মফিদুল ইসলাম লাভলু (ময়মনসিংহ)
ময়মনসিংহে যুব মহিলা লীগ নেত্রীর গোপন ভিডিও ভাইরাল করার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে ভুক্তভোগী রানী ইসলাম।
এ ঘটনায় ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকারসহ ৬ জনকে আসামি করে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
সোমবার (৬ মে) দুপুর ২ টায় ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী রানী ইসলাম সাংবাদিকদের এইসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং জেলা যুব মহিলা লীগের সদস্য। মামলার অন্য আসামিরা হলেন-কাজী বাবু, হীরা, মশিউর রহমান রানা, মোহাম্মদ রাকিবুল ও জাওয়াদ নির্ঝর।
সংবাদ সম্মেলনে রানী ইসলাম এই ঘটনায় জেলা যুব মহিলা লীগের ১ নম্বর সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকারকে দায়ি করে করে বলেন, আমি ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। আমার নেত্রী স্বপ্না খন্দকার তার সহযোগিদের নিয়ে জোরপূর্বক আমাকে বাধ্য করে এই ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছে। এতে আমি পারিবারিক ও সামাজিকভাবে বিপর্যস্ত তাই আমি এ ঘটনার সুষ্ট তদন্তপূর্বক বিচার দাবি করছি।
ভুক্তভোগী রানী আরোও বলেন, আমার মত অনেক নারী স্বপ্না খন্দকারের ষড়যন্ত্র ও প্রতারণার শিকার। কিন্তু ভয়ে কেউ স্বপ্নার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে চায় না। মূলত রাজনীতির আড়াঁলে এই ধরনের অপরাধের মাধ্যমে বিভিন্ন লোকদের জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেওয়াই স্বপ্না খন্দকারের পেশা ও নেশা। আমি তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি। সংবাদ সম্মেলনে জেলা ও উপজেলা যুব মহিলা লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে এই ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এ ব্যাপারে ময়মনসিংহ জেলা যুব মহিলা লীগের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক স্বপ্না খন্দকার এর কাছে ফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন রানী ইসলাম যা বলেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা আমাকে রাজনৈতিক ভাবে হেও করার জন্য সে এইসব করে বেড়াছে এবং মিথ্যা মামলা করেছে। মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাঈন উদ্দিন বলেন আদালতে মামলা হয়েছে। আদেশ কপি আমাদের হাতে আসলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।