Header Image

মালটার চারা গাছ উপরে ফেলায় থানায় মামলা

 

ভালুকা প্রতিনিধি :-

 

ময়মনসিংহের ভালুকায় মো: শাহজাহানের (৫৮) বিরুদ্ধে শতাধিক মালটার চারা গাছ উপরে ফেলায় ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শাহজাহান ভালুকা উপজেলার ৬নং ওয়ার্ড মেজরভিটা এলাকার মৃত আবদুল আউয়ালের ছেলে। মামলা সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার সকালে উপজেলার বাশিল মৌজার মেহেরাবাড়ি নামক স্থানে ১৩৭ ও ২০৩ দাগের রেকর্ডকৃত জায়গায় মৃত ক্বারি রুহুল আমিনের ছেলে মো: আলমগীর হোসেনের রোপণকৃত মালটা বাগানের শতাধিক মালটার চারা শাহজাহানের ভাড়াটিয়া বাহিনীর সদস্য ভালুকার ১নং ওয়ার্ডের শুক্কুর আলীর ছেলে জলিল (২৮), মেহেরাবাড়ীর মো: তাজউদ্দিনের ২ ছেলে মো: আসাদ (২৮), মো: রায়হান (২৫) এবং অজ্ঞাত আরো কয়েক জন মিলে দা, লাঠি সোটা ও বিভিন্ন অস্র নিয়ে মালটা বাগানের বেড়া কেটে ১৪৫ টি চারা গাছ কাটায় প্রায় ২ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে । এসময় ঘটনা স্থলে স্থানীয় চৌকিদার মো: চঞ্চল মিয়ার উপস্থিত টের পেয়ে সকলেই ঘটনা স্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে চৌকিদার চঞ্চল জলিলকে উপরানো চারা গাছসহ হাতে নাতে ধরে ফেলে। চঞ্চল মিয়া, আলমগীর হোসেন ও স্থানীয়দের খবর দিলে তারা জলিলকে স্থানীয় চেয়ারম্যান মো: সিহাব আমিনের নিকট নিয়ে আসে। চেয়ারম্যান জলিলকে বিভিন্ন গণমাধ্যম কর্মী ও স্থানীয়দের সম্মুখে জিজ্ঞেসাবাদ করলে শাহজাহান তাদের চারা উপরানোর জন্য ভাড়া করেছে বলে জানান। জলিল আরো জানায়, পূর্বেও বিভিন্ন সময় তাদেরকে শাহজাহান ঐ বাগানের কাছে বড় বড় গাছ কাটার জন্য ভাড়া করে আনতো। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় কয়েক ব্যাক্তি জানান, শাহজাহান একজন লোভী ও ভূয়া নাম ব্যবহারকারী মুক্তিযোদ্ধা। মালটার চারা গাছের ঘটনায়, চেয়ারম্যান মো: সিহাব আমিন খান শাহজাহানের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলে শাহজাহান তাকে বিভিন্ন হুমকীধামকী দিলে তিনি ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাইন উদ্দিনকে মোবাইল ফোনে বিষয়টি জানান। পরে ১৪৫টি উপরানো চারা ও জলিলের হাতে থাকা অস্ত্রটি নিয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও এলাকাবাসীর সহযোগিতাতায় মো: আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে মো: শাহজাহান (৫৮), মো: জলিল (২৮), মো: আসাদ মিয়া (২৮), মো: রায়হান মিয়া (২৫) এবং অজ্ঞাত তিন চার জনকে কে আসামি করে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা (মামলা নং- ৭৯৮) দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায়, মামলার তদন্তকারী এ.এস.আই মো আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং ভালুকা মডেল থানা অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ মাইন উদ্দিন জানান, মামলায় উল্লেখ্য জলিল নামের এক আসামি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছনে এবং এ ঘটনার মুলহুতা শাহজাহানসহ অন্যদের আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। মুঠোফোনে শাজাহানের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!