Header Image

গৌরিপুরে পৈত্রিক ভিটায় ঘর তৈরিতে প্রতিবেশীর বাধাঁ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

ময়মনসিংহের গৌরিপুরে নিজের পৈত্রিক ভিটায় প্রতিবেশীদের বাধাঁর কারনে ঘর তৈরি করতে পারছে না বলে অভিযোগ করেছেন এক নারী। তার পরিবারের সবাইকে মারধর করে নির্মানাধীন ঘরের পিলার ভেঙ্গে দিয়েছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়েছে। বর্তমানে প্রতিপক্ষ প্রতিবেশীদের হুমকীতে আতংকে দিন কাটাচ্ছে অসহায় ঐ নারী ও তার পরিবার।
ভুক্তভোগী ঐ নারীর নাম ছালেমা (৫০) বেগম। তিনি উপজেলার বোকাইনগর ইউনিয়নের বৃ-বড়ভাগ গ্রামের বাসিন্দা। মানসিক প্রতিবন্ধি স্বামী ও এক ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে সংসার।
ছালেমা বেগম বলেন, আমার কোন ভাই নেই তাই আমার বাবা আমাকে বাড়ির কাছে বিয়ে দেয়। স্বামী সন্তান নিয়ে বাবার বাড়িতে থাকি। বর্তমানে আমার স্বামী অসুস্থ্য। আমার মেয়েরা গার্মেন্টসে কাজ করে বাড়িতে একটা ঘর তুলতে শুরু করেছিল। আমার প্রতিবেশী আনোয়ার, ফরিদ ও আল-আমিন সহ তারা ১০/১২জন ঘরের পিলার ভেঙ্গে ফেলে আমার আমার ছেলে-মেয়েকে মারধর করে। আমাকে ঘর বাধঁতে দিচ্ছে না। আমরা তাদের নামে থানায় মামলা করি। আমরা তাদের কিছু না করলেও তারাও আমাদের নামে মামলা করেছে।
ছালেমা বেগমের বড় মেয়ে মোছা: হাওয়া আক্তার জানান, বাবা মানসিক ভাবে অসুস্থ্য। ছোট ভাইটা লেখাপড়া করে। আমাদের পরিবারের পুরুষ মানুষ না থাকায় প্রতিবেশীরা নানা ভাবে অত্যাচার করে। গামেন্টেসে কাজ করে একটা ঘর বাধতে চাইলে তারা আমাদের মারধর করে। উল্টা আমাদের নামে মামলা দিয়ে আমেদের বাড়িতে থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা আমিনুল ইসলাম খান মুক্তি জানান, ছালেমা খুবই অসহায়। অসুস্থ্য স্বামী নিয়ে খুব কষ্টে সংসার চালাচ্ছে। সম্প্রতি একটা ঘর নির্মান করতে গেলে ফরিদদের সাথে ঝামেলা হয়েছে। ছালেমা ও তার ছেলে- মেয়েদের কে মারধর করেছে ওরা। স্থানীয় ভাবে আমরা বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু হয়নি।
প্রতিপক্ষ ফরিদ মিয়া বলেন আমাদের জমিতে ছালেমারা ঘর তুলতে এলে আমরা বাধা দিয়েছি। থানায় মামলা হয়েছে। আইনেই সমাধান হবে।
গৌরিপুর থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, জমি সংক্রান্ত বিষয়ে পুলিশের কিছু করার নেই। মারধর ও ভাংচুরের ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। নতুন করে কাউকে হুমকীল কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!