Header Image

পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে দিন-রাত ছুটছেন চেয়ারম্যান হাসান।।

 

আরিফ রববানী, ময়মনসিংহ।।

 

২০১৬ সালের ইউনিয়নে পরিষদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীক নির্বাচন করে বিপুল ভোটে জয়লাভ করা জনবান্ধব চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম হাসান। যিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের সর্বক্ষেত্রে অমুল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি দলমত নির্বিশেষে সবার অন্তর কেড়েছেন। নিজের কথা না ভেবে জনগণের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন। ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের আলীপুর এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা ও ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান সিদ্দিক হোসেনের পুত্র হাসানুল ইসলাম হাসান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে পিতার অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করতে দিন-রাত শ্রম দিচ্ছেন। বিগত দিনে কুষ্টিয়াবাসীর উন্নয়নে তিনি সরকারি সহযোগিতায় বিভিন্ন রাস্তাঘাট, কালভার্ট, ব্রীজ, পুরাতন রাস্তা মেরামত, নতুন রাস্তা নির্মাণ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নতুন ভবন নির্মান, পুরাতন ভবন সংস্কার, বিভিন্ন ওয়ার্ডের আনাচে কানাচে অসংখ্য মসজিদ, মাদ্রাসা, মন্দির, ইউনিয়নে প্রত্যন্ত অঞ্চলে সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে তিনি কুষ্টিয়া ইউনিয়ন বাসীর মুখে হাসি ফুটিয়েছেন।

তিনি কুষ্টিয়াবাসীর উন্নয়নে এমন অনেক অসংখ্য উন্নয়ন মূলক কাজ করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। কুষ্টিয়াবাসীর যে কোন সমস্যায়, তিনি গুরুত্বসহকারে সমাধানের চেষ্ঠা করেন বিধায় প্রতিনিয়ত হৃদয়ের টানে ভালোবাসার টানে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ তাঁর কাছে ছুটে আসে।

এদিকে কুষ্টিয়াবাসীর ব্যাপক উন্নয়নের ফলে বর্তমান জনসাধারণ তার প্রতি শতভাগ সন্তুষ্ট রয়েছে। তিনি কুষ্টিয়াবাসীর কল্যাণে বিগত ৫ বছরে যে পরিমান উন্নয়নকাজ সম্পন্ন করেছেন তা দৃশ্যমান এবং প্রশংসাযোগ্য। কুষ্টিয়া ইউনিয়নে গণমানুষের নেতা ইউপি চেয়ারম্যান হাসানের উন্নয়নের কাজ ও জনপ্রিয়তা জানতে সরেজমিনে ইউনিয়নের শতাধিক সাধারণ মানুষের সাথে কথা বললে, ওনারা জানান, কুষ্টিয়া ইউনিয়ন বাসীর সৌ-ভাগ্য যে, হাসানুল ইসলাম হাসানের এর মত একজন জনবান্ধব সৎ, দক্ষ, মেধাবি, পরিশ্রমি চেয়ারম্যান কাছে পেয়ে।

তিনি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নিবার্চিত হওয়ার পর ইউনিয়নে যে পরিমান উন্নয়ন কাজ করেছেন তা বিগত দিনে কোন চেয়ারম্যান করতে পারেনি। জরাজীর্ণ রাস্তাঘাট গুলোকে সংস্কার করে নতুন পাকা রাস্তা নির্মাণ করে ইউনিয়নবাসীর যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক অভূতপূর্ণ সাফ্যলের সাক্ষর রেখেছেন এই চেয়ারম্যান। তাই আমাদের প্রাণের দাবি হাসানের এর মত একজন জনপ্রিয় জনবান্ধব চেয়ারম্যান আবার ও এই ইউনিয়নে যেন চেয়ারম্যান হিসেবে নেতৃত্ব দিতে পারে।

এই বিষয়ে চেয়ারম্যান হাসান তার অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, আমার বাবা মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেন ইউনিয়নের সাবেক ৩বারের চেয়ারম্যান ছিলেন।বাবার আদর্শ বুকে লালন করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কাজ করছি।

গত নির্বাচনের পূর্বে ইউনিয়নবাসীর উন্নয়নে যে সকল কাজ করার প্রতিশ্রুতি আমি দিয়েছিলাম ইউনিয়নবাসী তার অধিকাংশ কাজের প্রতিশ্রুতি ইতোমধ্যে পেয়েছে। বাকি কাজগুলো বর্তমানে চলমান রয়েছে । আমি চাই জনগণের পাশে থেকে নিজেকে বিলিয়ে দিতে। আমি শতভাগ আশাবাদী চলমান উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জনগণ পুনরায় ভোটের মাধ্যমে আমাকে আবারো নির্বাচিত করবেন।

ইউনিয়নের ৩বারের সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম বীরমুক্তিযোদ্ধা সিদ্দিক হোসেনের পুত্র
চেয়ারম্যান হাসানুল ইসলাম হাসান ছাত্রজীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জরিত। তিনি ছাত্রজীবনে মুক্তাগাছা সরকারী কলেজের ছাত্রলীগের ছাত্র সংসদের জিএস হিসাবে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে ছাত্ররাজনীতিকে শক্তিশালী করে দলীয় নির্দেশ পালনে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রামে রাজপথে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন। একজন জনবান্ধব পিতার সন্তান ও ক্লীন ইমেজের অধিকারী হওয়ায় গত নির্বাচনে কুষ্টিয়া ইউনিয়নের জনগণ তাকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ঘোড়া প্রতীকে ৩৯৮৫ ভোটে বিজয়ী করেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বী ধানের শীষের প্রার্থী মুঞ্জুরুল হক সরকার পেয়েছিলেন২৮১২ ভোট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!