Header Image

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সেবা  তত্বাবধায়কের গাফিলতিতে শতাধিক নার্স  কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত!

ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ
ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সেবা তত্ত¡াবধায়ক সেলিনা
আক্তারের এর বিরুদ্ধে করোনাকালীন চিকিৎসা সেবা নিয়ে চরম
অব্যবস্থাপনা, খাম-খেয়ালীপনা ও গাফিলতির অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগকারীদের দাবী এই সেবা তত্ত¡াবধায়কের গাফিলতি আর
খামখেয়ালীপনার কারণেই হাসপাতালে কর্মরত অর্ধ শতাধিক নার্স-
কর্মকর্তা-কর্মচারীকে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হতে হয়েছে।
প্রতিদিন কোন না কোন স্বাস্থ্য সেবাদানকারী করোনা আক্রান্ত হওয়ায়
সেবারতদের মাঝে চরম আতংক বিরাজ করছে। তদন্তপূর্ব দ্রæত ব্যবস্থা
গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
হাসপাতালে সেবাদান কাজে কর্মরতদের সূত্রে জানা যায়, গত ৫-১১
এপ্রিল পর্যন্ত মমেক হাসপাতালের মাহমুদ ও সজলসহ ১২ জন নার্স
কর্মকর্তা এডুকেশন সেন্টারে অবস্থান করার পর ৭ দিন ময়মনসিংহ
সদরের এস.কে হাসপাতালে করোণা রোগীদের ডিউটি করে সেবা
প্রদান করেন। গত ১২ থেকে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত ১৪দিন শহরের একটি
হোটেলে তারা কোয়ারেন্টাইনে থাকেন। গত ২৬ এপ্রিল ১২ জন নার্স
কর্মকর্তা নিজ উদ্যোগে করোনা পরীক্ষার জন্য নিজেদের নমুনা দিতে
এস.কে. হাসপাতালে যান।
পরে ২৭ এপ্রিল দুপুরে নার্স মাহমুদকে ফোনে সেবা তত্ত¡াবধায়ক
সেলিনা আক্তার বলেন, তোমরা সবাই করোনা সংক্রামক নিগেটিভ। পরীক্ষার
ফল পেয়েছি। তাতে কারও মাঝে ভাইরাস পজেটিভ পাওয়া যায়নি। তিনি
সকলেই বাসায় চলে যেতে বলেন। তারা ২৯ এপ্রিল বাসায় চলে যান।
ঐদিন রাত ৯ টা ৫৮ মিনিটে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের
এও ফরিদুল হক ফোনে জানান যে, ঐ নার্স কর্মকর্তারা করোনা
পজেটিভ। তাদেরকে চিকিৎসার আওতায় আসার কথা বলেন।
এদিকে সেবা তত্ত¡াবধায়কের কথা মতো ঐ নার্স কর্মকর্তারা
পরিবারের অন্যান্য সদস্যও হাসপাতালে অন্যান্য নার্স কর্মকর্তা-
কর্মচারীদের সাথে মিশেছেন। এমনকি তারা বাইরেও অনেকের সাথে
মিশেছেন। এতে সর্বনাশ যা হবার নিশ্চয়ই হয়েগেছে।এ ব্যাপারে বাংলাদেশ নার্সেস এসোসিয়েশন (বিএনএ) ময়মনসিংহ
মেডিকেল কলেজ শাখার সভাপতি লুৎফুর রহমান বলেন, সুষ্ঠু তদন্ত চাই।
আমার নার্স কর্মকর্তাদের কিছু হলে এর দায়-দায়িত্ব সেবা
তত্ত¡াবধায়কের নিতে হবে। আমরা উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট
অভিযোগ দাখিল করবো।
মচিমহা (বিএনএ) শাখার সাধারণ সম্পাদক নাজমা খাতুন বলেন, আমি
বিষয়টি শুনেছি। এই ক্রান্তিকালে সেবা তত্ত¡াবধায়কের অবহেলা,
গাফলতি ও ভুল তথ্য দেয়ার কারণে নার্স-কর্মকর্তাদের পরিবারগুলো করোনা
ঝুঁকিতে আছে।
একাধিক নার্স কর্মকর্তা আক্ষেপ করে বলেন, আমাদের সেবা
তত্ত¡বধায়ক বিভিন্নভাবে হযরানী করে আসছে। আমরা কোন প্রতিবাদ
করতে পারি না।
মচিমহা সেবা তত্ত¡াবধায়ক (মেট্রেন) তিনি বলেন, আমি নেগেটিভ
এটা বলি নাই। মামুদকে ফোনে বলি তোমরা সবাই বাসায় চলে যাও।
সহকারী পরিচালক ডাঃ জাকিউল বলেন, আতঙ্কের কিছু নেই।
উপসর্গহীন যদি থাকে কোন সমস্যা নাই। তারা আইসোলেসনে
থাকবে। তারা সবাই সুস্থ্য। আল্লাহর রহমতে সমস্যার কারণ নেই। করোনা
সেম্পল দেয়ার সময় নামের পাশে (ঝঝঘ) লিখে যেন আসে।
মচিমহা উপ-পরিচালক লক্ষি নারায়ন মজুমদার বলেন, এ বিষয়টি ডাক্তার
জাকিউল ভাল বলতে পারবেন। তার সাথে যোগাযোগ করতে বলে তিনি
বলেন ওনি তথ্য দিবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!