Header Image

ফুলবাড়িয়ায় অধিগ্রহণকৃত জমি সাব-রেজিস্ট্রার ও সমিতির সভাপতির যোগসাজসে দলিল সম্পাদন

সাইফুল ইসলাম তরফদারঃ

ময়মনসিংহ ফুলবাড়িয়া উপজেলা সাব রেজিস্ট্রি অফিসে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, ময়মনসিংহ জোন শীর্ষক প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণের ৭ধারা মোতাবেক নোটিশ প্রদান ও গ্রহণ করার পরও সেই জমির
একাংশের সাফ কবলা দলিলে মোটা অংকের উৎকোচে সাব রেজিস্ট্রার মো: শামছুল আলম ও দলির লেখক সমিতির সভাপতি মির্জা কামরুজ্জামান দুলাল এর বিরুদ্ধে দলিল সম্পাদন করার অভিযোগ উঠেছে।
এল.এ কেস নম্বর ১৩/২০১৮-১৯ এর নোটিশ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ৯২৮/২০ এর আলোকে ৭ ধারা মোতাবেক নোটিশ
প্রদান করা হয়। সরকার ফুলবাড়িয়া উপজেলার চকরাধাকানাই মৌজার জেএল. নং- ৬৬ এর দাগ নং (আর.এস) ৪০০৫, ৪০০৬, ৪০১০, ৪০১১
রেকর্ডীয় মোট ১.০০ একর জমিতে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্প, ময়মনসিংহ জোন শীর্ষক প্রকল্প স্থাপনের জন্য সিদ্ধান্ত গ্রহণ
করে সেই মোতাবেক ২১ সেপ্টেম্বর এর মধ্যে কোন আপত্তি থাকলে তা উত্থাপনের সময়সীমা নির্ধারিত ছিল। সেই সময় জমির মালিকরা যে সব
অভিযোগ করেছিল তা শুনানী করে নিস্পত্তি হয়ে ৭ ধারা নোটিশ জারি করা হয়। সেই প্রেক্ষিতে ৭-১০-২০২০ তারিখে ৩১.৪৫.৬১০০.০২৫.৬১.০০৬১৯-৩৩৮ স্মারক মূলে ৪ কোটি ৮৭ লাখ ৬১ হাজার ২০৯ টাকা ৩৫ পয়সা বরাদ্দ চেয়ে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি
পাঠানো হয়। সেই অধিগ্রহণকৃত জমির একাংশ ৮.৫ শতাংশ গত ৬অক্টোবর ময়মনসিংহ মেছুয়া বাজারের বাসিন্দা মৃত প্রমোদ রঞ্জন পাল
এর পুত্র সত্যব্রত পাল ফুলবাড়িয়া পৌরসভা এলাকার (লাহেড়িপাড়া) মৃতআব্দুল হাকিম সরকারের পুত্র মো: নুরুল ইসলাম ও মো: সেলিম মিয়ার কাছে বিক্রি করে দেন। অধিগ্রহণকৃত জমি হস্তান্তরে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে দলিল লেখক সমিতির সভাপতি প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ
নেতা মির্জা কামরুজ্জামান দুলাল সম্পাদন করলে সাব রেজিস্ট্রার মো: শামছুল আলম স্বাক্ষর করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ৭ধারা জারিকৃত
নোটিশ বুঝে নিয়ে আবার সেই জারিকৃত নোটিশকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দেশের আইনকে অবমাননা করার শামিল।নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন জানান, সরকারী একটি স্থাপনা নির্মাণে সরকারী একজন কর্মকর্তা সহযোগিতা না করে তাতে
দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে আইন অবমাননা করার শামিল। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবী করছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দলিল লেখক জানিয়েছেন, টাকা হলে
স্যারের কাছে এটা কোন ব্যাপারই না। স্যার বদলী হয়েছেন, শেষ সময়ে জেনে শুনেই তিনি এ কাজ করেছেন।

দলিল লেখক সমিতির সভাপতি প্রভাবশালী আওয়ামীলীগ নেতা মির্জা
কামরুজ্জামান দুলাল কে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে
পাওয়া যায়নি।
উপজেলা সাব রেজিস্ট্রার মো: শামছুল আলম বলেন, অধিগ্রহণকৃত
সম্পত্তির দলিল আমার অসচেতনতার কারণে হয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!