Header Image

লামায় ১৬ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির রোপিত গাছের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ

স্টাফ রিপোটারঃ

বান্দরবানের লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়নের টুইন্না পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন নামে এক ব্যক্তির ১৬ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির রোপিত গাছের চারা উপড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ঘটনায় সরই কেয়াজু পাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (০৭ জুলাই) সকালে ৫নং সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু আকবর আহমদের ছেলে ভুক্তভোগী মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন বাদী হয়ে আব্দুন ছোবহান (৫৫) আব্দুল মন্নান (৪৫) শিরু বেগম (৪০) মো: হালিম (২০) সহ অজ্ঞাত ৭/৮ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে কেয়াজু পাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগে ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, লামা উপজেলার ৫নং সরই ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের টুইন্না পাড়া গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু আকবর আহমদের ছেলে ভুক্তভোগী মো: নাছির উদ্দীনের ৩০১নং সরই মৌজার হোল্ডিং নং-আর/২, হোল্ডিং নং-৩৮ এর ৭ একর প্রথম ও তৃতীয় শ্রেণীর জায়গা জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসতেছে। এ জায়গার মধ্যে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দীনের পূর্বপুরুষ হতে ধরে প্রায় ৪৫ বছর যাবৎ ভোগ দখল করে আসছে। কিছুদিন আগে ভোগ দখলীয় জায়গার উপর সৃজিত ১৬ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপিত করে একটি বাগান করছিলেন।এছাড়াও বাগানের চারপাশে সীমানা করেও দিয়েছিলো।

ইতিমধ্যে পূর্বসূত্র জের ধরে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার ৭নং পুটিবিলা ইউনিয়নের গৌড়স্থান ৮নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত্যু ইসহাক মিয়ার ছেলে আব্দুস ছোবহান (৫৫) আব্দুল মন্নান (৪৫) শিরু বেগম (৪০) মো: হালিম(২০) সহ ৭/৮ ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা দা, কিরিচ ও দেশীয় অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিত ভাবে গত (০৭ জুলাই) মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ২টার দিকে ভুক্তভোগী নাছির উদ্দীনের ১৬ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির রোপিত গাছের চারা উপড়ে নষ্ট করে প্রায় ৭৫ হাজার টাকার মত ক্ষতিস্বাধন করেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মো. নাছির উদ্দীন জানান, কিছুদিন আগে আমার দীর্ঘদিন (বন্দবস্তী মূলে) ভোগ দখলীয় জায়গার মধ্যে সৃজিত ১৬ হাজার বিভিন্ন প্রজাতির গাছের চারা রোপন করেছিলাম। গত ০৭ জুলাই রাত আনুমানিক ২টার দিকে কুকুরের শব্দ শুনে বাড়ি থেকে বাহির হয়ে টর্চ লাইটের আলো দিয়ে দেখি আমার সৃজিত বাগানের রোপিত গাছের চারা গুলো ভূমিদস্যু আব্দুস ছোবহান (৫৫) আব্দুল মন্নান (৪৫) শিরু বেগম (৪০) মো: হালিম (২০) সহ ৭/৮ জন ভারাটিয়া সন্ত্রাসীরা রোপিত গাছের চারা গুলো উপড়ে নিয়ে নষ্ট করে জায়গার সীমানা সহ ভেঙ্গে ফেলেছে।পরে এবিষয়ে আমি জানতে চাইলে আমাকে মেরে ফেলা সহ বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা মামলায় জড়ানো হবে বলেও হুমকি প্রদান করেন। তাই আমি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মান্যগণ্য ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

তিনি আরো জানান, ভূমিদস্যু আব্দুস ছোবহানের বাড়ি হচ্ছে লোহাগাড়া উপজেলার ৭নং পুটিবিলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের গৌড়স্থান গ্রামের বাসিন্দা মৃত্যু ইসহাক মিয়ার ছেলে। তাই আমি এই ভূমিদস্যু আব্দুস ছোবহান ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতথেকে বাচাঁর জন্য এই ভূমিদস্যুর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য স্থানীয় প্রশাসন ও মাননীয় পার্বত্য মন্ত্রী বাবু বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি মহোদয়ের নিকট দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত আব্দুস ছোবহান সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, গাছের চারা উপড়ে ফেলার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ভিত্তিহীন। তিনি আমার কাগজের জায়গার উপর জোর করে গাছের চারা রোপিত করেছে।

এদিকে ৫নং সরই ইউপি চেয়ারম্যান মুহাম্মদ ফরিদুল আলমের কাছথেকে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মুহাম্মদ নাছির উদ্দীন আমাকে গত ৭ জুলাই মঙ্গলবার সকালে কল দিয়ে গাছের চারা উপড়ে ফেলার কথাটা বলেন। পরে ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আহমদ আলীকে ঘটনাস্থলে পাঠাইছিলাম।

এ ব্যাপারে কেয়াজু পাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মুহাম্মদ শফিউল আলমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত পূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!