মৃদুল ধর ভাবন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
গাজীপুর মহানগর কোনাবাড়ী থানাধীন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারের সামনে রাস্তার পশ্চিম পাশে সিটি কর্পোরেশনের নতুন ড্রেন নির্মাণ কাজ চলছে ড্রেনে পাশে কেউ যেন ফুটপাতে দোকান না করতে পারে সেই জন্য ৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ সেলিম রহমান তার সহযোগী লোকজন নিয়ে ড্রেনের পাশের ফুটপাত দোকানসহ সকল দোকানপাট উঠাতে থাকে এবং সরকার কএিক কঠোর লকডাউনের মধো কোভিট-১৯ এ সরকারি আদেশ মতে দোকানপাট বন্ধ করার জন্য দোকানদারদের বলে।
দোকানপাট বন্ধ করতে করতে সেলিম কাউন্সিলর ও তার লোকজন মোস্তফা জেনারেল স্টোর দোকানের সামনে এসে দোকানদারকে দোকান বন্ধ করার জন্য বললে (কারারক্ষী / ১২৬৭২ মোঃ কবির হোসেন (৩৫) পিতাঃ মোঃ আব্দুর রশিদ মাতাঃ মোছাঃ ফিরোজা আক্তার গ্রামঃ শেখের টেক,থানাঃ মনোহরদী,জেলাঃ নরসিংদী। বর্তমান ঠিকানা কারাগারের ভিতরে ফ্যামেলি কোয়ার্টারের ৩য় তলায় পি ডব্লিউ ডি অফিসের সাথে, কোনাবাড়ি, গাজীপুর মহানগর তর্কে লিপ্ত হয়ে পরে নিজেকে কারাগারে স্টাফ বলে পরিচয় দেয় কিন্তু সেলিম কাউন্সিলর তার কথা বিশ্বাস না করে তার লোকজন তাকে ধাক্কা দেয় ও এক পর্যায়ে তাদের হাতে থাকা বাঁশ দিয়ে উক্ত ব্যাক্তির পায়ে আঘাত করে।
পরে সে কারাগারের মূল ফটকে এসে সেলিম কাউন্সিলের লোকজন তাকে মেরেছে বলে চিৎকার করলে কারাগারের লোকজন একত্রিত হতে থাকে একপর্যায়ে অনুমান ৩০/৪০ জন কারারক্ষী একত্রিত হয়ে সেলিম কাউন্সিল এর উপর লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায় এবং এলোপাতাড়ি মারধর করে। সেলিম কাউন্সিলর ও তার লোকজন তাৎক্ষণিক প্রাণ রক্ষার্থে পার্শ্ববর্তী নির্মাণাধীন বাউন্ডারির ভিতর প্রবেশ করে।
পরে সেলিম কাউন্সিলর উক্ত বিষয়টি অন্যান্য লোকজন জানালে অনুমান ২৫০/৩০০ জন লোক একত্রিত হয়ে মিছিল করতে থাকে এবং কারাগারের গেটের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। উক্ত বিষয়টি কোনাবাড়ি থানায় সংবাদ আসলে কোনাবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ও এসি কোনাবাড়ী স্যার সঙ্গীয় ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এসি কোনাবাড়ী স্যার উক্ত বিষয়ে কারা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে এবং অফিসার্স ইনচার্জ কোনাবাড়ী থানা স্যার ও পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত সহ সেলিম কাউন্সিলের লোকজনকে শান্ত থাকার জন্য অনুরোধ করেন।
পরে সেলিম কাউন্সিলর উক্ত স্থানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে সকলকে শান্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং উক্ত স্থান থেকে চলে যাওয়ার জন্য বলে পরবর্তীতে অনুমান ২১.৫০ ঘটিকার সময় সেলিম কাউন্সিলের লোকজন কাশেমপুর জেলখানা রোড হতে মিছিলসহ তাহার পারিজাত অফিসে চলে আসে এবং পরে যার যার মতো বাসায় চলে য়ায।
গোপন সূএে জানা য়ায জেলখানা রোড কারারক্ষীদের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজনরা ফুটপাতে বিভিন্ন ব্যবসা করে এবং মোস্তফা জেনারেল স্টোর উল্লিখিত কারারক্ষী বলে গোপনে জানা যায় । উক্ত এলাকায় প্রায় সময়ই কারারক্ষীরা স্থানীয় লোকজনের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণের লিপ্ত হয়।