by SF News
আরিফ রববানী,(ময়মনসিংহ) ।
কোভিড-১৯ মহামারীতে আজ সারা বিশ্ববাসী আক্রান্ত। কোভিড-১৯ এর সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা ব্যবস্থা না থাকার কারনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতিরোধেই সবাই গুরুত্বারোপ করছেন। গবেষকগণও প্রতিষেধক আবিষ্কারে বিশেষভাবে মনোনিবেশ করেছেন এবং বিশ্ববাসী অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন একটি কার্যকরী ভ্যাকসিনের জন্য। ভ্যাকসিন তৈরি একটি জটিল পদ্ধতি। অনেক সময় ১০ থেকে ১৫ বছর সময়ও লাগতে পারে এবং এক্ষেত্রে সরকারি এবং বেসরকারি পর্যায়ে সমন্বয় করে কাজ করতে হয়। ঊনপ্শ শতাব্দিতে স্মলপক্স, র্যাবিস, প্ল্যাগ, কলেরা, টাইফয়েডসহ বিভিন্ন ভ্যাকসিন তৈরিতে সফলতা লাভ করেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে দীর্ঘ সময় প্রচেষ্টা করেও সফলতা পাওয়া যাচ্ছে না যেমন এইডস। আধুনিক এই প্রযুক্তির জগতে বিজ্ঞানীরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে স্বল্পসময়ে কিভাবে ভ্যাকসিন তৈরি করা যায় সেই প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। ভ্যাকসিন কি, মানুষের শরীরে কিভাবে কাজ করে তা নিয়ে আমরা সহজভাবে কিছু বলার চেষ্টা করছি।
প্রতিনিয়ত আমরা নানাবিধ জবানু দ্বারা আক্রমনের শিকার হই কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধ (ইমিউন) সিস্টেমের বদৌলতে আমরা রোগাক্রান্ত হই না। আমাদের শরীরে যখন জীবানুর সংক্রমণ হয় স্বাভাবিক নিয়মে শরীর সেই জীবানুর বিরুদ্ধে ইমিউন রেসপন্সের মাধ্যমে প্রতিহত করার চেষ্টা করে। শুরুতেই আমাদের শরীর জীবানুকে ভিতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়। যদি কোনভাবে জীবানু প্রবেশ করে তাহলে ইমিউন সিস্টেম তাকে চিহ্নিত করে এবং ধ্বংস করে। ইমিউন রেসপন্স শুরু হওয়ার কিছু লক্ষনের মধ্যে আছে যেমন: জ্বর, হাঁচি, কাশি ইত্যাদি। এরপর শ্বেত রক্ত কণিকা (বি-সেল ও টি-সেল) জীবানুর বিরুদ্ধে এন্টিবডি তৈরি করে এবং মেমরী সেল তৈরি করে। মেমরী সেলে জীবানুর গঠন এবং কিভাবে সেটা প্রতিহত করা যায় সেই তথ্য থেকে যায় যা পরবর্তীতে একই জীবানুর দ্বারা সংক্রমণ খুব দ্রত প্রতিহত করতে পারে। এই ইমিউন সিস্টেমের জন্য কিছু রোগে একবার আক্রান্ত হলে তা সারাজীবনের জন্য সেই রোগের জন্য সুরক্ষা দেয় যেমন: জলবসন্ত। সাধারণত ইমিউন সিস্টেম সবার জন্য সমান শক্তিশালী না। অন্যদিকে প্রথমবার সংক্রমণের পরে স্বাভাবিক নিয়মে এন্টিবডি তৈরি হতে বেশ কিছুটা সময় লাগে।
ভ্যাকসিন জীবিত বা মৃত ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া অথবা ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়ার সেলের কোন একটা অংশ বিশেষ থেকে উৎপাদন করা হয় যা প্রাণী দেহে রোগ তৈরি না করেও ইমিউন রেসপন্স শুরু করে। পরবর্তীতে সেই ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাস দ্বারা সংক্রমণ হলে শরীরের ইমিউন সিস্টেম সহজেই এন্টিবডি তৈরি করে সুরক্ষা দেয়।
ভ্যাকসিন প্রধানত ৪ প্রকার হয়ে থাকে যথা:
১. Live-attenuated vaccines
২. Inactivated vaccines (Killed antigen)
৩. Toxoid vaccines (Inactivated toxin)
৪. Subunit (Purified antigen)
Live-attenuated ভ্যাকসিনে বিশেষ প্রক্রিয়ায় দূর্বলভাবে তৈরি করা জীবিত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়। এই ভ্যাকসিন সাধারণত একটা বা দুইটা ডোজই দীর্ঘমেয়াদী ইমিউনিটি দিতে পারে। যেমন: রোটা ভাইরাস ভ্যাকসিন, চিকেনপক্স ভ্যাকসিন, এমএমআর ভ্যাকসিন।
Inactivated ভ্যাকসিনে মৃত ভাইরাস বা ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়। এই ভ্যাকসিন সাধারণত দীর্ঘমেয়াদি ইমিউনিটি দেয় না এবং বেশ কয়েবার বুস্টার ডোজ দেয়ার প্রয়োজন হয়। যেমন: পোলিও, র্যাবিস, হেপাটাইটিস-এ ভ্যাকসিন।
Toxoid ভ্যাকসিন সাধারনত জীবানুর দ্বারা তৈরী ক্ষতিকর পদার্থ যা মূলত রোগ হওয়ার জন্য দায়ী সেই পদার্থ ব্যবহার করে তৈরি হয়। এই ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেও বুস্টার ডোজ লাগতে পারে। যেমন: ডিপথেরিয়া, টিটেনাস, হুপিং কাশির এর জন্য ব্যবহৃত ভ্যাকসিন।
Subunit ভ্যাকসিনে ভাইরাস সেলের কোন একটা অংশ যেমন প্রোটিন, সুগার বা ক্যাপসিড ব্যবহার করা হয়। এই ভ্যাকসিন সাধারণত দীর্ঘমেয়াদী ইমিউনিটি দেয়। যেমন: হেপাটাইট্স-বি, হেমোফাইলাস ইনফ্লুয়েন্জা, নিউমোক্কাল ভ্যাকসিন।
ভ্যাকসিন উৎপাদন একটি দীর্ঘমেয়াদী, ব্যয়বহুল এবং উন্নত তথ্য প্রযুক্তির প্রক্রিয়া। একটা ভ্যাকসিন তৈরির আগে সাধারণত দীর্ঘ সময় গবেষণা এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষার প্রয়োজন। অনেকগুলো ধাপ শেষে এক একটা ভ্যাকসিন ব্যাপকহারে ব্যবহারের জন্য বাজারে আসে। একটা ভ্যাকসিন তৈরি করতে কয়েক বিলিয়ন ইউএস ডলার পর্যন্ত খরচ হয়। এই ব্যয়ের বেশিরভাগ অংশ ব্যবহৃত হয় ভ্যাকসিনের কার্যক্ষমতা এবং নিরাপত্তা নিরূপনের জন্য যার উপর নির্ভর করে ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং ব্যবহারের লাইসেন্স পাবে কিনা। স্বাভাবিক ভাবেই ভ্যাকসিন বাজারজাতকরনের আগে এর রোগ প্রতিরোধ করার সক্ষমতা এবং পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া না থাকা নিশ্চিত করতে হয়। প্রথমেই ল্যাবরেটরিতে বেসিক গবেষণা করে খুঁজে বের করা হয় ভ্যাকসিন তৈরির জন্য জীবানুটিকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে। এরপর ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা ও ইমিউন রেসপনস শুরু করার সক্ষমতা দেখার জন্য টিস্যু কালচার বা সেল কালচারের মাধ্যমে অথবা বিভিন্ন প্রাণীর উপর পরীক্ষা করা হয়। এই পর্যায়ে ভ্যাকসিন যদি আশানুরূপ ফলাফল দেয় তাহলে মানুষের উপর ট্রায়াল শুরু হয়। যে কোন ভ্যাকসিন বাজারজাত করণের পূর্বে নিম্নবর্ণিত ৪টি ধাপের মধ্য দিয়ে যেতে হয়।
প্রথম ফেজে সাধারনত অল্প সংখ্যক মানুষ (২০ থেকে ৮০ জন) এর উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়। এই পর্যায়ে মানুষের শরীরে ভ্যাকসিনটি কতটুকু নিরাপদ এবং ভ্যাকসিনটির ইমিউন রেসপন্স শুরু করার সক্ষমতা দেখা হয়। ভ্যাকসিনটি মানব দেহের জন্য নিরাপদ এবং জীবানুর বিরুদ্ধে কার্যকর হলে ভ্যাকসিন পরবর্তী ধাপে পরীক্ষা করা হয়।
দ্বিতীয় ফেইজের পরীক্ষা করা হয় সাধারণত কয়েকশত মানুষের উপর। এই পর্যায়ে ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা, কার্যকারিতার পাশাপাশি ভ্যাকসিনের ডোজ, কখন ও কি উপায়ে দেয়া হবে তা নিধারণ করা হয়।
তৃতীয় ফেজে এক হাজার থেকে ১০ হাজার মানুষের উপর ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে বৃহত্তম জনগোষ্ঠীর উপর ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা দেখা হয়। কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া যেগুলো অপেক্ষাকৃত অপ্রতুল সেগুলো দ্বিতীয় ফেইজে অল্প মানুষের উপর প্রয়োগের সময় ধরা নাও পরতে পারে যেগুলো তৃতীয় ফেজে ধরা পরে। এ পর্যায়ে আরও দেখা হয় ভ্যাকসিনটি আদৌ নির্দিষ্ট রোগ থেকে সুরক্ষা দেয় কিনা এবং নির্দিষ্ট এন্টিবডি ও অন্যান্য কাঙ্খিত ইমিউন রেসপন্স শুরু করে কিনা। এই ফেইজের পর ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী কোম্পানী লাইসেন্সের জন্য আদেন করে।
চতুর্থ ফেইজে কিছু কিছু উৎপাদনকারী কোম্পানী ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা, কার্যকারিতা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে যায়।
উপরোক্ত ফেইজগুলোর পূর্বে প্রি-ক্লিনিক্যাল ফেইজে মানুষ ব্যতীত অন্যান্য প্রাণীর উপরে পরীক্ষা চালানো হয়।
কোভিড-১৯ মহামারী পরিস্থিতির শুরু থেকেই বিজ্ঞানীরা ভ্যাকসিন উৎপাদনের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। করোনা ভাইরাস খুব দ্রত মানুষের মাঝে ছড়িয়ে পরে এবং ভ্যাকসিন মানব দেহের ইমিউন সিস্টেমকে আগে থেকেই প্রস্তুত করতে পারে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য। বিশ্ব থেকে করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রণ/নির্মূল অনেকাংশে নির্ভর করছে কার্যকর ভ্যাকসিন উৎপাদন এবং প্রয়োগের উপর। এখন পর্যন্ত প্রায় ৪০টা ভ্যাকসিনের মানুষের উপর ট্রায়াল চলছে এবং ৯২টা ভ্যাকসিনের অন্যান্য প্রাণীর উপর ট্রায়াল চলছে। বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানীরা আশাবাদী যে আগামী বছরের শুরুতেই ভ্যাকসিন ব্যাপকভাবে ব্যবহারের উপযোগী হবে।
বিজ্ঞানীরা বিভিন্নভাবে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্ট চালাচ্ছে। কিছু গবেষক Live-attenuated vaccine উৎপাদন করছে যার মধ্যে চায়নার গবেষকরা অন্যতম। অক্সফোর্ডের গবেষকরা করোনা ভাইরাসের জেনেটিক কোড অন্য নিরীহ ভাইরাসের ভিতর প্রবেশ করিয়ে নতুন নিরাপদ একটি ভাইরাস তৈরি করেছে। সেই ভাইরাস প্রাণীর দেহে করোনা ভাইরাসের মত ইমিউন রেসপন্স দিচ্ছে। এটাকে “Plug and Play” ভ্যাকসিন বলা হয়। অন্য কিছু গবেষক দল ভাইরাসের DNA অথবা RNA দিয়ে ভ্যাকসিন তৈরি করছে যা সরাসরি ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করালে ভাইরাল প্রোটিন তৈরি করবে যা পরবর্তিতে ইমিউন রেসপন্স শুরু করবে।
এই সব ভ্যাকসিন ব্যবহারের আগে নিশ্চিত করতে হবে যে এগুলো মানব দেহের জন্য নিরাপদ এবং করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কার্যকর সুরক্ষা প্রদান করবে। ভ্যাকসিন অনুমোদন করা হলেও বিশ্বব্যাপী সবার কাছে পৌছে দেয়া একটি বিশাল চ্যালেঞ্জ। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বিশ্বব্যাপী বিজ্ঞানী, ব্যবসায়ী ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সংস্থার সাথে একত্রে কাজ করছে কোভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলার জন্য। নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন উৎপাদিত হলে, COVAX (যার নেতৃত্বে রয়ছে WHO, GAVI এবং CEPI ) সকল দেশে প্রয়োজন অনুযায়ী বিতরণের ব্যবস্থা করবে। এক্ষেত্রে সংকমণের ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীকে অগ্রাধিকার দেয়া হবে।
এই মূহুর্তে সেইফ এবং ইফেকটিভ বা নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে আগ্রহী বিশ্ববাসী। ভ্যাকসিন নিয়ে চলছে রাজনীতি এবং ব্যবসানীতি। কারা প্রথম আবিস্কার করবে, কারা বাজারজাত করবে কেই-বা প্রথম আবিস্কার করে মর্যাদার আসনটি দখল করবে তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ভ্যাকসিন নিয়ে সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করবে বা নেতৃত্ব দিবে অনেকেই আশা করেছিল কিন্তু চীন এবং আমেরিকার টানাপোড়নো তাও অনিশ্চয়তার মধ্যে আছে।
সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সংসদে ঘোষনা দিয়েছেন যে দেশেই প্রথম নির্ভরযোগ্য ও কার্যকর ভ্যাকসিন পাওয়া যাবে, সেদেশ থেকেই ভ্যাকসিন আনা হবে এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় বরাদ্দের পাশাপাশি সরকারের প্রয়োজনীয় কূটনৈতিক তৎপরতাও রয়েছে। যা সর্বক্ষেত্রে কেবল প্রশংসনায়ই নয়, আমাদের জন্যও স্বস্তিদায়ক। ইতিমধ্যে যেসমস্ত দেশে থার্ড ফেইজে ট্রায়াল চলছে সেখানে দরখাস্ত জমা দেওয়া হয়েছে এবং কূটনৈতিক তৎপরতাও চলছে। চীনের সাথে আমাদের থার্ড ফেইজে ট্রায়াল দেয়ার চুক্তি হয়েছে। বেক্সিমকো কোম্পানীর সাথে ইন্ডিয়ার সিরাম ইন্সটিটিউট এর চুক্তি হয়েছে। রাশিয়ার গ্যামালিয়া কোম্পানী আমাদের দেশে বিভিন্ন কোম্পানীর সাথে যোগাযোগ করে এই দেশে ভ্যাকসিন উৎপাদন করার সম্ভাবনা খুজছে।
শুরুতেই কোভিড-১৯ ব্যবস্থাপনা আমাদের চিকিৎসা ও অব্যবস্থাপনা আমাদের কাছে একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। ভ্যাকসিন আসার পরও স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় এমন আরেকটি চ্যালেঞ্জের সম্মুক্ষীন হতে হবে। ভ্যাকসিনের সঠিক পদ্ধতিতে সংরক্ষণ, পরিবহন এবং দক্ষ স্বাস্থ্যকর্মী দ্বারা টার্গেট জনগুষ্ঠীকে ভ্যাকসিন প্রয়োগ এগুলো সবই খুব গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। ভ্যাকসিন এর কোল্ডচেইন মেইনটেইন করা এবং এন্টিবডি পরীক্ষা করে টার্গেট গ্রপ কিংবা যাদেরকে ভ্যাকসিন দেয়া হবে সেটা নির্নয় করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ, এজন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরকে এখন থেকেই প্রস্তুতি নিতে হবে।
২০০৯ ও ২০১২ সালে টিকাদান কর্মসূচির সাফল্যের জন্য GAVI কর্তৃক স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় পুরস্কৃত হয়েছিল। ২০১৯ সালে টিকাদান কর্মসূচি সাফল্যের জন্য শেখ হাসিনা ভ্যাকসিন হিরো উপাধি পেয়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO), কোভেক্স, GAVI এর মাধ্যমেও আমাদের দেশে ভ্যাকসিন পাওয়ার সম্ভাবনা আছে। সুতরাং ভ্যাকসিন নিয়ে সরকারের যে প্রশংসনীয় উদ্যোগ তা নিয়ে শঙ্কার কোন কারণ নেই। জননেত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রনে অনেক প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছেন। বাজেট বরাদ্দ, চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ, চীনের মেডিকেল টিম বাংলাদেশে আসার ব্যবস্থা করা, বিভিন্ন সেক্টরে প্রণোদনা, ধানকাটা ও খাদ্য নিরাপত্তা, আম্ফান মোকাবিলা, বন্যা মোকাবিলাসহ ৩১ দফা নির্দেশনা সার্ভিক সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা কোভিড-১৯ নিয়ন্ত্রনে সফলতার মুখ দেখেছি। ব্রিটিশ গার্ডিয়ান পত্রিকায় জলবায়ু ও করোনা মোকাবিলায় বৈশ্বিক সমন্বয় ও নেতৃত্বের কথা বলেছেন। এর আগেও প্রধানমন্ত্রী বিশ্বের অনেক নেতাদের সাথে ফোনে কথা বলেছেন, বৈশ্বিক সম্মেলনে ৫ দফা প্রস্তাব দিয়েছেন, সিটিজেন গ্লোবাল ফান্ডে ভ্যাকসিন এর জন্য অর্থ জমা দিয়েছেন, সার্ক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলেছেন এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার এইসব উদ্যোগের জন্য আন্তর্জাতিক সাময়িকী ফোর্বস এ তার প্রশংসা করেছেন। তাই আমরা মনে করি ভ্যাকসিন নিয়ে যতই আন্তর্জাতিক রাজনীতি ও ব্যবস্থা যা কিছু থাকুক না কেন আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশের জনগন নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য ভ্যাকসিন পাবে এই আমাদের প্রত্যাশা। তবে কার্যকর ভ্যাকসিন জনগণের জন্য সহজলভ্য হবার পূর্বপর্যন্ত মাস্ক-এর যথাযথ ব্যবহার ও সরকার ঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি-ই করোনা প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে।
Post Views:
১,১৮৪