Header Image

ছেলে জন্মানোই যেন কাল হলো, ডিভোর্স নিয়ে মুখ খুললেন শাবনূর

২০১১ সালের ৬ ডিসেম্বর অনিক মাহমুদ হৃদয়ের সঙ্গে আংটি বদল করেন শাবনূর। এরপর ২০১২ সালের ২৮ ডিসেম্বর তারা বিয়ে করেন। সেই সংসারে ২০১৩ সালের ২৯ ডিসেম্বর আইজান নিহান নামে এক পুত্রসন্তানের জন্ম হয়। এই সন্তানই যেন কাল হলো শাবনূরের।

‘আইজান পৃথিবীতে আসার পরপর বদলে যেতে থাকে অনিক। স্বামী হিসেবে তার দায়িত্বহীনতা ও সংসারের প্রতি উদাসীনতা আমাকে হতাশ করতে লাগলো। তার মধ্যে নানা পরিবর্তন লক্ষ্য করলাম’- স্বামীর বদলে যাওয়া নিয়ে এভাবেই বলছিলেন শাবনূর।

স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় গত ২৬ জানুয়ারি অনিককে তালাক দেন শাবনূর। নায়িকার সই করা নোটিশটি অ্যাডভোকেট কাওসার আহমেদের মাধ্যমে গত ৪ ফেব্রুয়ারি অনিকের উত্তরা এবং গাজীপুরের বাসার ঠিকানায় পাঠানো হয়েছে।

শাবনূরের পাঠানো তালাক নোটিশের অনুলিপি তার স্বামী অনিকের এলাকার আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান এবং কাজি অফিস বরাবরও পাঠানো হয়েছে। এ তালাক নোটিশে সাক্ষী রয়েছেন মো. নুরুল ইসলাম ও শামীম আহম্মদ নামে দুজন। আইনগতভাবে ৯০ দিন পর তাদের এ তালাক কার্যকর হবে।

এদিকে ডিভোর্সের ব্যাপারটি সত্য বলে জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেন শাবনূর। বুধবার (৪ মার্চ) দুপুরে অস্ট্রেলিয়া থেকে কথা বলেন তিনি। ডিভোর্সের সত্যতা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমি ডিভোর্স লেটার পাঠিয়েছি অনিককে। আসলে আমার কিছু করার নেই। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেছে।’

ঢাকাই সিনেমার নন্দিত এই অভিনেত্রী বলেন, ‘আইজান জন্মানোর পর থেকেই আমাদের সম্পর্কটা নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ছয়টা বছর নীরবে তার অত্যাচার সহ্য করেছি। চেয়েছি মুসলিম মেয়ে, সংসারটা আগলে রাখবো। পারিনি।

অনেক আগে থেকেই আমরা আলাদা থাকছি। দফায় দফায় বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছি। বাধ্য হয়েই ২৬ জানুয়ারি অনিককে ডিভোর্স নোটিশ পাঠিয়েছি।’

নিজের জন্য ও পুত্র আইজানের জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন শাবনূর। সেই সঙ্গে আবারও নতুন উদ্যমে সিনেমায় নিয়মিত হবেন বলেও জানান এই চিত্রনায়িকা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!