পেনাল কোড দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরোও বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা নগরীর ১নং ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম একটি শক্তিশালী টিম নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা জেলার বিভিন্ন এলাকায় টানা অভিযান চালিয়ে চোরচক্র সনাক্ত করতে সক্ষম হয় এবং গত দুইদিনে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও কুমিল্লা থেকে আন্তঃজেলা সোনার দোকানে চুরি সিন্ডিকেট চক্রের চার সদস্যকে গ্রেফতার করে।
তাদের কাছ থেকে প্রায় সাড়ে ৫ ভরি চুরি যাওয়া সোনার অলংকার উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাইন উদ্দিন, পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত আনোয়ার হোসেন,১ নং ফাড়ী ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, পুলিশ পরিদর্শক রুবেল মিয়া সহ প্রমূখ।
১ নং ফাড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম বলেন, গ্রেফতারকৃতরা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। আশা করছি অল্প সময়ের মধ্যেই অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতার করে চুরি হওয়া বাকী স্বর্ণালংকার উদ্ধার করতে সক্ষম হবো।