
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ঢাকার আশুলিয়ায় গণ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জের ধরেই চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেন সহ তার ৫ সহযোগী যৌথবাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়েছে। এসময় তাদের কাছ থেকে ১৬ টি দেশীয় অস্ত্র, কাচি এবং দাড়ালো অস্ত্র ৫টি, ৫ পট গাজা, ৮টি মোবাইল ফোন এবং ৪৮টি মোবাইল সিম উদ্ধার করা হয়।
রোববার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া প্রাইমারী স্কুল, বটতলা রূপায়ন এবং ওই এলাকায় রাতভর পাঁচটি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জামগড়া আর্মি ক্যাম্প তাদের গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারকৃতরা হলো- আশুলিয়ার জামগড়া রুপায়ন মাঠ এলাকার মৃত এমারত হোসেনের ছেলে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেন (২০), তার সহযোগী
সোনা মিয়া (৪৫), আশরাফুল (১৮), বড় বাবু (১৯) ছোট বাবু (১৭) এবং আকাশ (১৮)।
জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কুখ্যাত কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেনের নেতৃত্বে কিশোর গ্যাং সদস্যরা ও কিছু মাদক ব্যবসায়ী আশুলিয়ার জামগড়া, ভাদাইল ও রূপায়ন মাঠ এলাকায় সন্ত্রাসের রাজত্ব তৈরি করেছিল। গত কয়েকদিন একাধিক ব্যক্তিকে মারধর, অত্যাচার, প্রাণনাশের হুমকি ইত্যাদির তথ্য জামগড়া আর্মি ক্যাম্পের নজরে আসে। এছাড়া কয়েকটি গণমাধ্যমে এনিয়ে সংবাদ প্রকাশও হয়।
এরই সূত্র ধরে রোববার রাতে আশুলিয়ার জামগড়া প্রাইমারী স্কুল, রুপায়ন বটতলা ও জামগড়া এলাকায় রাতভর পাঁচটি পৃথক বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে জামগড়া আর্মি ক্যাম্প। অভিযানে সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, মাদক ব্যবসায়ী এবং কিশোর গ্যাং লিডার ইয়ার হোসেন এবং মাদক ব্যবসায়ী ও দুষ্কৃতিকারী সোনা মিয়া সহ ছয়জনকে গ্রেফতার করা হয়। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র সহ অপরাধ কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম। ইয়ার হোসেন এবং সোনামিয়া দুজনের নামেই অস্ত্র মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে।
গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দি মোতাবেক জানা যায়, তারা সকলে অবৈধ অস্ত্রের ব্যবহার, চাঁদাবাজি, অনলাইন বেটিং, মাদক ব্যবসা এবং কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িত।
পরবর্তীতে গ্রেফতারকৃতদের ও উদ্ধারকৃত বিপুল দেশী অস্ত্র, গাজা, মোবাইল এবং অপরাধ কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জামাদিসহ আশুলিয়া থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করা হয়।
এদিকে, দীর্ঘদিনের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম কারী কুখ্যাত সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করায় জামগড়া এলাকার জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা বিরাজ করছে।
এবিষয়ে আশুলিয়া থানার তদন্ত ওসি মো: আজগর হোসেন বলেন, ইয়ার হোসেনকে আটক করেছে কিনা তা জানি না তবে যৌথবাহিনী কিছু লোক আটক করেছে। তবে এখন পর্যন্ত আমরা অফিসিয়ালভাবে হাতে পাইনি।
