
রাকিবুল হাসান ফরহাদ :
ত্রিশাল উপজেলার হরিরামপুর ইউনিয়নের সাউথ কান্দা গ্রামের মোঃ দেলোয়ার হোসাইন (২৭) চুইঝাল নিয়ে শুরু করেছেন একটি স্বপ্নভরা যাত্রা। পিতা মোঃ সাইফুল ইসলামের সন্তান দেলোয়ার দীর্ঘদিন ধরে চুইঝাল নিয়ে কাজ করার চিন্তা করছিলেন। অবশেষে ২০২৪ সালের নভেম্বর মাসে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে চুইঝাল নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেন। পাশাপাশি তিনি মাওলানা মোহাম্মদ আলী কলেজে এমবিএ অধ্যয়ন করছেন।
ত্রিশাল উপজেলা কৃষি অফিসের সার্বিক সহযোগিতা ও তত্ত্বাবধানে দেলোয়ার তার এ উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছেন। দেলোয়ারের মতে, চুইঝাল এমন একটি মসলা জাতীয় ফসল, যা ছায়াযুক্ত স্থানে ভালো জন্মে এবং এর জন্য আলাদা সার বা কাঠামোর প্রয়োজন হয় না। এটি যেকোনো গাছের গোড়ায় লাগানো যায় এবং গাছের গায়ে উঠে বাড়ে। ফলে পরিত্যক্ত জমিও কৃষি উৎপাদনের আওতায় আনা সম্ভব।
বর্তমানে দক্ষিণাঞ্চলের খুলনা, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, কুড়িগ্রাম, যশোর, কুষ্টিয়া, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন জেলায় চুইঝালের ব্যাপক চাষ হচ্ছে। এই ফসল ঘিরে গড়ে উঠছে বহু হোটেল ও রেস্তোরাঁ। দেলোয়ার মনে করেন, চুইঝাল চাষের মাধ্যমে স্থানীয় পর্যায়ে বিপুল সংখ্যক বেকার তরুণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি সম্ভব।
ত্রিশাল উপজেলা কৃষি অফিসার তানিয়া রহমান বলেন, চুইঝাল একটি সম্ভাবনাময় অর্থকরী ফসল। আমাদের জলবায়ু ও মাটি এ ফসল চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। আমরা দেলোয়ারের মতো উদ্যোক্তাদের সব ধরনের কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি। শুধু দেলোয়ার নয়, ত্রিশালে আরও অনেক তরুণ এই ফসলের প্রতি আগ্রহ দেখাচ্ছেন। আমরা চাই এই উদ্যোগ ছড়িয়ে পড়ুক, যাতে কর্মসংস্থান বাড়ে এবং অর্থনৈতিকভাবে কৃষকরা লাভবান হন।
দেলোয়ার আশা প্রকাশ করেন, সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সহযোগিতায় এ ফসলটির চাষ আরও বিস্তৃত হবে এবং ত্রিশালের চুইঝাল একদিন আন্তর্জাতিক বাজারেও পরিচিতি পাবে।
