একুশে পদক পাওয়ার পর অভিনেতা মাসুম আজিজ কোনো নতুন ছবির শুটিং এ অংশ নিয়েছেন। অনেক কাজের প্রস্তাব থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারণে করছেন না তিনি।
তবে এপ্রিলের শুরু থেকে রুবেল মাহমুদ এর নাও ছবির শুটিং এ অংশ নিয়েছেন এবং শুটিং শেষের দিকে এমনটাই জানালেন মাসুম আজিজ। তার কথায় উঠে এসেছে নাও ছবির সংলাপ ও পরিচালক রুবেল মাহমুদ এর প্রসংশা, মাসুম আজিজ আরও বলেনঃ আমি সব ছবিতে কাজ করিনা,আমার কাছে গল্প যদি ভালো লাগে, যদি মনে হয় ভালো হবে তবেই করি।
নাও চলচ্চিত্রে নায়ক মাঝি পবণের ছেলের চরিত্রে অভিনয় সম্পর্কে রেহানা জলি বলেনঃ একদম ব্যতিক্রম একটি গল্পের নাম নাও, পরিচালক রুবেল মাহমুদ এর মুখে গল্পটা শুনেছি কয়েক বছর আগে, তখনই বলেছিলাম এই ছবিটা আমি করবো, মৌলিক গল্পের মজাই আলাদা, ভালো কিছু শিল্পী রয়েছে সব মিলিয়ে খুব ভালো হয়েছে নাও।
মঞ্চ অভিনেতা মাঝি চরিত্রে অভিনয় করা প্রসঙ্গে দিগন্ত জানানঃ নাও চলচ্চিত্র আর পরিচালক রুবেল মাহমুদ কে আলাদা ভাবে বলা বাহুল্য, আর আমার প্রথম ছবিতে ভালো একজন নায়িকা ছিলো জুটি হিসেবে চমক তারা খুব ভালো মেয়ে। সাথে অনেক বড় বড় অভিনেতা অভিনেত্রী যেমন মাসুম আজিজ স্যার, রেহানা জলি, সোহেল খান সবাই খুব সহযোগিতা করেছে,সবমিলিয়ে ভালো লেগেছে।
চমক তারাঃ- আমি বেশ কিছু ছবিতে অভিনয় করেছি,তবে নাও আমার অন্যতম একটি চলচ্চিত্র, খুব কষ্ট করেছি শুটিংয়ে, সবাই সবার জায়গা থেকে ভালো একটা ছবি উপহার দিতে চেষ্টা করেছি। আর মৌলিক গল্পে অভিনয়ের সাদটাই অন্যরকম।
পিচ্চি সোহেলঃ বহু ব্যাবসা সফল ছবি রয়েছে আমার ঝুলিতে, যার সবগুলোই ছিলো বানিজ্যিক বা কমার্শিয়াল, এ ধরনের ফোক গল্পে এটাই আমার প্রথম কাজ, আমি কখনো ভাবিনি এমন একটা ছবি দিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে ফিরবো? পরিচালক রুবেল মাহমুদ নিজে থেকে একদিন দেখা করতে এসেই কনফার্ম করে ফেললো আমাকে।
ময়না আজমেরিঃ রুবেল মাহমুদ এর গল্প ভাবনা থেকেই ছবিটির স্ক্রিপ্ট করেছি, গতানুগতিক ধারার বাইরের একটি চলচ্চিত্র নাও।
কিশোর রাব্বানীঃ আমি শুধু একটি কথাই বলবো নাও ছবির ষ্টিল পিকচার আর প্রচারণা দেখে কোনো মন্তব্য না করে,ছবি মুক্তির পর হলে গিয়ে ছবিটা দেখে পরে মন্তব্য করতে হবে। বন্ধু রুবেল মাহমুদ এর সাথে শুটিংয়ে ছিলাম বলেই বলছি, নাও শুধু একটা ছবি না, এটা একটা গল্প।
রুবেল মাহমুদঃ সত্যি কথা বলতে নাও ছবির জন্য অনেক ধকল পোহাতে হয়েছে আমার, প্রায় তিন বছর সময় ধরে নাও নিয়ে ছোটাছুটি করেছি, কোনো ভাবেই গল্পের কোথাও কোনো ছাড় দেইনি। হুবহু গল্পটা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি। আমি ধন্য এতো বড় বড় অভিনেতা অভিনেত্রী নিতে পেরেছি, বিশেষ করে মাসুম আজিজ স্যার অসুস্থ, একুশে পদক পাওয়ার পর থেকে কাউকে সেভাবে সিডিউল দিচ্ছিলেন না, সৌভাগ্য আমার ওনাকে পেয়েছি, রেহানা জলি আপা অসুস্থ, অনেক দিন আগে তার সাথে নাও নিয়ে কথা বলে রেখেছিলাম, অনেক শুকরিয়া তাকেও পেয়েছি। একটু কষ্ট হচ্ছে প্রয়াত সাদেক বাচ্চু ভাই এই ছবিতে কাজ করার কথা ছিলো, তার অসুস্থতার কারণে তখন শুটিং শুরু করতে পারিনি। এক সময়ের দাপুটে নায়ক সোহেল খান কে আমার ছবির মাধ্যমে রি প্রেজেন্ট করেছি,বিষয় টা ভাবতে খুব ভালো লাগে। সব মিলিয়ে দিগন্ত আর চমক তারা জুটি নিয়ে আমার ছবির খুব ভালো একটা ফিডব্যাক পাবো বলে আশাবাদী।