লাইফস্টাইল

এ যেনো উদাস বসন্তের মাঠে সদ্য ফোটা একটি গোলাপ!

এ যেনো উদাস বসন্তের মাঠে সদ্য ফোটা একটি গোলাপ!

এ যেনো উদাস বসন্তের মাঠে সদ্য ফোটা একটি গোলাপ! কপালে সূর্যডোবা লাল টিপে স্ফুরিত ঠোঁটে তার বহ্নিবাণ চোখ এঁকে, কানে দুল, খোপায় ময়ূরপঙ্খী ফুল গুঁজে দাঁড়িয়ে আছো তুমি উতরোল বাতাসের উল্টো দিকে; তোমার সাদা আবরণে যেন জ্বলে উঠেছে রক্তিম আলোক শিখা সুরেলা কন্ঠ মাধুর্য নিয়ে সাজানো আলোর নিচে দাঁড়িয়ে আছো তুমি একা; ফাগুনের শীতল বাতাসে আবেশী তন্ময়তা এনে নিঃসৃত মাধুরী ছড়িয়ে দিয়েছো তুমি ধরনীর বুকে। যার মাথার ওপরে নক্ষত্রের চন্দ্রাতপে নীল আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে অজস্র হিমকণা, যেন অনুপম রুপ লাবণ্যের ডালি সাজিয়ে দিয়ে আরতি বন্দনা করছো তুমি, কিছু প্রশ্নের পাহাড় ছুঁড়ে দিয়ে ছিলাম তোমার দিকে অনায়াস দক্ষতায় তুমি ডিঙিয়ে গেলে আমাকে! হালকা হাসির হিল্লোল খেলে যায় তোমার মোহিনীর দুটি লালচে ঠোঁটে কথা বললে মনে হয় যেনো স্বতোৎসারিত ঝর্ণার জলধারার ন্যায় নির্গত হয় তোমারই রুপ ভাষায় বর্ণনা করার ক্ষমতা আমার নয়!
আমার আর পাহাড়ে যাবার ইচ্ছে নাই যান্ত্রিক শহরে এই আছি বেশ

আমার আর পাহাড়ে যাবার ইচ্ছে নাই যান্ত্রিক শহরে এই আছি বেশ

আমার আর পাহাড়ে যাবার ইচ্ছে নাই যান্ত্রিক শহরে এই আছি বেশ। কোন একদিন বৈরাগ্য জীবনের বেশ শখ ছিলো প্রিয় বন্ধুর হাতটি ধরে বলবো আমাকে মানুষ ভাবো। বারবার আমি নারী হয়ে যাই তাই পাহাড় বা জঙ্গল আমাকে ভয় দেখায়। দূরে সরাতে সরাতে বলে তুমি তো নারী। তাহলে কবে আমি মানুষ হবো কবে আমি পাহাড়ে বসে ঝুম বৃষ্টিতে নেচে মাতবো। মানুষ হতে গিয়ে- আমি কেবল রক্ত মাংশের এক নারী থেকে যাই। আর তোমরা আমাকে মানুষ হতে দেও না তোমরা আদিমতা না ছেড়েও- ঠিকই মানুষ হবার কি বাহারী পসরা সাজিয়েছো।   🍁কাব্য সুমী সরকার ১৬/১০/২০২১
মুজিব চিরঞ্জীব

মুজিব চিরঞ্জীব

সালমা বেগ *********** অবরুদ্ধকালে ভালোবাসা রেখেছি গোপন আমি সে কথা কেউ না জানুক পৃথিবী জানে আর জানে অন্তর্যামী; আকাশে রঙধনু দেখে ভালোবাসি কখনো বলিনি নদীর কল্লোল দিয়ে বিশ্বাস করিনি বিকিকিনি; কিন্নর হাসির ফোয়ারা স্থবির হয়েছে অবহেলায় সরোসি-কিনারে অবিরাম নিশিবক ডেকে যায়।^ একাদোশী চন্দ্রালোকে ছেয়ে যায় নীলাকাশ তোমার স্মরণে খরাক্লিষ্ট বুকে জাগে দীর্ঘশ্বাস। বৃষ্টি হয়ে ঝরে শিশির কণায় ধুয়ে দিতে চাই দু'চরণ তোমার নামের যাদু মন্ত্র-মগ্নতায় করি উচ্চারণ। তুমি ছিলে তুমি আজো ভাষ্কর্যে ভাস্বর হে বিদেহী বীর কে ভাঙে ভাষ্কর্য কে সেই তস্কর! স্বপ্নে বোনা সোনার বাংলায় তুমি চিরঞ্জীব বঙ্গদেশের জাতির পিতা তুমি হে মুজিব।
আপনি কারও বাধ্য?কেন?শান্তি রক্ষার্থে?নাকি সবার কাছে ভালো থাকার সুবিধা বেশি?

আপনি কারও বাধ্য?কেন?শান্তি রক্ষার্থে?নাকি সবার কাছে ভালো থাকার সুবিধা বেশি?

  পরিবারের যে যত বাধ্য হয় সে ততই সুনাম কুড়ায়।বাধ্য স্ত্রী,বাধ্য সন্তান,বাধ্য স্বামী ইত্যাদি। আবার পরিবারের বাইরে গিয়েও যার মধ্যে এ গুণটা বিদ্যমান, খুব সহজেই সফলতার সিঁড়ি বাইতে পারে। এই বাধ্যতা একটা সময় একটা বড় গুণ ছিল।যা মানুষ মন থেকে চর্চা করতো।যার কারণে তার ভেতর বাহির আলাদা বলে কিছু থাকতো না।এখন আপনি কারও বাধ্য এটা কেমন যেন স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যাপারের সাথে জড়িত।আমরা অনেক ক্ষেত্রেই ভয়ে,স্বার্থ আদায়ে,কৌশলতায় বাধ্যতার ভান করি।যা মানুষকে একটা সময় নিজের আসল চরিত্রকে ভুলিয়ে বা গুলিয়ে ফেলে। আপনার পারিপার্শ্বিকতা এখন এমন যে,আপনার মুখ ভার কেন,আপনি হাসলেন কেন?আপনার মন খারাপ কেন?আপনি এটা পারেন না কেন?আরও হেন তেন কত কি! মানুষ অপরের এসব চিন্তায় নিজেকে সত্যিকারভাবে উপস্থাপন করার সুযোগই পায় না।যেন তার জন্মটাই হয়েছে মানুষের মনোরণ্জ্ঞনের জন্য যা কখনো সুখী, কখনো দুঃখী ভান ধরার মতন হয়।আর এ
গণমাধ্যম-সাংবাদিক কারও প্রতিপক্ষ নয় —-খায়রুল আলম রফিক

গণমাধ্যম-সাংবাদিক কারও প্রতিপক্ষ নয় —-খায়রুল আলম রফিক

  সাংবাদিকতা সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ পেশার একটি। হত্যা ও নির্যাতন, মিথ্যা মামলা, হামলা, ভয় দেখানো, লাঠিপেটাসহ নানা ঝুঁকি আছে এই পেশার। কিন্তু ভয়ে গুটিয়ে না থেকে সাংবাদিকরা কাজ করে যাচ্ছে। তথ্য বা সত্য তুলে ধরছে নির্ভয়ে। রাষ্ট্র, সরকার, প্রভাবশালী করপোরেট, হোয়াইট কলার ক্রিমিনাল, লুটেরা, সমাজবিরোধী রাজনীতিক, ব্যবসায়ীদের মুখোশে উন্মোচন করে যাচ্ছে। গণমাধ্যম কর্মীদের ঝুঁকিটা এখানেই। অন্যান্য পেশার মতোই সাংবাদিকতাও একটি পেশা মাত্র। গণমাধ্যম-সাংবাদিক কারও প্রতিপক্ষ নয়। বাংলাদেশে, সাধারণ মানুষ থেকে মহাপরাক্রমশালীদের বড় একটা অংশ সাংবাদিকতাকে ‘সাংঘাতিক’-‘অপ্রয়োজনীয়’ এবং বিপজ্জনক বিবেচনা করে। অনেকেই উপহাস করেন–অযাচিত জ্ঞান দেন। পারলে কীভাবে রিপোর্ট লেখা বা টিভিতে দেখানো উচিত সেটাও বলে দেন। চেপে ধরলে রসিকতা বলে উড়িয়ে দেন। কিন্তু তাদের জ্ঞানদান স্রেফ রসিকতা নয়। তাদের অভিযোগ-অনুযোগের সব দাবি যে মি
মানুষ মানুষের উপকারের চিন্তায় ব্যস্ত,অমানুষ মানুষকে থামাতে ব্যস্ত।

মানুষ মানুষের উপকারের চিন্তায় ব্যস্ত,অমানুষ মানুষকে থামাতে ব্যস্ত।

  মানুষ মানুষের উপকারের চিন্তায় ব্যস্ত,অমানুষ মানুষকে থামাতে ব্যস্ত। আগে দরবার ডেকে বিচার হতো,এখন ট্যাগ করে বিচারের দরবার সাজানো হয়। জ্ঞানপাপী দ্বারা সমাজের যে ক্ষতি হয়,যুদ্ধ বা অস্ত্র দিয়েও তা হয় না। সাধু ধ্যান করে,মানুষরুপী পাগলা কুকুর অদৃশ্য পেটের দাঁত শান্ত রাখে বিবেকবানদের কামড়িয়ে। যাদের নিজের চেয়ারের আসন নড়বড়ে তাদের অন্যের পিড়ির আসনও সহ্য হয় না। চাপার জোর,গলার জোরের চেয়ে নিরব সত্যের জোরের শক্তি অনেক বেশি। ভাইয়েরাই নষ্ট করে গোলামদের।ছায়া দিয়ে,নিজের স্বার্থ রক্ষার্থে।গোলামদের কারণেই ভাইয়েরাই একদিন মানুষের শালা হয়ে যায়।   🍁কবি সুমী সরকার প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ: ময়মনসিংহ ডিভিশনাল স্কুল এন্ড কলেজ
পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা – -খায়রুল আলম রফিক

পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা – -খায়রুল আলম রফিক

  বাংলাদেশের বেশিরভাগ এলাকায় সাংবাদিকদের মধ্যে বিবাদ সৃষ্টি করে নিজেরাই নিজেদের ক্ষতি করছে। অনেকেইে মন্তব্য করেছেনে যে, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে চলছে গভীর ষড়যন্ত্র। যেসকল সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ষড়যন্ত্র ও হয়রানিমূলক ভাবে মামলা করা হয়েছে, সাংবাদিকরা এ মামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন, সেই সাথে এইসব মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান সাংবাদিক নেতারা। সাংবাদিক শব্দ সহজ হলেও এই পেশায় কাজ করা সহজ নয়, পৃথিবীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ও সম্মানজনক পেশা হচ্ছে সাংবাদিকতা, তবে এটা সবার জন্য না। মানুষ শুধু চাওয়া পাওয়া নিয়ে হিসাব করে, সকল শ্রেণি পেশার মানুষেরই রয়েছে না পাওয়ার বেদনা। জনসাধারণ সচেতনতার অভাবে বাড়ছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ড ও নানারকম জটিলতা। মানুষের অভিযোগের শেষ নেই, সকল পেশার মানুষেরই সমস্যা রয়েছে। সচেতন মহলের দাবি-জনসচেতনতার অভাবেই অপরাধমুলক কর্মকান্ড
  ”বাল্যসখী” কবি: আরিফুজ্জামান

  ”বাল্যসখী” কবি: আরিফুজ্জামান

                ''বাল্যসখী'' কবি: আরিফুজ্জামান সখীলো মনে পরে কি সেই শৈশব কাহিনী। দিবস যামিনী ভাবায় মোরে পুরনো স্মৃতি। সখী তোমার সনেতে ওই আঁকাবাঁকা পথে। বিদ্যালয়ে যেতাম দু'জন প্রত্যহ --প্রভাতে। সখী --একটু মনেকর -ঐ -কলাপাতা ঘর। বাতাস এলে হেলে যেতো কাঁপিয়া থরথর। সখী পাচ্ছো কি শুনতে ওই গোয়াল ঘরেতে। তোমার আমার বিয়ে হইতো বিনা কাজীতে। রঙ -বেরঙের -খেলনা ছিলো মাটিরও পাত্র। এক্কাদোক্কা খেলতে 'যে -তুমি ধুলাইয়া গাত্র। কোথা গেলো সেই-দিন ছিলো কতযে রঙ্গিন। কালের স্রোতে ভাসিয়া গেলো হয়েছে মলিন। সখী হারাইলি কোথায় কথা- কি ছিলো তাই। তোমার হলো -স্বামী পুত্র- আমিতো একলাই। সখী আজো বলে মন -যদি আসিত সে-ক্ষণ। কলা-পাতা'রি -ঘর -দিতাম -করিয়া ---যতন। ১৯ আষাঢ় --১৪২৮ বঙ্গাব্দ।
কেমন কাটছে মফস্বল সাংবাদিকদের জীবন, কে দেখবে তাদের বোবা কান্না —খায়রুল আলম রফিক

কেমন কাটছে মফস্বল সাংবাদিকদের জীবন, কে দেখবে তাদের বোবা কান্না —খায়রুল আলম রফিক

সাংবাদিকতার সংকট কি শহর কি মফস্বল! সাংবাদিকতা পেশাটিই নানা সংকটে-ঝুঁকিতে আবর্তিত বাংলাদেশ তো বটেই সারা বিশ্বেই। এ সংকট কখনো কম কখনো প্রকট হয়ে দেখা দেয়। মফস্বলও সে সংকটের বাইরে নয়। সাধারণত অনেকের কাছে রাজধানী ঢাকার বাইরে যেসব এলাকা রয়েছে তার সবই মফস্বল বা গেঁয়ো বা গ্রাম্য। সারা দেশের মফস্বলে কর্মরত সাংবাদিকদের জীবন কেমন কাটছে? তাদের সংসারে খাবার আছে কি না? এ খবর কি কেউ নিচ্ছে? মফস্বল সাংবাদিকদের জীবন আজ গভীর খাদের কিনারে এসে দাঁড়িয়েছে। তারা মান সম্মানের প্রশ্নে মুখ ফুটে কারও কাছে বলতেও পারছেন না আবার চলতেও পারছেন না। মফস্বল সাংবাদিকদের সংসার কিভাবে চলছে এ খবর কেউ নিচ্ছে কিনা ? এর উত্তরে কী বলবো? কে খবর নিবে? মিডিয়া মালিক না সরকার। প্রথমেই বলতে হয় যে প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সেই মিডিয়ার দায়িত্বই সবার চেয়ে বেশি। তারপরেও সরকারের ভুমিকাও কম নয়। মিডিয়া কর্তৃপক্ষ সম্পর্কে কি বলবো? মিডিয়া সম

ক্ষীরু নদী

*ক্ষীরু নদী*       কবিঃ আরিফুজ্জামান। তুমি ক্ষীরু নদী রূপের আকর এক মায়াবতী কান্তি. তোমারি বুকেতে স্নান সন্তরণে লাগে হে পরম শান্তি। তোমায় নিয়ে -সেই তোমারি সনে শৈশবেরি প্রিয় স্মৃতি. আজো মনেপড়ে প্রতি ক্ষণেক্ষণে তোমার দেওয়া প্রীতি। গ্রীষ্মের সেই ক্ষেপা রোদের তাপে গাত্র প্রজ্জ্বলিত যবে. ছুটিয়া গিয়েছি তোমারি বুকেতে শীতল হয়েছি তবে। তোমার গুণেরি শেষ নেই কভু হে মোর প্রিয় নদী. চাষা কৃষাণী আর জেলে জেলানি তব প্রেমে সবে বন্দী। উদরে তোমারি বসত করে যে অযুত রূপের মাছ. খলিশা মাছ আর পুঁটি মাছের হরেক রকম সাজ। বসন্ত কালেতে নদীর তীরেতে সজ্জীভূত হয় নীর. ঝরনা ফুলেরা সুবাস ছড়িয়ে করে মৌমাছিরা ভীড়।।  
error: Content is protected !!