Header Image

ঈশ্বরগজ্ঞে নিহত আসাদুলের মৃত্যু নিয়ে শতপ্রশ্ন!

 

স্টাফ রিপোর্টারঃ

বাবার লাঠির আঘাতে প্রতিবন্ধি আসাদুল খুন হয়েছে বলে এলাকায় প্রচার হয়েছে। স্থানীয় মেম্বার ও জনৈক মাস্টার এর সহায়তায় আহতের বাবা ঈশ্বরগজ্ঞ হাসপাতালে নিয়ে সড়ক দূর্ঘটনা বলে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা নেন। ছেলিটির সারা শরিলের কোথাও আঘাতের চি‎হ্ন না থাকলেও মাথায় আঘাতের চি‎হ্ন‎ রয়েছে বলে চিকিৎসকের ব্যবস্তা পত্রে উলে­খ রয়েছে। এ ঘটনা ঘটে গত শনিবার ( ১১ এপ্রিল) রাত আনুমানিক ৮ টায়। স্থানীয়রা খুনের লাশ তাদের পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করতেও বাধাঁ দিয়েছিল। স্থানীয় পুলিশ একাধিকবার ঘটনাস্থলে গেলেও, ঘটনাটি পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানায়নি। নিহতের বাবাও আসেনি পুলিশের সামনে।

এলাকাবাসী জানিয়েছে, আসাদুল স্থানীয় বাজারে বিভিন্ন লোকের ফুটফরমায়েস করতো। শরীর মেসেজ করতো। যা পেতো তা বাড়ি নিয়ে যেতো। আসাদুলের বাবা এ টাকা নিয়ে যেতো। লকডাউন বাড়ার কারনে সিগেরেটের আকাল হবে বলে আসাদুল নিজের জন্য সেদিনের টাকায় সিগারেট কিনে বাড়ি নিয়ে যায়।

অভিযোগ রয়েছে, এতেই বাবা আব্দুল গনী ক্ষিপ্ত হয়ে ছেলেকে লাঠি দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এর পর স্থানীয় মেম্বার ও জনৈক ব্যক্তির পরামর্শে স্থানীয় ঈশ্বরগজ্ঞ হাসপাতালে আহত আসাদুলকে সড়ক দূর্ঘটনার কথা লিখিয়ে ভর্তি করেন। মাথায় রক্ত জমাটের কারনে ডাক্তার আহতকে মচিমহা ময়মনসিংহে পাঠিয়ে দেন। পরে সে মারা যায়।

এ ব্যাপারে ঈশ্বরগজ্ঞ থানার অফিসার ইনচার্জ মোকলেছুর রহমান জানান, ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহতের বাবাকে থানায় আসতে বলা হয়েছে। এরিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের পিতা থানায় যায়নি বলে জানা গেছে।

সুত্র জানায়, এমন খবরের প্রেক্ষিতে ঈশ্বরগজ্ঞ থানা থেকে শাওন ও সজিব নামের দুজন পুলিশ যায়। ঘটনা শোনে আসেন। কিন্তু নিহতের বাবার সাথে পুলিশ দেখা করতে পারেনি।

স্থানীয় পুলিশ সড়ক দূর্ঘনা বা হত্যা, কোনটারই কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি! সুত্র মতে, অবহিত করা হয়নি জেলা পর্যায়ের কোন কর্মকর্তাকে! আসাদুর হত্যাই হউক বা দূর্ঘটনার শিকারই হউক পুলিশ কি আইনী ব্যবস্থা নিলেন তা অজ্ঞাতই রয়েগেল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!