
রাকিবুল হাসান ফরহাদ
প্রেমের দুনিয়ায় সবারই নিজস্ব স্টাইল আছে। কেউ রোমান্টিক কথায় জাদু ছড়ান, কেউ আবার নীরবতায় ভালোবাসা প্রকাশ করেন। কিন্তু সাংবাদিকরা? তারা এক অন্য রকম প্রেমিক—যাদের ভালোবাসায় আছে গভীরতা, দায়িত্ববোধ, আর বাস্তবতার ছোঁয়া।
প্রেমিক হিসেবে সাংবাদিকরা কেন সেরা—চলুন দেখি কিছু কারণ..
১️ তারা মনোযোগী শ্রোতা
সাংবাদিকরা পেশাগতভাবেই মানুষের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন। তাই প্রেমিকার গল্প, অভিযোগ কিংবা অভিমান—সবকিছুই তারা ধৈর্য নিয়ে শোনেন। কারও কথা মাঝপথে কেটে দেওয়া তাদের অভ্যাস নয়।
২️ তারা শব্দের যাদুকর
সাংবাদিকরা জানেন, কোন শব্দ কখন ব্যবহার করতে হয়। তাই তারা খুব সহজেই প্রেমিকার মন খারাপ দূর করে দিতে পারেন মিষ্টি কিছু কথায়। তাদের ভালোবাসায় থাকে অনুভূতির রঙ আর শব্দের মায়া।
৩️ সত্যবাদিতায় অটল
একজন সাংবাদিক সত্যের পক্ষে লড়ে যান প্রতিদিন। তাই প্রেমেও তারা মিথ্যা বলেন না, নাটক করেন না। তারা জানেন—বিশ্বাসই সম্পর্কের মূল ভিত্তি।
৪️ সময়ের মূল্য বোঝেন
ডেডলাইন আর নিউজের দৌড়ের মধ্যে থেকেও সাংবাদিকরা সময়কে কীভাবে ম্যানেজ করতে হয় তা জানেন। তাই ভালোবাসার মানুষকে সময় দেওয়ার চেষ্টা করেন আন্তরিকভাবে।
৫️ দায়িত্বশীল ও সংবেদনশীল
প্রতিদিন নানান ঘটনার সাক্ষী হয়ে সাংবাদিকরা হয়ে ওঠেন মানবিক ও দায়িত্বশীল। প্রেমিক হিসেবেও তারা বোঝেন—একটি সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে যতটা ভালোবাসা দরকার, ততটাই প্রয়োজন সহানুভূতি ও সহমর্মিতা।
৬️ সারপ্রাইজ দিতে জানেন
রিপোর্টের ফাঁকে প্রেমিকার জন্য চুপিচুপি লিখে রাখা একটি ছোট নোট, কিংবা হঠাৎ কোনো জায়গা থেকে “মিস ইউ” টেক্সট—সাংবাদিক প্রেমিকদের এই ছোট ছোট সারপ্রাইজই সম্পর্ককে করে তোলে আলাদা।
৭ তারা সংগ্রামী ও অনুপ্রেরণাদায়ক
জীবনের কষ্ট, সময়ের চাপ, কিংবা ঝুঁকিপূর্ণ কাজ—সবকিছুর মধ্যেও সাংবাদিকরা কখনও হার মানেন না। তাই তাদের ভালোবাসা হয় বাস্তব, দৃঢ় ও প্রেরণাদায়ী।
শেষ কথায় বলা যায়—
যে মানুষ প্রতিদিন সত্য খুঁজে বেড়ায়, অন্যের কষ্টে কাঁদে, শব্দে তুলে ধরে সমাজের চিত্র—তার ভালোবাসা কখনও ফাঁপা হতে পারে না।
তাই বলা যায়, প্রেমিক হিসেবে সাংবাদিকরাই সেরা।
