স্টাফ রিপোর্টারঃ
ময়মনসিংহের ভালুকায় তৃতীয় শ্রেণীর স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে শেখ মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে আল আমিন (৪০) নামে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৮ জুন) স্কুল ছাত্রীর বাবা মো. শফিকুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে সোমবার (৭ জুন) দুপুর ১টার দিকে ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হবিরবাড়ি কড়ইতলীর মোড়ে অবস্থিত পড়ালেখা মডেল একাডেমিতে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্তর বাড়ি ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের দক্ষিণ হবিরবাড়ি কড়ইতলীর মোড়ের আ. মজিদের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, নেত্রকোনার কলমাকান্দা থানার বাহাম গ্রামের মৃত হাজী আ. মোতালিবের ছেলে। সে বর্তমান ভালুকা উপজেলার হাবিরবাড়ি ইউনিয়নের মধ্য হাবিরবাড়ির আবির মন্ডলের বাসায় ভাড়া থাকেন শফিকুল ইসলাম। তার মেয়ে তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
করোনা ভাইরাসের কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় ওই মেয়ে অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে স্কুলে শেখ মো. মাহমুদুল হাসান ওরফে আল আমিনের কাছে কোচিং করে। প্রতিদিনের ন্যায় সোমবার (৭ জুন) সকাল ৯ টার দিকে শফিকুল ইসলামের মেয়ে ও অন্যান্য মেয়েদের সঙ্গে দক্ষিণ হাবিরবাড়ি কড়ইতলীর মোড় সাকিনে অবস্থিত পড়ালেখা মডেল একাডেমিতে কোচিং করতে যায়। এরপর অন্যান্য সকল মেয়েদের ছুটি দিয়ে ওই মেয়েকে বলে পড়া শেষ হয়নি তাই স্কুলে বসতে বলে।
পরে দুপুর ১টার দিকে একাডেমির কক্ষের ভেতরে মেয়ের কাপড় খুলে, একপর্যায়ে ধর্ষণ করার চেষ্টা করে। এ সময় ওই মেয়ে চিৎকার দিলে ওই মেয়ের হাতে ১০ টাকা দিয়ে বাড়িতে চলে যেতে বলে এবং ঘটনার বিষয়ে কাউকে না বলতে বলে ওই শিক্ষক। পরবর্তীতে মেয়েটি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের কাছে বিষয়টি খুলে বলে। এ ঘটনায় মেয়ের বাবা মো. শফিকুল ইসলাম নিজে বাদী হয়ে একজনের নাম উল্লেখ করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার তদন্তকারী ভালুকা মডেল থানার এসআই মো. মতিউর রহমান জানান, ধর্ষণ চেষ্টার একটি মামলা হয়েছে।